পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ها و یاد stfa চৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ ృo a ইহার উত্তরে আমরা বলি, তিনি র্তাহার ক্ৰোধবৃত্তি চরিতার্থ করিবার নিমিত্ত আমাদিগকে যাতনা দিতেছেন না, তিনি অপুর্ণ অজ্ঞান জীবকে নিত্য ও অনিত্য সুখের জ্ঞান প্রদান করিবার নিমিত্ত দুঃখের স্বষ্টি করিয়াছেন। ইহা তাহার প্রেমেরই পরিচায়ক, নির্দয়ত নহে। অজ্ঞান বালক অগ্নিতে হস্ত প্রদান করিলে যাতন প্রাপ্ত হয় । ঈশ্বর যখন বালককে গুণ জ্ঞান প্রদান না করিয়া স্বষ্টি করিয়াছেন, সে অগ্নিতে হস্তপ্রদান করিলে তাহাব কোন অপরাধই হইতে পারে না । কিন্তু তিনি করুণাময় ও ন্যায়বান হইয়াও নিরপরাধ বালককে তাগ্নির জ্ঞান প্রদান করিবার নিমিত্ত যাতনা দেন । তিনি এই যাতনা প্রদান না করিয়া বালককে অন্য কোন উপায়ে রক্ষা করিতে পারিতেন কিন্তু তাহা হইলে বালক কোন কালে অগ্নির জ্ঞান লাভ করিতে পারিত না । পশু পক্ষীগণ যেরূপ সংস্কার দ্বারা জ্ঞানীর ন্যায় কাৰ্য্য করে কিন্তু কোন বিষয়ের প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করিতে পারে না, বালকের অবস্থাও তাহাই হইত। সুতরাং যাতনা দ্বারা ঈশ্বর আমাদিগকে জ্ঞান দান করিয়া প্রেমেরই কাৰ্য্য করেন । তিনি যাতনা হইতে আমাদিগকে দূরে রাখিয়া অজ্ঞান করিয়া রাখিলে তাহার করুণ প্রকাশ হইত না, বরং নির্দয়তাই প্রকাশ হইত। এই বিষয় পরে অন্য এক স্থানেও আলোচিত হইবেক । ক্রমশঃ । সনাতন রন্দাবনে সুবুদ্ধিরায় | শ্রীচৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ । সনাতন গোস্বামীর নীলাদ্রি গমন । ( পূৰ্ব্ব প্রকাশতের পর ) রূপ নীলাদ্রি হইতে স্বদেশে প্রত্যাগমন করিবার কিছু দিন পরে সনাতন বৃন্দাবন হইতে নীলাচলে আসিতে ইচ্ছা করেন। প্রভৃতি বৈরাগী ভক্ত সাধকদিনের পবিত্র সহবাসে কিয়ৎদিন অৱস্থান করিবার পর ঝারিখণ্ডের বন্য পথে নীলাদ্রি অভিমুখে বহির্গত হই লেন {-গিনি রাজসেব্য নানাবিধ সুরস ভক্ষ্য ভ্যোজ্যে পরিপুষ্ট ও সন্তুগু থাকিয়া পার্থিব স্থখৈশ্বর্ঘ্যের সর্বোচ্চ মঞ্চে উল্লাসতরঙ্গে ক্রীড়া করিতেন, বৈরাগ্যের কঠোর পেষণ তিনি আর কত দিন সহ্য করিতে পরিবেন ? অনাহার অনিদ্রা পথ শ্রম ও ঝারিখণ্ডের অস্বাস্থ্যকর জলপান ইত্যাদি বিবিধ কারণে সনাতনের দেহ অচিরাং ভাঙ্গিয়া পড়িল, এবং সবর্বাঙ্গে কণ্ডু (চন্মরোগ) উৎপন্ন হইয়। তাহ। হইতে শোণিত ও রস নিঃস্থত হইতে লাগিল । শরীরের এই অবস্থা দেখিয়া সনাতনের মনে নির্বেদ উপস্থিত হয়, এবং মনে মনে এই চিন্তা করিতে থাকেন যে, “আমি একে নীচ জাতি, আমার এই পাপ দেহও অতি আসার ; শুনিয়াছি জগন্নাথের মন্দিরের নিকটেই চৈতন্যপ্ৰভু অবস্থিতি করেন । সেখানে জগন্নাথের পরিচারকেরা কাৰ্য্যানুরোধে সৰ্ব্বদাই যাতায়াত করিয়া থাকেন। আমি তাহাদিগকে স্পর্শ করিলে আরও আমার অপরাধ বৃদ্ধি হইবে । এ অবস্থায় যদি রথযাত্রাকালে মহাপ্রভুর সম্মুখে জগন্নাথ দৰ্শন করিতে করিতে রথচক্রে এই তুচ্চ শরীর পরিত্যাগ করি, তাহা হইলে দুঃখের শান্তি হয় এবং পর