পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כיישג הfזהס প্রাপ্ত ృc(t শয় প্রবল। র্তাহারা ঈশ্বরকে সুখ-স্বরূপ বলিয়া অনুভব করিতে সমর্থ হইয়াছেন । ংসারী ব্যক্তিরা যেরূপ ধন জন মান লইয়া সুখী থাকে, ঈশ্বরপ্রেমিক ব্যক্তিগণ সেইরূপ কেবল ঈশ্বরকে লইয়া সবর্বদা সুখী থাকেন । সংসারী ব্যক্তিগণের মধ্যে যে ব্যক্তি অতিশয় স্ত্র্যৈণ, সে যেমন তাহার স্ত্রী ও স্ত্রীর সহিত সংস্থষ্ট তদীভ্রাতা ভ্রাতুষ্পপুত্র প্রভৃতি ব্যক্তি গণকে অতিশয় প্রেম করে, ঈশ্বরপ্রেমিক ব্যক্তিও সেইরূপ ঈশ্বর ও র্তাহার স্বস্ট জীবগণকে অতিশয় প্রেম করেন । ঈশ্বরের সহিত র্তাহার সম্বন্ধ স্থাপিত হওয়ায় ঈশ্বরস্থষ্ট জীবগণের সহিতও তাহীর সম্বন্ধ স্থাপিত হয়। এ জন্য যাহারা ঈশ্বরকে প্রেম করেন, র্তাহারাই কেবল জীবগণকে প্রেম করিতে পারেন । ঈশ্বরে র্যাহার প্রেম হয় নাই, তিনি সৰ্ব্বজীবে কখনও প্রেম করিতে পারিবেন না । মানবাত্মা যখন সকল সময়ে সুখ ও দুঃখের দ্বারা পরিচালিত হইতেছে, তখন ইহার গতি নির্ণয় করা সহজ । ইহার কার্য্যের যখন একটা নিয়ম প্রাপ্ত হওয়া গেল, তখন ইহার ভবিষ্যৎ কাৰ্য্যকলাপ পূর্ব হইতে নির্ণীত হইতে পারে। একটা মনুষ্য যতগুলি সুখদায়ক বিষয়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ জ্ঞান লাভ করিয়াছে, তন্মধ্যে যে বিষয়ট সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিকতর সুখজনক ও স্থায়ী বলিয়া সেই ব্যক্তি বিশ্বাস করে তাহার গতি সেই বিষয়েরই প্রতি হইবেক । ঈশ্বর সকল বস্তুতে অনুপ্রবিষ্ট হইয়া আছেন, সুতরাং তিনি সকলের তান্তরের বিষয় ও সকল ঘটনাই জানিতে পারেন । মানবাত্মার কার্য্যকলাপ ও বিশ্ব রাজ্যের ঘটনাবলী ঈশ্বরপ্রতিষ্ঠিত নিয়মের অধীন, সুতরাং ঈশ্বর মানবাত্মার ভবি ষ্যৎ কাৰ্য্য-কলাপ পূৰ্ব্ব হইতে জানিতে পারেন । আমরা স্বাধীন বা অধীন তাহ অন্য এক প্রকারে জানা যাইতে পারে । মনবাত্মা ঈশ্বর-সহবাস-জনিত অতুলনীয় আনন্দ প্রাপ্ত অথবা উহার আশায় আশ্বসিত হইবার পূর্বে কোন অনিত্য সুখে আসক্ত থাকিবেই। কারণ ইহা কোন বর্তমান সুখ বা সুখের আশে প্রাণে পোষণ না করিয়! থাকিতে পারে ন। আত্মা নীরসতা ঘৃণা করে । মনুষ্যগণ যে নানা প্রকার পাপে লিপ্ত হয় এবং ঐ সকল পাপ হইতে বিমুক্ত হইবার নিমিত্ত শতবার প্রতিজ্ঞা করিয়াও পুনরায় তাহাতে পতিত হয় তাহার কারণ এই যে তাহারা পাপ করিয়া যে স্থখ প্রাপ্ত হয়, তাহার তুল্য বা তদপেক্ষা অধিকতর স্থখ অন্য কোন বিষয় হইতে লাভ করিতে বা উহার আশায় আশ্বসিত হইতে না পারিলে উহারা পূৰ্ব্ব পাপ পরিত্যাগ করিতে পারে না । অনিত্য সুখ পরিত্যজ্য এবং নিত্য স্থখ অবলম্বনীয়, করুণাময় পরমেশ্বর আমাদিগকে এই শিক্ষা দিবার নিমিত্ত, অনিত্য সুখের পরিণাম যাতনাময় করিয়া দিয়াছেন । মনুষ্যগণ অনিত্য সুখে আসক্ত হইয়া যাতনা পাইলে কিছুদিন তাহা হইতে নিবৃত্ত থাকে। পরে প্রাণকে পরিতৃপ্ত করিবার নিমিত্ত অন্য কোন বিষয় ন পাইলে পুনরায় পাপে নিমগ্ন হয় । কারণ প্রাণকে অধিক দিন নীরস রাখিতে পারা যায় না । আমরা স্বাধীন হইলে আতি শীঘ্রই আত্মপ্রভাবে সাধু হইতে পারিতাম । ইহা অতি আশ্চর্য্যের বিষয় কেহই এপর্য্যন্ত আত্মপ্রভাবে পাপমুক্ত হইতে পারিল না । সকল সাধকই একবাক্যে স্বীকার করিয়াছেন ঈশ্বরের কৃপা না হইলে মুক্ত