পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eלשג או No LE বুঝিতে পরিবে বটে ; কিন্তু বর্তমানে পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মতত্ত্ব অনেক বিজ্ঞানশাস্ত্র, অনেক দর্শনশাস্ত্র অবলম্বন করিয়া নির্ণয় করিতে প্রস্তুত হইতেছেন এবং এখনও সম্পূর্ণরূপে কৃতকাৰ্য্য হইতেছেন না, ঋষিরা সেই সকল সত্য , বহির্জগতে ও অন্তর্জগতে সহজজ্ঞানের বলে উপলব্ধি করিয়া এরূপ জ্বলন্ত অগ্নিময় ভাষায় ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন যে তাহা শ্রবণমাত্রেই অন্তরে মুদ্রিত হইয়া যায় | ব্রাহ্মধৰ্ম্মের মূল বীজ চারিটি (১) পরমেশ্বরেরই ইচ্ছাতে এই জগত স্বস্ট হইয়াছে, (২) তিনি জ্ঞানস্বরূপ, অনন্তস্বরূপ, মঙ্গলস্বরূপ, নিত্য পরব্রহ্ম ; (৩) একমাত্র র্তাহারই উপাসনা করিলে ঐহিক ও পার ত্রিক মঙ্গল হয় এবং (৪) তাহাকে প্রীতি করা ও র্তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করাই র্তাহার উপাসনা । পরমেশ্বরেরই ইচ্ছাতে জগত স্বস্ট হইয়াছে। সেই অনন্তস্বরূ পের প্রতিই আমাদের প্রকৃষ্ট প্রীতি ও ! ভক্তি স্বতই ধাবিত হয়। অনন্তস্বরূপ আমাদের যে প্রীতিভক্তি আকর্ষণ করেন, কোনো পরিমিত পদার্থ সে প্রীতিভক্তি আকর্ষণ করিতে পারে না । একমাত্র সেই ভূম। পরব্রহ্মেরই উপাসনা করিলে । করিতেছেন। তিনি স্বয়ম্ভু ও সৰ্ব্বব্যাপী ; আমাদের ঐহিক ও পরিত্রিক মঙ্গল হয় ; পরিমিত পদার্থের উপাসনাতে আমাদের মঙ্গল নাই, আমাদের শ্রেয় নাই। পরিমিত পদার্থের উপাসনা করিলে, উপধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্রহণ করিলে, মঙ্গলের পরিবর্তে অমঙ্গলই হওয়া অধিকতর সম্ভব বলিয়া আমরা মনে করিতে পারি। ইতিহাস পাঠে স্পষ্টই অবগত হওয়া যায় যে অমঙ্গল উপধৰ্ম্মের এক প্রধান সহচর। এই কারণেই বোধ করি, শান্তি নিকেতন 鲁 S AAAAALLS SMAT A SAS SSAS SSAS Sማ ዓ শাস্ত্রে মূৰ্ত্তিপূজা প্রভৃতি উপধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে অতি কঠোর নিন্দাবাদ আছে । শাস্ত্র একমাত্র ব্রহ্মজ্ঞানকেই শ্রেষ্ঠ বলিয়াছেন “অথ পরা যয়৷ তদক্ষরমধিগম্যতে |* এখন দেখিতেছি যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ বীজ একমাত্র সেই ভূমাপুরুষের স্বরূপ অবগতির উপর নির্ভর করিতেছে । কত শত ব্যক্তি বাহাকে জানিবার জন্য হতাশ হৃদয়ে গিার নদীকানন সকল অতিক্রম করিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছে ; পণ্ডিতৰ্ম্মন্য ব্যক্তিগণ র্ত চাদের সহস্র দাশনিক যুক্তি ও নান বিধ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব সত্ত্বে ও স্বীয় গৰ্ব্বদোমে র্যাহার জ্ঞানের ও মঙ্গলভাবের পরিচয় পদে পদে পাইলে ও যাহাকে জানিতে পারেন না, ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বেদমন্ত্রে, প্রাচীন ঋষির অগ্নিময় সরল ভাষায়, সেই অতিমহান পরমাত্মার স্বরূপ কেমন সুন্দর রূপে ব্যক্ত করিয়াছেন— “সপর্যাগাচ্ছ ক্রমকায়মত্রণমস্নাবিরং শুদ্ধমপাপবিদ্ধং । কাবন্মনীষী পরিভূঃ স্বয়স্থর্যাথাতথ্যতে ইথান ব্যদধাচ্ছাশ্বতী ভ্য: সমাভ্য: ॥” তিনি সৰ্ব্বব্যাপী, নিৰ্ম্মল, নিরবয়ব, শিরা ও ব্রণরহিত ; শুদ্ধ ও অপাপবিদ্ধ ; তিনি সৰ্ব্বদশী, মনের নিয়ন্ত ; তিনি সকলের শ্রেষ্ঠ ও স্বপ্রকাশ ; তিনি সৰ্ব্বকালে প্রজাদিগকে যথোপযুক্ত অর্থ সকল বিধান তিনি স্বপ্রকাশ । তিনি অকৃত কারণ। স্বষ্টিকার্য্য একটা প্রণালীমাত্র ; স্থষ্টিকার্য্যের কারণ স্বষ্টির অতীত ইচ্ছাময় মহান পরব্রহ্ম। র্তাহার আদি নাই, কারণ নাই, সুতরাং তিনি জন্মরহিত, অনাদি ; তিনি চিরকালই স্বয়ং প্রকাশবান আছেন । যাহার আদি অাছে, তাহারই অন্ত আছে ; সুতরাং যিনি অনাদি, তিনি অনন্তস্বরূপ ভূমা পরব্রহ্ম । তিনি দেশ