পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कूर्छ-ि כיל שצ שלוש - - - ፭)ፃ আমরা এই দুই মহাত্মার বিয়োগে অত্যন্ত দুঃখিত হইলাম । জানি না বঙ্গমাতা অtবার কবে এরূপ হসন্তান প্রসব করিবেন । বৈদ্যনাথে কুষ্ঠ-নিবাস সম্বন্ধে নিবেদন। বৈদ্যনাথ ভারতবর্ষের মধ্যে একটা অতি প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান । বৈদ্যনাথের অনুগ্রহে আরোগ্য লাভের আশায় নানা দেশ হইতে পীড়িত ব্যক্তিগণ এখানে উপস্থিত হন । অন্যান্য কঠিন রোগগ্রস্ত ব্যক্তি দিগের ন্যায় বহুসংখ্যক কুষ্ঠরোগীও ব্যাধিমুক্তির আশায় এখানে সনাগত হন। যাহাদের গৃহ এবং আত্মীয় স্বজনাদি অাছে, তাহারা পুনর্বার স্বদেশে প্রতিগমন করে, কিন্তু দরিদ্র এবং আত্মীয় স্বজনকর্তৃক পরিত্যক্ত অনেক রোগী মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত এখানেই বাস করে । তীর্থস্থানে অপেক্ষাকৃত অল্পায়াসে ভিক্ষা পাওয়া যায়, এবং এখানে থাকিলে বৈদ্যনাথের অনুগ্রহে তাহাদের ব্যাধির উপশম হইলেও হইতে পারে, এই আশায় কুষ্ঠরোগীগণ স্বদেশে প্রতিগমন অপেক্ষ বৈদ্যনাথেই বাস করা শ্ৰেয়ঃ মনে করে । এই দুই কারণে সকল সময়েই বৈদ্যনাথে বহুসংখ্যক কুষ্ঠরোগী দেখিতে পাওয়া যায় । যেরূপ ক্লেশে তাহারা এখানে জীবন যাপন করে, তাহ বর্ণন করিয়া হৃদয়ঙ্গম করাইবার সম্ভাবনা নাই। তাহদের বাসের জন্য কোন গৃহ নাই। রাজপথের পার্শ্বে, বৃক্ষতলে, পুষ্করিণীর ঘাটে, অনাবৃত অবস্থায় শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষ সকল ঋতু তাহাদিগকে অতিবাহিত করিতে হয়। রোগের প্রাবল্যে ষাছাদের হাত গলিয়া গিয়াছে, সে অবস্থায় শৃগাল কুকুরে আক্রমণ করিলেও তাহারা আত্ম রক্ষায় সমর্থ হয় না । অনেক হতভাগ্য প্রকাশ্য রাজপথের উপর পড়িয়াই প্রাণ ত্যাগ করে । গত বর্ষে এগার জন রোগী এইরূপ অবস্থায় এখানে প্রাণত্যাগ করিয়াছে। আশ্রয় গৃহের ন্যায় পানীয় জলের অভাবেও তাহারা অতি নিদারুণ ক্লেশ ভোগ করে। এখানকার গভীর কূপ হইতে দল উত্তোলন করা তাহাদের সাধ্যায়ত্ত নয় ; নগরে যে দুই একটা পুষ্করিণী আrছ, সংক্রামকত্বের ভয়ে লোকে তাহাদিগকে তাহ ব্যবহার করিতে দিতে. পারে না ; এ অবস্থায় সচ্ছন্দ স্নানাবগাহন তাহীদের ভাগ্যে প্রায়ই ঘটে না । তাহারা যদি তাহাদের পূয রক্তে বিষাক্ত মলিন বস্ত্রগুলি ধৌত এবং ক্ষত পরিষ্কার করিবার উপযোগী প্রচুর জল পায়, তাহ হইলেও তাহাদের অনেক ক্লেশ দূর হয়। পানীয় জলের জন্য, তাহারা যখন তাহtদের সেই গলিত হস্তে নদীর বালুক খনন করিতে থাকে এবং ঝড় বৃষ্টিতে উপদ্রুত হইয়া কম্পান্বিত কলেবরে বৃক্ষতল হইতে আশ্রয়ান্বেষণে ভ্রমণ করে, তখন তাহ দর্শন করিলে অশ্র সম্বরণ করিতে পারা যায় না । হিন্দুর এই তীর্থক্ষেত্রে এতগুলি হিন্দু রোগী, দুরবস্থায় কালযাপন করে, ইহা আমাদের সমগ্র হিন্দু সমাজের লজ্জার বিষয় বলিতে হইবে। ইহাদিগের মধ্যে ব্রাহ্মণ শূদ্র সকল শ্রেণীর লোক আছে। সাধ্যানুসারে ইহাদিগের দুরবস্থা বিমোচনের চেষ্টা করা হিন্দু সমাজের—অথবা কেবল হিন্দু সমাজের কেন, সহৃদয় ব্যক্তি মাত্রেরই— একান্ত কৰ্ত্তব্য । একটী রীতিমত আশ্রম প্রতিষ্ঠিত করিতে না পারিলে ইহাদিগের ক্লেশ সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত করিবার সম্ভাবন নাই। কিন্তু তাহার জন্য প্রচুর অ