পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ዓሡ 尊 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • ७, कश्र ७ छात्र

-- سے سمسمہ سہ، سس۔سے কালের দ্বারা ব্যবচ্ছিন্ন নহেন ; এই কারণেই তিনি সৰ্ব্বব্যাপী ও সর্বদর্শী। সৰ্ব্বব্যাপী ও সর্বদশী পরমেশ্বর আছেন বলিয়াই জগতের অশেষ বিচিত্র তার মধ্যেও এক মহান ঐক্য বিরাজ করিতেছে। সূর্য্যে গিয়া দেখ, সেখানেও যে শক্তি কাৰ্য্য করিতেছে, আমাদের এই ক্ষুদ্র পৃথিবীতেও সেই শক্তি কাৰ্য্য করিতেছে ; সেই শক্তি হিমাচ্ছন্ন স্বমেরুকেন্দ্রেও কার্য্য করিতেছে এবং সেই শক্তি সাহারার মরুভূমিতেও কাৰ্য্য করিতেছে ; সেই শক্তি মহান হিমাচলের শিখরদেশে ও কার্য্য করিতেছে এবং সেই শক্তি সামান্য বালুকণার উপরেও কাৰ্য্য করিতেছে । তিনি নিরবয়ব ; তিনি শিরা ও ভ্রণরহিত । র্তাহার শরীর থাকিলে তিনি তো অন্ততঃ দেশে পরিমিত সীমাবদ্ধ হইতেন । র্তাহার যখন শরীর নাই, তখন র্তাহার শিরা প্রভৃতি কোনো প্রকার শারীরিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গও থাকিতে পারে না এবং তাহার কোনো প্রকার শারীরিক পীড়া বা যন্ত্রণ ও হইতে পারে না । তিনি অন্তর্যামী থাকিয়া সৰ্ব্বকালে প্রজাদিগকে যথোপযুক্ত অর্থ সকল বিধান করিতেছেন। জগতের যত জীব আছে, তন্মধ্যে যাহার যাহা প্রয়োজনীয় এবং যে, যে বিষয়ের উপযুক্ত, তাহাকে তাহাই তিনি প্রদান করিতেছেন। তিনি শুদ্ধ, অপাপবিদ্ধ। র্তাহাতে পাপের লেশমাত্র নাই । আমাদের অন্তরে যে সদসৎজ্ঞান আছে এবং অসৎপথ পরিত্যাগ করিয়া যে সৎপথে চলিবার প্রবৃত্তি আছে, তাহাই পরমেশ্বরের শুদ্ধ বুদ্ধ মুক্ত স্বরূপের জ্বলন্ত সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে । আর তিনি যখন অনাদ্যনন্ত পুরুষ, তখন র্তাহাতে পরিপূর্ণ ন্যায়পরতার বিন্দুমাত্র অভাব । ABANJA হইতে পারে না, সুতরাং তঁাহাকে পাপ স্পর্শ করিতে পারে না। তিনি মনীষী, মনের নিয়ন্ত । তিনি পশুপক্ষীদিগের মনকে ভিন্ন ভিন্ন নিয়মের দ্বারা বদ্ধ করিয়া দিয়াছেন, তাহাতে তাহারা মানসিক প্রবৃত্তির অনুসরণ করিয়া থাকে। তিনি মনুষ্যের মনকে এরূপ নিয়মে বদ্ধ করিয়াছেন যে তাহাতে তাহারা আত্মাকেও জ্ঞানধৰ্ম্মে উন্নত করিতে পারে। তিনি আমাদিগকে স্বাধীনতা দিয়া জগতে শিক্ষালাভ করিবার জন্য ছাড়িয়া দিয়াছেন । আমরা যখনি সে বিষয়ের প্রতি মনোযোগ না করিয়া, জ্ঞানধৰ্ম্মের উন্নতিরূপ পরমেশ্বরের মঙ্গল উদ্দেশ্য ভুলিয়া গিয়া মানসিক প্রবৃত্তি সমূহের দাস হইয়া পড়ি, তখনি তিনি উপযুক্ত শাস্তিপ্রদান করিয়া আবার অামাদিগকে ধৰ্ম্মপথে ফিরাইয়। আনেন। আর র্যাহার। তাহারি নির্দিষ্ট ধৰ্ম্মপথে থাকিয় তাহাকেই ভজনা করেন, র্তাহারা ক্রমিকই উন্নতি লাভ করিয়া, উন্নত লোক হইতে উন্নত লোকে গমন করিয়া তাহাকেই প্রাপ্ত হইয়া থাকেন। তাই গীতা বলিয়াছেন “তেষাং সততযুক্তানাং ভজতাং প্রীতিপূৰ্ব্বকং। দদামি বুদ্ধিযোগং তং যেন মামুপযাপ্তি তে ॥” ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যে মহান পুরুষের অনন্ত উন্নতভাব আমাদের সম্মুখে ধারণ করিতেছেন এবং আমরা যত্ন ও চেষ্টা করিলে র্যাহার জীবন্ত সত্তা আত্মাতে উপলব্ধি করি, সেই মঙ্গলময় পরমেশ্বর যখন আমাদের নিত্য-সহচর, তখন আমাদের নিরানন্দ কোথায়, নিরাশ কোথায় । সম্মুখের দিগন্তবিস্তীর্ণ প্রান্তর তাহার পবিত্র প্রশান্ত ভাবের, তাহার মঙ্গলভাবের কেমন মুনার পরিচয় দিতেছে । আদ্যকার এই উৎসবে র্তাহার উপস্থিতি জানিতে পারিয়া আমরা