পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృ08 তত্ত্ববােধিনী পত্রিক יוס ג סיף סיי _ _ _ _ _ _ _ হারও জ্ঞান দ্বারা নির্ণীত হইতে পারে না । কেহ কেহ মনে করিতে পারেন মনুষ্যগণই কার্য্যের অনিয়ম দেখিলে তাহার ভবিষ্যৎ ফল নির্ণয় করিতে অসমর্থ, কিন্তু সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বরের সম্বন্ধে এ কথা খাটে না । আমরা বলি যাহা আমাদিগের নিকটে স্পষ্ট রূপে অসম্ভব বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে, তাহা ঈশ্বরের নিকটে সম্ভব বলিয়া বিশ্বাস করিবার অবশ্যকতা কি ? আমরা চারি সংখ্যায় দুই সংখ্যা যোগ করিয়া দশ সংখ্যা করিতে পারি না । ঈশ্বর সর্বশক্তিমান বলিয়া কি তিনি দশ সংখ্যা করিতে পারেন ? তিনি উহ। পরিবেন না বলিয়া কি তাহাতে তাপূর্ণতা-দোষ বৰ্ত্তিতে পারে ? কখনই না । যাহা অসত্য তাহ সকল সময়েই অসত্য । এক্ষণে দেখা যাউক আমাদিগের তাত্মার স্বাধীন ইচ্ছা আছে কি না ? প্রণিধান পূর্বক দেখিলে জানিতে পারা যায়, আত্মার ইচ্ছ। তাহার জ্ঞানের অধীন, অর্থাৎ আত্মা কোন বিষয়ের জ্ঞান লাভ করিলে পরে তৎসম্বন্ধে তাহার ইচ্ছার উদ্রেক হয়। জ্ঞানের পূর্বে ইচ্ছার অস্তিত্ব থাকে না । আমরা একটী সুমিষ্ট ফল ভক্ষণ করিয়া তাহার রসজ্ঞান লাভ ; করিলে, পরে সেই ফল সম্বন্ধে আমাদিগের ইচ্ছা জন্মে। তাবার আমরা আত্মার প্রকৃতি পৰ্য্যালোচনা একটী বিষয় জ্ঞাত হই যে ইহার সুখ সুখী হইবার নিমিত্ত ইহাকে পরের সাহায্য গ্রহণ করিতে হয় । তজ্জন্য আত্মা যে बद्ध इड्रेळउ शशृ धों७ श्झ उांश लांऊ ধৰ্ম্মালোচনা, করিলে । মানবাত্ম। স্পুহা অতিশয় প্রবল। ইহা সকল সময়ে । সুখী থাকিবার জন্য অতিশয় ব্যগ্র । हेश আপন আপনি সুখী হইতে পারে না। । -- - - - a - SAA TTSASAS MS AMS SSSSSS -- করিবার নিমিত্ত সৰ্ব্বদা আকাঙ্খা করে । এই স্পৃহা চরিতার্থ করিবার নিমিত্তই মানবাত্মা যাবতীয় কাৰ্য্য করিতেছে । মানবগণ সুখের পশ্চাৎবর্তী হইয়াই হিংস্র-জন্তুপূর্ণ নিবিড় অরণ্যে, উত্তালতরঙ্গময় মহাসমুদ্রে, উত্তপ্ত বালুকাময় মরুভূমিতে, নরশোণিতসিক্ত রণক্ষেত্রে এবং ঘন তমসাচ্ছন্ন নির্বাত ভূগর্ভে অকাতরে গমন করিতেছে । সুখের জন্য মানুষ না করিতে পারে এমন কাৰ্য্যই নাই । আবার সুখ এবং দুঃখই মানবগণকে গুরু হইয়া জ্ঞান দান করিতেছে। অগ্নির উষ্ণতা, তুষারের শীতলতা, জড়ের স্থানবিরোধকতা প্রভৃতি ভৌতিক জ্ঞান, গৃহ নিৰ্ম্মাণ, নগর স্থাপন, সমাজ স্থাপন, বিদ্যালোচনা, কৃষি বাণিজ্যের উৎকর্ষ সাধন, শরীর রক্ষা, পরিবার প্রতিপালন, সমাজ রক্ষা, রাজ্য রক্ষা প্রভূতি কাৰ্য্য আমরা সুখ ও দুঃখেরই প্রসাদে শিক্ষা করিয়াছি। সুতরাং সুখের ন্যায় মানবের পরিচালক আর কিছুই নাই। চুম্বক যেরূপ লোহকে আকর্ষণ করে সেইরূপ সুখ মানবাত্মাকে আকর্ষণ করিয়া কার্য্যে প্রবৃত্ত করিতেছে। আত্মা সুখ ও দুঃখের নিতান্ত অধীন। সুখ যে কাৰ্য্য করিতে উত্তেজনা দেয়, আত্মা তাহা করিতে বাধ্য এবং দুঃখ যে কাৰ্য্য করিতে নিষেধ করে আত্মা তাহ হইতে প্রতিনিবৃত্ত হয় । কেহ কেহ এরূপ মনে করিতে পারেন, যদি সকল সময়ে সুখের দ্বারাই পরিচালিত হয়, তাহা হইলে আমরা এরূপ কেন দেখিতে পাই যে অনেক সাধু ব্যক্তি নিজ সুখে জলাঞ্জলি দিয়া দীন দুঃখী ও পীড়িত ব্যক্তির সেবায় নিযুক্ত হয়েন ? ইহার কারণ এই যে এই সকল সাধু ব্যক্তির ভগবৎ-প্রেম অতি