পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈতন্য Ç র্তাহার শিষ্যগণ १ כי נ ש: faזיה: করিতে পারি।” “পুণ্যং প্রাণান ধারয়তি পুণ্যং প্রাণদমুচ্যতে । পুণ্য জীবের প্রাণ ধারণ করেন, পুণ্য প্রাণদাতা বলিয়া উক্ত হইয়াছেন । পুণ্যবান মনুষ্য ইহকালে পবিত্র কীৰ্ত্তিলাভ ও পরকালে উন্নত লোকে গমন করেন ৷” আজ যখন এখানে আসিয়াছি— আজি যখন এই বৎসরের শেষ দিনে একত্র মিলিত হইয়াছি, তখন ঈশ্বরের নিকট মার্জন ভিক্ষা না করিয়া যেন গৃহে প্রত্যাগমন না করি। তিনি যখন র্তাহার বিদ্রোহী সন্তানেরও বেদন নিবারণ করেন, তখন এই যে র্তাহার ভক্তসমাজ—ইহাদিগের হৃদয়ের ক্রন্দন শুনিবেন না ? হে দয়াময় পিতা, অন্তর্যামী ভগবান, তোমার চরণ প্রান্তে তাজ আমরা পাপ তাপে উত্তপ্ত হৃদয় উপহার অানিয়াছি— । তুমি ইহা গ্রহণ কর । তুমিই জান সেই ৷ ৎসরের প্রারম্ভে তোমার নিকট আশী ববাদ প্রার্থনা করিয়াছিলেন—তোমার । নিকটে প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলাম যে তোমার আদেশের বিরুদ্ধে একপদ ও অগ্রসর হইব না, পাপের দিক দিয়াও যাইব না ; কিন্তু হায় । আজ ষে এই বৎসরের শেষ দিনে আসিয়াছি—আজ কি সেই বিশুদ্ধ হৃদয় অানিতে পারিয়াছি ? না । কতবার পাপে নিমগ্ন হইয়া ছিলাম—কতবার তোমার আদেশের বিপক্ষে একপদের পরিবর্তে দশপদ অগ্রসর হইয়াছিলাম। হে করুণাময়ী জননি, তোমার নিকটে আজ পাপদগ্ধ হৃদয় আনিয়াছি ; তুমি আমাকে মার্জনা করিয়া তোমার ক্রোড়ে তুলিয়৷ লও ; তুমি সৰ্ব্বদাই আমার সম্মুখে প্রকাশিত থেকে । তোমার নিকট বারম্বার এই প্রার্থনা করি যে, তুমি আমাকে পাপ হইতে রক্ষ, কর ; পাপের বিন্দুমাত্র হৃদয়ে - --ബ দেখা দিলে বঞ্জের আঘাতে তাহা দগ্ধ করিয়া ফেলি ও । তোমার প্রেমমুখ cमशिग्ना श्रांगांद्र नग्रनय विघ्न छूब श्ब्रा যাউক ; আমার হৃদয় পবিত্র হউক । আমার হৃদয়ে তোমার শুভ আশীৰ্ব্বাদ বর্ষণ কর –তোমার শুভ আশীৰ্ব্বাদ বর্ষণ কর । ওঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ হরি ওঁ । শ্রীচৈতন্য ও তাহার শিষ্যগণ । সনাতন গোস্বামী । (পূৰ্ব্ব প্রকাশিত্তের পর) বিষ্ণুভক্তি-পরায়ণ সাধুর শরীরে সকল মহাগুণের সঞ্চার হয় । হে সনাতন ! সং ক্ষেপে বৈষ্ণব লক্ষণ বলিতেছি শ্রবণ কর । কৃপালু, অকৃতদ্রোহ, সত্যবাদী, নির্দোম, বদান্য, মৃদু, শুচি, অকিঞ্চন, সৰ্ব্বোপকারক, শান্ত, কৃষ্ণৈক শরণ, অকাম, নিরীহ, স্থির, বিজিতষড়গুণ, মিতভুক, আ প্ৰমত্ত, মানদ, অমানী, গুস্ট্রর, করুণ, মৈত্র, কবি, দক্ষ, মৌনী উইসকল বৈষ্ণব লক্ষণ বলিয়া জানিবে । ভাগবতে দেবহুতিকে কপিলদেব বলিয়াছেন, সাধু ব্যক্তি সৰ্ব্বদুঃখসহনশীন, কারুণিক ও সকল প্রাণীর সুখদ ; তাহার কেহ শত্রু নাই, তিনি শান্ত ও সরলস্বভাব এবং সুশী লতাই তাহার ভূষণ স্বরূপ । হে সনাতন ! সাধুসঙ্গ হইতেই হরিভক্তির জন্ম হয় । ভাগবতের উপদেশ এই, পণ্ডিতেরা বলিয়াছেন, মহৎসেবা সাধুসঙ্গই মুক্তির দ্বার, আর যোষিৎসঙ্গীদিগের সঙ্গই নরকের দ্বার। সেই সাধুরাই মহৎ, যাহারা সৰ্ব্বত্র সমদৰ্শী, প্রশান্তচিত্ত, ক্রোধশুন্য, বন্ধুভাবাপন্ন ও সদাচার সম্পন্ন। সৎসঙ্গের মানতু্য অসীম। ভাগবতে কথিত হইয়াছে ;