পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

n .*... r f 1. " क्षिं ή *পত্রিক | * v l, r sä { * r i অপর তাঙ্কার হিন্দুস্থানের অপেক্ষাকৃত উষ্ণ এবং শস্যশালী ক্ষেত্রে আগমনের পর ষে আতিশীঘ্রই উক্ত প্র করে মাংসাষ্টার পরি ত্যাগ করিয়াছিল, তাঙ্ক ও বেদের বচন স্বারা প্রতীয়মান হইতেছে । বেদের প্রাচীনতর অংশেতে ইহা দৃষ্ট হয় যে অশ্বমেধাদি ষজ্ঞেতে ঋষিগণ যথার্থই পশু সকল বধ করিতেন এবং সেই সকল পশুর মাংস রন্ধন করিয়া ভোজন করিতেন । কিন্তু ক্রমে যজ্ঞেতে পশু বধ এথা একেবারে অপ্রচলিত হইয়াছিল। কারণ যজুৰ্ব্বেদে অশ্বমেধের যে বিবরণ দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাতে প্রকৃত অশ্ব-বলিদান হইত না । যজ্ঞ কালীন অশ্বের সহিত অপরাপর নান। প্রকার পশু ভিন্ন ভিন্ন ঘূপে বদ্ধ হুইত, পরে | যজ্ঞ শেষ হইলে ঋষিগণ তৎসমুদtয়কে আহার প্রদান করিয়া পুনর্বার ছাড়িয়া দিতেন নরমেধ বা পুরুষ মেধ নামক যজ্ঞের ষে উল্লেখ করাগিয়াছে, তাহাতে কদাপি প্রকৃত নরবলি হইত ন। যজুৰ্ব্বেদের অনুসারে এই যজ্ঞে এক শত পঞ্চাশীতি সং খ্যক বিবিধ বর্ণের বিবিধ ব্যবসায়ী ব্যক্তি দিগকে একাদশটি যুপে বন্ধন করা হইত, পরে ষজ্ঞ সমাপন হইলে তাহারা সকলে বন্ধন মুক্ত হইত। কিন্তু মনুষ্য মেধ ৰূপে যজ্ঞেতে বধ্য হইতে পারে এপ্রকার বিশ্বাস তৎকালে প্রচলিত ছিল এবং কেহ কেহ দেবতাদিগের প্রতি ভক্তি প্রদর্শনার্থ নর বলি প্রদান করিতে অগ্রসর হইতেন। ঋগ্বেদে শুনঃশেফের বৃত্তান্তই ইহার প্রমাণ স্বৰূপ রহিয়াছে । এই বিবরণ আবার ঐতরেয় ত্ৰাক্ষণে:বিস্তার করিয়া লিখিত হইয়াছে । এই স্থলে তাহা সংক্ষেপে উল্লেখ করা ৰাইতেছে। ইক্ষাকু কুলোভৰ বেধার পুত্র রাঙ্গ হরিশ্চন্দ্র পুত্র হীন ছিলেন। তাহার | | | | | ᎼᎿ~ Ꮔ এক শত মহিষী ছিল, কিন্তু কাহারও স্বারা র্তাহীর সন্তান উৎপত্তি হয় নাই। তিনি একদল নারদকে জিজ্ঞাসা করিলেন, ছে নারদ ! জ্ঞানী অজ্ঞানী সকলেই পুত্ৰ কামনা করে, কিন্তু পুত্র হইতে লোক কি ফল লাভ করে । নারদ উত্তর করিলেন, পিতা পুত্রের মুখাবলোকন করিয়া একটি ঋণ হইতে মুক্ত হন এবং অমৃতত্ব প্রাপ্ত হয়েন । মনুষোর অন্নই প্রাণ, পরিচ্ছদই শরণ (অগ্রয়), কিরণ্যই সৌন্দর্য, পশুধনই ৰল, জায়াই সখা, দুহিত রূপ পাত্রী, কিন্তু পুত্র পরমাকাশের জ্যোতি । পুত্রহীন ব্যক্তির পরলোক নাই, তাহা পশুরাও জনে । নারদ এই ৰূপ কথনানন্তর রাজা হরিশ্চন্দ্রকে কহিলেন, তুমি বরুণ দেবের নিকট গমন করিয়া এই প্রার্থনা কর, হে বরুণ ! আমার একটি পুত্ৰ সন্তান হউক, আমি তাহাকে তোমার নিকট বলি প্রদান করিব । হরিশ্চন্দ্র সম্মত হইয়। সেই ৰূপ বর প্রার্থনা করিলে, তাহার রোহিত নামে একটি পুত্ৰ হইল । পরে বরুণ হরিশ্চন্দ্রকে কহিলেন, তোমার পুত্র হইয়াছে এক্ষণে তাহাকে আ মীর পূজার নিমিত্ত বলিদান কর । রাঙ্গা কহিলেন, পুত্র বয়ঃপ্রাপ্ত হইলে তাহাকে বলিদান দিব । কিন্তু রোহিত বয়ঃ প্রাপ্ত হইবামাত্র উহার পিতার প্রতিজ্ঞ অবগত হইয়া ধনুৰ্ব্বাণ চন্তে লইয়া বনে গমন করিলেন। বরুণদেব তাহাতে ক্রুদ্ধ হইয়। হরিশ্চন্দ্রকে আক্রমণ করিলেন এবং তা হাতে রাজার উদর স্ফীত হইল । রোহিত ছয় বৎসর কাল অরণ্যে ভ্রমণ করিতে করিতে পরিশেষে অজীগর্ভু নামক এক জন অন্নাভাবে মুমুর্ষ ঋষিকে দেখিতে পাই লেন । সেই ঋষির তিন পুত্র ছিল, তাহাদের নাম শুনঃপুচ্ছ,শুন:শেক্ষ,শুনোলাঙ্গল। রোহিত ঋষিকে কহিলেন, হে অজীগর্ত !