পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Sలి তত্ত্ববােধিনী পত্রিক νο, τα Φυγή হৃষ্ট হওয়া উচিত,এইরূপে মুদিত অভ্যাস করিতে শিখিলে মনের অসূয়ানল নষ্ট হয় । অপরে নিন্দ করিলে তাহাতে উপেক্ষা করিবে, এই উপেক্ষা করিতে শিখিলে মনে ক্ষমাগুণ বৃদ্ধি হয়। চিত্ত নিৰ্ম্মল হইয়া একাগ্রযোগ্য হইলে তাহাকে স্থির করিবার আর একটা উপায় छोंrछ । यथ1 “প্রচ্ছদনবিধারণাভ্যাং প্রাণস্ত ॥** যোগশাস্ত্র সমাধিপাদ ৩৪ স্বত্র । প্রাণকে সম্যক্ সংযত অর্থাৎ ইচ্ছানুরূপ নিরোধ করিবে, প্রাণের গতি যদি ইচ্ছাধীন হয় তাহা হইলে চিত্তকে সহজে অনুকূল অর্থাৎ স্থির করা যায়। প্রাণবায়ুর চলনে মনের চলন, প্রাণের নিরোধে মনের নিরোধ, প্রাণের স্থিরতায় মনের স্থিরত হয় । কাম ক্রোধ লোভ ও মোহ প্রভৃতি যে কিছু মনোদোষ তাহ সমস্তই প্ৰাণগতির দোষে উৎপন্ন হয় । প্রাণগতি যদি বিশুদ্ধ হয় তবে মনোদোষও নিরারিত হয় । পুনশ্চ পূর্বে কথিত হইয়াছে যে চিত্তকে একাগ্র করিতে হইলে বৈরাগ্যের দ্বারা চালিত হইয়া অভ্যাস করিতে হয় ৷ পাতঞ্জল বলিয়াছেন “দৃষ্টায়ুপ্রবিকবিষয়বিতৃষ্ণস্ত বশীকারসংজ্ঞা বৈরাগ্যম্।” যোগশাস্ত্র । ১৫ । অর্থাৎ দৃষ্টবিষয় ও শাস্ত্র প্রতিপাদিত বিষয় এই দুই বিবয়ে সম্পূর্ণরূপে নিম্পূহ হইতে পারিলে বশীকার নামক বৈরাগ্যের উদয় হয় অর্থাৎ ঐহিক ও পারলৌকিক ভোগপূহ বর্জনের নাম বৈরাগ্য । বিচার দ্বারা ঐহিক ও পারত্রিক বিষয়ের ক্ষণভঙ্গুরত্ব দোষ দৃষ্ট হয় এবং তাহ হইতে বৈরাগ্য জন্মে। এই বৈরাগ্য আবার শাস্ত্রানুসারে চারি ভাগে বিভক্ত ; যথা যতমান, ব্যতিরেক একেন্দ্রিয় ও বশীকার । বিচার আদি দ্বারা যখন মনে বাসনা ত্যাগের চেষ্টা জন্মে সেই প্রথম বৈরাগ্যের নাম যতমান। প্রথম বৈরাগ্য উদয়ের পরে যখন বুঝিতে পারা যায় যে, কোন এক বিষয়ের অনুরাগ মনে প্রবল ভাবে আছে তখন বৈরাগ্যবান ব্যক্তি উপায় দ্বারা তাহা ত্যাগ করিতে চেষ্টা করেন, ইহাকেই ব্যতিরেক বৈরাগ্য বলে । যখন মনে আর বিশেষ কোন বিষয়ের অনুরাগ থাকে না অথচ পূর্বসংস্কার বশত অতি সামান্যরূপে কখন কদাচ ঔৎসুক্য উপস্থিত হয় তাহাকে একেন্দ্রিয় বৈরাগ্য বলে এবং যখন সেই ঔৎসুক্য পর্য্যন্ত নষ্ট হইয়া বিষয়ামুরাগের সংস্কার গুলির ও লয় হয় তাহাকে বশীকার বৈরাগ্য বলে । এখন বৈরাগ্যের বিষয় সামান্যরূপে কথিত হইল । কোন কোন ঋষির মতে মন শাসন করিতে হইলে আধাত্মবিদ্যালাভ, সজ্জন-সমাগম, বাসনা ত্যাগ ও প্রাণ স্পন্দন নিরোধ এই চারিটি উৎকৃষ্ট উপায় । মনঃসংযম করিতে হইলে সৰ্ব্বাবস্থাতেই জ্ঞান ও বিচারের আবশ্যক । বাস্তবিক অষ্টাঙ্গ যোগেও সমাধি ও জ্ঞান প্রাপ্তির জন্যই সমস্ত ক্রিয়াযোগ সাধন এই অষ্টাঙ্গ যোগে ও বহিরঙ্গ, অন্তরঙ্গের সহায়ক বলিয়াই গ্রহণীয় নচেৎ বহিরঙ্গ সাধন জন্য বহিরঙ্গের আবশ্যক নাই । যদি ' কেহ বহিরঙ্গ সাধন না করিয়া অন্তরঙ্গ সাধন করিতে পারেন তাহাতে কিছুমাত্র ক্ষতি হয় না ও অনেক স্থলে উত্তমাধিকারিগণ যোগের বহিরঙ্গ অর্থাৎ যম নিয়ম, আসন প্রাণায়াম ও প্রত্যাহার ও বিশেষতঃ প্রাণারাম সাধন না করিয়াও কেবল বিচার ও বিবেক দ্বারা মন নিগ্রহ করণে সমর্থ হইয়াছেন এরূপও দেখা যায়। যাহা হউক আমি এইমাত্র বলিতে পারি যে ৰে