পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

والا اذatfraة সংঘর্ষণে উভয়েই চূর্ণ হইয়া যাইবে, এই ভয়ে তাহারা অস্থির হইয়া উঠিয়াছিলেন। এমন সময়ে সেই ধূমকেতু আপনারই তেজের আধিক্যে আপনা হইতেই খণ্ডবিখণ্ড হইয়া গেল এবং পৃথিবীও আকস্মিক বিপদ হইতে রক্ষা পাইল । যেখানে মনুষ্যের গণনা নিতান্ত ভীতি জনক, সেখানে ঈশ্বরের পালনী শক্তিক্ট ! আমাদের আশা ভরসা সকলই ; র্তাহার কৌশল কি আশ্চর্য্য । এই পৃথিবীতে আমরা এক সূর্য্যের উদয় দেখিতেছি, কিন্তু জ্যোতির্বিদগণ বলেন যে এমনও সব লোক আছে, যেখানে এক সূর্য্যের উদয় হইতেছে অন্য সূৰ্য্য অস্ত যাইতেছে। কোথাও বা দুই সূৰ্য্য এককালে উদয় হয় । নক্ষত্রদিগের মধ্যে আবার বর্ণভেদ কত—কোনটা লোহিত, কোনটা বা পীত, কোনটা নীলবর্ণ। ইহাদিগের সংখ্যাই বা কত । ইহাদের একদণ্ডের জন্য বিরাম নাই, সকলেই অসীমবেগে ধাবিত হইতেছে। সেই “একো বশী” সৰ্ব্বনিয়ন্ত পুরুষের শাসন, অসীম আকাশের অগণ্য গ্রহনক্ষত্র কেহই অতিক্রম করিতে পারিতেছে না—“তদু নাত্যেতি কশচন ।” বিশ্বস্রষ্টা পরমেশ্বর শোভার আগার এই জগতে জন্ম, বৃদ্ধি ও মৃত্যু—তিনেরই স্রোত প্রবাহিত করিয়া দিয়াছেন। এক দিকে র্তাহার যেমন পিতৃভাব, মাতৃবাৎসল্য, তেমনি আর একদিকে তিনি “মহস্তয়ং বজ্ৰমুদ্যতং।” তিনি আমাদের চক্ষুকে জ্ঞানের দ্বার করিয়া দিয়াছেন। আমরা জগৎ দেখিয় তাহার ইচ্ছা পাঠ করিতেছি এবং তাহার স্নেহ করুণা অনুভব করিয়া তাহার চরণে প্রীতিপুষ্প অপর্ণ করিতেছি ; প্রেমভরে র্তাহার উপাসনা 3었 ృo\రి कब्रिहउछ् ि।। ८य यांनन्न श्रांशद्रां अनूउद করিতেছি, তাহা অন্যকে না বলিয়া কোন মতেই শান্তিলাভ করিতে পারিতেছি না। এইরূপে ঈশ্বরের পবিত্র নাম দেশবিদেশে বিঘোষিত হইতেছে ; চারিদিকেই তাহার পবিত্র ধৰ্ম্ম প্রচারিত হইতেছে । ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ হরি ওঁ । el3 | ঈশ্বরের ত্রিকালজ্ঞতা ও মানবাত্মার স্বাধীনতা । যদ্যপি এরূপ কোন বস্তু থাকে যাহার কাৰ্য্য কলাপ কোন বিশেষ নিয়মের অধীন নহে, সকল সময়ে অনিয়মিত বা অনিশ্চিত ভাবে হইয়া থাকে, তাহ। হইলে উহার ভবিষ্যৎ কার্য্য নির্ণয় করা অপরের পক্ষে দুঃসাধ্য। এক ব্যক্তি কলিকাতা হইতে বোম্বাই নগরাভিমুখে যাত্রা করিয়া পথি মধ্যে অনিয়মিত রূপে অর্থাৎ কোন দিন ১০ ক্রোশ, কোন দিন ৫ ক্রোশ কোন দিন বা ২ ক্রোশ করিয়া অনিশ্চিত ভাবে গমন করিলে একমাস পরে উক্ত ব্যক্তি কত ক্রোশ দূরে আসিয়া উপস্থিত হইবে ইহা জ্ঞানবলে পূর্ব হইতে নির্ণয় করা যাইতে পারে না । কার্য্যের কোন নিয়ম না থাকিলে তাহার ভবিষ্যৎ ফল নির্ণীত হইতে পারে না। আমাদিগের আলোচ্য বিষয় মানবাত্মার স্বাধীনতা যদি আত্মার একটা ধৰ্ম্ম হয় অর্থাৎ আত্মার কার্য্যকলাপ যদি কোন বিশেষ নিয়মের অধীন না হয়, তাহ হইলে ইহার ভবিষ্যৎ কার্য্য কলাপ কা

  • আমরা এই প্রবন্ধট স্বাধীন চিন্তা প্রস্থত বলিয়। প্রকাশ করিলাম। ইহাতে যা কিছু মতভেদ

জাছে পরিশেষে তাহা দেখাইবার ইচ্ছা রহিল। সং ।