পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b~ ☾ করিয়া আপনার কার্য্যেই সকল সময় নিয়োগ করি। যে গ্ৰীতি যথার্থ তাহারই প্রাপ্য, তাহ। তাহাকে না দিয়! আমাদের কোন হৃদয়ের পুত্তলিকাকেই প্রদান করি। এই প্রকারে দিন চলিয়া যায় কিন্তু আমারদের এক বারও মনঃক্ষুন্ন হয় না । এই প্রকার ধনবান সুখবান ব্যক্তিকে যদি স্বার্থপরতা দোষে দোষী করিতে যাও, তবে সে বলিবে; আমি আপনার ধন আপনি ভোগ করিতেছি, কাহারে উপরে তো অন্যায়, করিতেছি না । স্বার্থপরতার জন্যে মধ্যে মধ্যে তাহার মনে এক প্রকার অতৃপ্তি অশান্তি আসিবেই আসিবে ;, তথাপি অভ্যাসের বলে তাহার হৃদয়ের কবাট বদ্ধ হইয়া ! যায়। আমারদের অভিমান আবার এমনি | যে আপনার দোষ যদি কেহ বন্ধুতাভাবে দেখাইয়। দেয়, আমরা কোথায় সে দোষ সংশোধন করিবার চেষ্টা করিব, না সেই হিতৈষীর উপরেই বিরক্ত হই । তখন •আপনার প্রতি দেখি না, কিন্তু অন্যকে তিরস্কার করি, যাঙ্গ নিতান্ত অন্যায় । এই জন্য ব্রহ্ম ধৰ্ম্মে আছে—“ অপ্রিয়স্য চ পথ্যস্য বক্ত। শ্রোত। চ দুলভঃ "। অপ্রিয় অথচ পথ্য এমত বাক্যের বক্তাও ভুল ভ, শ্রোড়াও কুলভ । যে সকল পপি জনসমাজে প্রচলিত, তাহাও আমাদের নিকটে লঘুবোধ হয়। যদি অসত্য,প্রতারণা,পানাসক্তি এ সকলের জন্য লোকের নিকট হইতে তিরষ্কত না হইতে হয়, তবে সে সকল পাপে পতিত হইয়া সহজেই মনকে প্রবোধ দেওয়া যায় । সাৰায় যে সকল পাপ আমরা আপনারাই জানি,অন্য কেহ জানিতে পারে না,তাহ সহজে হৃদয়ে স্থান পায়। এক জনের ক্রোধ দৃষ্টি কত সময় অামার দিগকে জাগ্ৰত করিয়া দিতে পারে। এক ध्रबल जिवछांट-बीका अग्नक जमदग्न ८धन আমাদের হৃদয়কে বিন্ধ করিয়া অন্তরেকশাঘাত করে, তাহার যাতনা এমত বহু দিবস থাকিতে পারে। কোন দোষ যাহ। আমি কিছুই মনে করি নাই, যখন জানিতে পারি অন্য লোক তাহা কি প্রকার ভাবে দেখে, তখন তাহ দোষ বলিয়া মনে হয়, এমন কত শত গৃঢ় পাপ আমরা অন্তরে পোষণ করিয়া রাখি; যখন ধরা পড়ে, তখনই হৃদয়-বেদন আইসে । আমাদের দোষ যেমন অন্যের বিচার করিবে, আপনারা যেন সেই ৰূপ বিচার করি। আমাদের অন্তর্যামী যেমন আমাদের প্রত্যেক দোষ দেখিতেছেন, আমরাও যেন তই দেখিয়া একান্ত সরলভাবে তাহার নিকটে হৃদয় খুলিয়া ব্যক্ত করি ও পরিত্রাণ পাইবার জন্য প্রার্থনা করি । দেখ,তামোরদের কেমন সাবধান থাকিতে হইবে । আমরা পতিত হই তাহাতে ভয় নাই ; সংগ্রাম হইতে নিরস্ত হই—তাহাই ভয় । কোন সময়েই অমর। বলিতে পারিব না, এতদূর করিয়াছি আর করিতে হইবে না। আমাদের আদর্শকোথায়? সেই "শুদ্ধং অপা পবিন্ধুং” অকলঙ্ক নিরবদ্য পরমেশ্বর আমাদের আদর্শ। আমারদের লেখা যত উৎকৃষ্ট হউক না কেন, সেই আদর্শের অনুৰূপ কোন কালেই হইবে না । কিন্তু আমাদের ভয় নাই। আমাদের নিরাশ হইতে হইবে না । যদি অমরা আপনাতে আপনি সন্তোষে থাকি, যেমন নিম্ন দেশে আছি সেখানেই বিচরণ করিয়া তৃপ্ত থাকি, তবে অৰশুই ভয় । কিন্তু যতক্ষণ সংগ্রামের জন্য উদ্যত থাকিবে, ততক্ষণ কোন ভয় নাই—যদি সহস্রবার পতিত হও, তাহা হইলেও ভয় নাই। আমাদের উপরে পাপের জয় কখনই হইবে না। পাপকে আমরা বলি অসৎ, ধৰ্ম্মকে বলি সৎ। অসৎ প্রবৃত্তি সকল অসৎ কেন মগধারা থাকি