পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృంసి তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । לe ז'יזס 3 השף পারিবে, এই আশায় সেই সকল উপদেশ এই পত্রিকায় ক্রমশঃ প্রকাশ করিতে মনস্থ করিয়াছি ।] শ্ৰীক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর । জ্ঞান ও ধর্মের উন্নতি । প্রথম উপদেশ—স্বষ্টি । ( ১১ই ফাঙ্কন রবিবার চতুর্দশী ব্রাহ্মসম্বৎ ৬১, ১৮১২ শক । ) যখন দেশ ছিল না, কাল ছিল না, তখন অনন্ত জ্ঞানস্বরূপ সেই পূর্ণ পুরুষ আপনার জ্ঞানে, প্রেমে, মঙ্গলভাবে, পূর্ণসৌন্দর্য্যে বিরাজ করিতেছিলেন । সেই অনন্ত জ্ঞানের যে মঙ্গল ইচ্ছা, তাহ তিনি আপনি নিত্যই জানিতেছিলেন । সেই মঙ্গল ইচ্ছা কি, না, তার স্বষ্টিতে জ্ঞানধৰ্ম্মের উন্নতি হউক। ঈশ্বর, তাহার এই মঙ্গল ইচ্ছা আমাদিগের নিকট প্রকাশ করিয়াছেন ; তাহার আনন্দ, প্রেম সৌন্দর্য্য স্বষ্টির মধ্যে বিতরণ করিয়া রাখিয়াছেন । র্তাহার উদ্দেশ্যই এই যে, জ্ঞান ধৰ্ম্মের উন্নতি চুউক । তিনি তাহার শক্তি এই অনন্ত অtকাশে ব্যাপ্ত করিলেন । সেই শক্তি— নীহারিক" (ether) । তিনি সেই নীহারিক। বিকম্পিত করিয়া দিলেন, আর তাহ একেবারে জ্বলিয়া উঠিল । ইন্দ্রিয়ের অগোচর নীহারিকা প্রত্যক্ষের বিষয় হইল । তাহার জ্যোতিতে সমুদয় আকাশ জ্যোতিষ্মান হইয়া উঠিল। স্বষ্টির প্রারম্ভে যদি কেহ থাকিত, তবে সে বুঝিতে পারিত যে, কেমন আশ্চৰ্য্য রকমে চারিদিকে জ্যোতির আবির্ভাব হইয়াছিল। এই জ্যোতির মধ্যে থাকিয়া তিনি আপনার মঙ্গল ইচ্ছা নিত্যই জানিতেছিলেন । তিনি ইচ্ছা করিলেন, আর অমনি সেই জ্যোতি ও তেজ ঘনীভূত হইয়া অগণ্য সূৰ্য্যরূপে পরিণত হইল। যেখানে অন্ধকারের মধ্যে নিবিড় অন্ধকার ছিল, সেই খানে দীপ্তিমান কোটি কোটি সূর্য্যের উদয় হইল। অগণ্য সূৰ্য্য উৰ্দ্ধেতে, অধোতে, দক্ষিণে, বামে র্তাহাকে পরিবেষ্টন করিয়া ঘুরিতে লাগিল । তার ইচ্ছাক্রমে প্রত্যেক সূৰ্য্য হইতে গ্রহ উপগ্ৰহগণ বিক্ষিপ্ত হইয়া সেই প্রতি সূর্যের চারিধারে ঘুরিতে লাগিল, অথচ ইহাদিগের মধ্যে কোন একটা অন্যের গাত্রে পতিত হইয়া চূর্ণ বিচূর্ণ হইল না। এই অক্ষর পুরুষের শাসনে এই অগণ্য সূর্যচন্দ্র বিধৃত হইয়া স্থিতি করিতেছে। র্তার স্বষ্টি এই অসীম আকাশে দেশকাল সূত্রে গ্রথিত হইল। তিনি তাহার শক্তি সমুদয় আকাশে ব্যাপ্ত করিয়া দিলেন । সেই শক্তি অামাদের এই জড়শক্তি ; এই জড়শক্তি আকর্যণ বিয়োজন রূপে, ঘাত প্রতিঘাতরূপে সমুদয় পদার্থে কার্য্য করিতেছে। নীহারিকা, বায়ু, অগ্নি প্রভৃতি স্থল সূক্ষ পদার্থ সকল আকাশে ওতপ্রোত হইয়া রহিয়াছে; এবং তিনি এই সমুদয়ই ধারণ করিয়া রহিয়াছেন । আমরা বিজ্ঞান, জ্যোতিষ, পদার্থবিদ্যা বা রসায়ন, যে শাস্ত্র যতই আলোচনা করি না কেন, তথাপি আমরা স্থষ্টি-কোঁশলে ঈশ্বরের অনুপম নৈপুণ্যের অন্ত পাই না। আজ কয়েক বৎসর হইল, একটা প্রকাণ্ড ধুমকেতুকে পৃথিবীর নিতান্ত অভিমুখীন হইতে দেখিয়া, জ্যোতির্বিদগণ পৃথিবীর বিনাশ সম্বন্ধে একপ্রকার নিঃসংশয় হইয়া বসিয়াছিলেন ; কবে উভয়ের