পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 מ"ג ) הוא ASLCZYTAMSMAAASAAAA عضها عد-ينسيد ang=get=ș = sa مسجد সহকৃত বলিয়া বিষয় জীবের অধিকৃত। জম্মিয়াই মনুষ্য যাহাকে অধিকার করিতে পায় তাহাতেই তাহার ভোগ-লালসা সহজে ধাবিত হয় । সুতরাং এই বৈচিত্রময় সংসারে মনুষ্য প্রথম হইতেই সংসত্ত হইয়া ইতস্তত ধাবিত ও ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের বিষয়-রস আস্বাদন করিতে থাকে। বিষয় কিন্তু শ্বোভাবা, ইহা অাজ আছে কা’ল নাই। ইহা পরিণামে দুঃখপ্রদ। একটু চিন্তার সহিত নিরীক্ষণ করিলেই বুঝা যায় যে এই সংসার তরঙ্গ-সস্কুল অপার সমুদ্রের ন্যায় ভীষণ । ভোগ-পূহ ও অতৃপ্তি সংসার-সমুদ্রের এই দুই উত্তাল তরঙ্গ। যেমন ভোগ-স্পৃহা উঠিতেছে, অমনি অতৃপ্তি আসিয়া দেখা দিতেছে, আর এই সমুদ্রে দুঃখশোকে ভাসমান মনুষ্য সন্তাপে সমাচ্ছন্ন হইয়া পড়িতেছে । সংসার-ক্লেশে ক্লিষ্ট মনুষ্য যখন স্বীয় দুঃখ মোচনের জন্য ইচ্ছা করে ; চির শান্তির পিপাসা যখন তাহার হৃদয়ে জাগ্রৎ হয়, তখন তাহার সেই আত্ম-সম্বন্ধ, ঈশ্বরের সহিত তাহার যে নিগুঢ় অপরোক্ষ-যোগ, তাহা স্মৃতিপথে পতিত হয় এবং তখন সে তাহাতে ঘনিষ্ঠতা স্থাপন করিতে যত্ন করে। যে উপায় অবলম্বন করিলে এই নিগুঢ় অপরোক্ষ যোগের বিষয়, ব্রহ্মাত্মার | সাক্ষাৎকার, লাভ হয় ও অন্তরে তাহার দগ্ধেন্ধনমিবানলং জ্যোতিৰ্ম্ময় স্বরূপ অাবিভূত হইয়া মানবের সকল পাপ তাপ ও ংসার ক্লেশ ভস্মীভূত করিয়া দেয় তাহাই ধৰ্ম্ম। এই পৃথিবীতে মনুষ্যসমাজে বিবিধ ধৰ্ম্ম প্রচারিত রহিয়াছে। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম তাহারই একটি ধৰ্ম্ম । আমরা এই ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া অনুশিষ্ট হইয়াছি। এই ধৰ্ম্ম অতিপবিত্র ও মহান । ইহা যেমন পবিত্র ও মহান তেমনি তপঃসাধ্য। সন্ন্যাসীর ধৰ্ম্মও উপদেশ סף তপঃসাধ্য বটে, কিন্তু তাহ অরণ্য ও গুহাবাসী। শিশুর কোমল মুখশ্ৰী, সতীর পবিত্র প্রেম, পিতা মাতার পুত্রবাৎসল্য ও সন্তানের পিতৃমাতৃসেবা হইতে র্তাহীদের ধৰ্ম্ম অবসর গ্রহণ করেন । কিন্তু ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সেই ধৰ্ম্মাবহ পাপমুদ পরমেশ্বরের অtদেশে সংসারে স্ত্রীপুত্র পরিবারে আবৃত হইয়া বিষয় ভোগের সঙ্গে সঙ্গে তপঃসাধন করিয়া থাকে। ব্রাহ্মধৰ্ম্মাবলম্বী এই বিনাশশীল দুঃখশোকপ্রদ ঘটনা সকলের মধ্যে থাকিয়াই তাহার অন্যতর রসাস্বাদন করিবেন। বিনাশের মধ্যে অমরত্ব, দুঃখের মধ্যে সুখ ও শোকের মধ্যে শান্তিকে লাভ করিবেন । অতএব ইহা কঠোরতর তপঃসাধ্য ধৰ্ম্ম । কিন্তু এখন কথা এই যে, আমরা এই ব্রাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়। তৎসাধনে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিয়াছি কি না ? যদি এই প্রশ্নের উত্তর লাভের জন্য আপনাদের জীবনের প্রতি দৃষ্টিপাত করি, তবে দেখি যে আমরা কতকগুলি বহির্বিষয়ক জ্ঞান, অসংযত ইন্দ্ৰিয়, অসাধিত ধৰ্ম্ম, মলিন আত্মা, অপবিত্র মন ও অনাত্ম-প্রতিষ্ঠা লইয়। স্থখস্বপ্ন দর্শন করিতেছি। উড়পে আরোহণ করিয়া মহাসমুদ্র পারে যাত্রা করিতেছি । আমরা যাহা সম্পন্ন করিব তাহার যোগ্য উপকরণ সংগ্রহ না করিয়াই তৎকার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়াছি । অতএব দ্বেষ, কলহ, অপ্রীতি, আত্মাভিমান, যথেচ্ছাচার প্রভৃতি নিকৃষ্ট বৃত্তি-সকল আমাদিগকে আক্রমণ করিয়া পদে পদে ছিন্ন ভিন্ন করিয়া দিতেছে । আমরা বিষয়-বন্ধনে ব্যথিত হইয়া আত্ম সম্বন্ধ স্মরণ করিতেছি বটে, বহুল শাস্ত্রের অন্বেষণও সমন্বয় করিতেছি বটে, মুক্তির জন্য ধৰ্ম্ম-চর্চা করিতেছি বটে, যাগ যজ্ঞ ও পৌত্তলিকতাদি পরিত্যাগ করিয়া গৌরব