পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

% سb তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ও কল্প, ১ ভাগ “অত আত্যস্তিকং ক্ষেমং পৃচ্ছামো ভবতোইনঘাঃ ।” সংসারেস্মিন ক্ষণার্দ্ধোইপি সৎসঙ্গঃ সেবধিৰূর্ণাং ॥ হে অনঘ ঋষিগণ ! আপনাদিগকে এখন আত্যন্তিক মঙ্গলকর বিষয় জিজ্ঞাসা করিতেছি । এ সংসারে ক্ষণকালমাত্র ংসঙ্গ লাভে ও মহানিধি লাভ হয় । “সতাং প্রসঙ্গাম্মম বীর্য্যসম্বিদে ভ বন্তি সৎকর্ণবসায়ন: কথাঃ । তজ্জোষণাদাশ্বপ বগবত্মণি শ্রদ্ধারতিভক্তিরমুক্রমিষ্যতি ॥” সাধুজনের সহিত প্রকৃষ্টরূপে সঙ্গ হইলে, আমার বীর্য্য প্রকাশ ক হৃৎকর্ণর সায়ণ কথা উপস্থিত হইয়া থাকে । তাহ। শ্রবণ দ্বারা অপবর্গবত্ম স্বরূপ শ্ৰীহরিতে প্রথমতঃ শ্রদ্ধা তৎপরে রতি ও অবশেষে ভক্তি উৎপন্ন হইয়া থাকে । সনাতন ! অসৎসঙ্গই অনর্থের মূল । অসৎসঙ্গ ত্যাগই বৈষ্ণবের শ্রেষ্ঠ সদা চার। স্ত্রীসঙ্গাদিগকে অসাধু ও অভক্ত । ললিয়া জানিবে । “ন তথাস্থ্য ভবে স্মোহো বন্ধশচাদ্য প্রসঙ্গ ত: | যোষিৎসজ্ঞ পুংসো যথা তৎসঙ্গিসঙ্গত: ॥” রমণীসঙ্গ রমণীসঙ্গীদিগের সঙ্গ যেমন মোহ ও বন্ধনের কারণ, অন্যের সঙ্গ তেমন নয় । Go ۶ی" "সত্যং শৌচং দয়া মৌনং বুদ্ধি ষ্ট্ৰীঃ ই র্যশ: ক্ষম। •, মা দমে ভগশেচ ত যং সঙ্গাং যাতি সংক্ষয° ॥’ হে সনাতন ! অসাধুসঙ্গে সত্য শোচ দয়া সৎপ্রবৃত্তি বুদ্ধি লজ্জা শ্ৰী যশ ক্ষম। শম দম ঐশ্বর্য্য সকলি ক্ষয় প্রাপ্ত হয় । “তেলশান্তেষু মূঢ়েযু পণ্ডিতাম্বুস্বসাধুষু | সঙ্গং ন কুর্য্যাচ্ছোচ্যেষু যোৰিংক্রীড়ামৃগেষচ ॥" যাহারা অশান্ত, মূঢ়, খণ্ডিতাত্ম। অথাৎ দেহেতে যাহাঁদের আত্মবুদ্ধি, যাহার। শোকের পাত্র এবং ক্রীড়ামুগের ন্যায় যোগ্ৰাগণের একান্ত অধীন ; সেই সকল অসাধু জনের সঙ্গ করিবে না । ভক্ত বৈষ্ণব এই সকল দুঃসঙ্গ ও বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মের অসার কৰ্ম্মকাণ্ড পরিত্যাগ করিয়া তৃণাদপি সুনীচ অকিঞ্চন হইয়া শ্ৰীহরির শরণাপন্ন হইয়া থাকেন । সৰ্ব্বশক্তিমান, ভক্তবৎসল করুণাময় ভগবানকে পরিত্যাগ করিয়া পণ্ডিতগণ কখন অন্যের ভজনা করেন না । শরণাগত অকিঞ্চন ভক্তের লক্ষণ এই, ঈশ্বরসেবার অমুকুল বিষয় গ্রহণ ও প্রতিকূল বিষয় বর্জন, ভগবান আমাকে রক্ষা করিবেন’ এই বিশ্বাস, র্তাহার রক্ষিতৃত্বে আত্মসমপণ, তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধনে সুখ দুঃখ চিন্তা না করিয়া আত্ম নিক্ষেপ করা এবং তাহার শরণ বি যয়ে নিষ্ঠাযুক্ত মতি, এই ছয়টি শরণাগতের লক্ষণ । ভাগবতে ভগবান বলিয়া ছেন ; “ মর্ত্যে যদা ত্যক্ত সমস্ত ক ৰ্ম্ম। নিবেদিতাত্মা বিচি কীর্ষিতোমে । তদামৃতত্বং প্রতিপদ্যমানে ময়াত্মভূয়াস চ কল্পতে বৈ ৷” মরণশীল মনুস্য যখন সমস্ত কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিয়। আমার সেবাতে আত্ম নিবেদন করেন, তখন তিনি আমু তত্ব লাভ করিয়া মভূল্য ঐশ্বৰ্য্য প্রাপ্তির যোগ্য হয়েন । “পূৰ্ব্ব আজ্ঞা বেদ ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম যোগ জ্ঞান । সল সাপি শেষে এই আজ্ঞা বলবান ॥ এই অজ্ঞাবলে ভক্তের শ্রদ্ধা যদি হয় । সৰ্ব্ব কৰ্ম্ম ত্যাগ করি সে কৃষ্ণ ভজয় ॥ শ্রদ্ধাশব্দে বিশ্বাস কহে সুদৃঢ় নিশ্চয়। কৃষ্ণ ভক্তি কৈলে সৰ্ব্ব কৰ্ম্ম কৃত হয় । শ্রদ্ধাবান জন হয় ভক্তি অধিকারী । উত্তম মধ্যম কনিষ্ঠ শ্রদ্ধা অনুসারী ॥ শাস্ত্র যুক্তি শুনি পুনঃ দৃঢ় শ্রদ্ধা র্যার। উত্তম অধিকারী তিহু তরয়ে সংসার ॥ শাস্ত্র যুক্তি নাহি জানে দৃঢ় শ্রদ্ধাবান । মধ্যম অধিকারী সে ও মহাভাগ্যবান ॥