পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سbه خ؟ তত্ত্ববোধিনী ויש ב .0ף 9יל লোকে সদগতি লাভ করিতে পারি ।” সনাতন এইরূপ চিন্তা করিয়া হরিদাসের সাধনকুটীরে সমুপস্থিত হইলেন, এবং তৎসঙ্গে প্রেমারসালাপে প্রবৃত্ত হইয়া নিৰ্ম্মল প্রেমানন্দসুধা সম্ভোগ করত কতক্ষণে গৌরচন্দ্রের সাক্ষাৎকার লাভ করিবেন এই জন্য অতিশয় ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন । এমন সময়ে ভক্তবৃন্দ সমভিব্যাহারে গৌরাঙ্গ তথায় আগমন করিলে সনাতনের সহিত র্তাহার মিলন হইল। চৈতন্য সনাতনকে আলিঙ্গন করিতে যতই অগ্রসর হন, সনাতন ততই পশ্চাত্ৰে গমন করেন আর নিতান্ত সঙ্কুচিত হইয়া বলেন, “প্ৰভু রক্ষা করুন, আমাকে স্পর্শ করিবেন না, একে আমি অস্পৃশ্য হীন,কণ্ডুরসে অামার সর্বাঙ্গ অপবিত্র, আপনার পায় পড়ি আমাকে স্পর্শ করিবেন না।” আচণ্ডালে হরিনাম বিতরণ করিবার জন্য যিনি অবতীর্ণ হইয়াছেন ; অধিক কি যাহার অলৌকিক প্রেম গলিতকুষ্ঠ রোগগ্রস্তকেও আলিঙ্গন করিতে পরাজখ হয় নাই, তিনি কি প্রাণসদৃশ প্রেমাস্পদ শিষ্য ভক্তপ্রবর সনাতনের গাত্রে গাত্ৰ-কণ্ডু-নিঃস্বত শোণিত রস দেখিয়া ঘৃণা করিবেন ? প্রেমিক চৈতন্য সনাতনকে বলপূর্বক হৃদয়ে গ্রহণ করিলেন । তদনন্তর সনাতনের সহিত চৈতন্য প্রভুর ইষ্টালাপ হইতে লাগিল । কনিষ্ঠ ভ্রাতা অনুপমের মৃত্যুসংবাদ সনাতন এইখানে আসিয়া অবগত হইলেন । চৈতন্য অনুপমের ভক্তিনিষ্ঠার প্রশংসা করিলে সনাতন বলিলেন ; "সনাতন কহে নীচ বংশে মোর জন্ম । অধৰ্ম্ম অন্যায় যত আমার কুলধৰ্ম্ম ॥ F হেন বংশে ঘুণ ছাড়ি কৈলে অঙ্গীকার । তোমার কৃপাতে বংশের মঙ্গল আমার ॥ যে বংশ উপরে তোমার হয় কৃপা লেশ । नकल भन्न ठा ॐांझ1थ८७ जय cङ्गअं ॥ চৈতন্য চরিতামৃত অস্ত্যখণ্ড ১ পরিচ্ছেদ । অতঃপর শ্রীচৈনন্ত সনাতনকে হরিদাসের সঙ্গে কৃষ্ণভক্তিরস আস্বাদন করিতে উপদেশ দিয়া আপনার আশ্রমে গমন করিলেন। চৈতন্য প্রতিদিনই হরিদাসের কোলাহলশূন্য শান্তিরসাম্পদ আশ্রমে আগমন করিয়া সনাতনসহ সৎ প্রসঙ্গে কিছুক্ষণ যাপন করিয়া নিৰ্ম্মল সুখানুভব করিতেন । রথাগ্রে সনাতনের দেহপাত করিবার ইচ্ছা জানিতে পারিয়া একদিন গৌর বলিলেন, “সনাতন ! দেহত্যাগ করিলে যদি ভগবানকে লাভ করা যাইত, তবে মুহূৰ্ত্ত মধ্যে কোটি দেহনাশ করিতে পারিতাম। দেহত্যাগাদি তমোগুণের লক্ষণ, তাহাতে কৃষ্ণলাভ হয় না ; কেবল ভক্তি পূর্বক ভজন সাধনে র্তাহাকে লাভ করা যায় । ভক্তি ব্যতীত হরিচরণ প্রাপ্তির আর পথ নাই । ভক্তিতে ভগবানে প্রেম উৎপন্ন হয়, এই প্রেমই কৃষ্ণচরণ প্রাপ্তির একমাত্ৰ হেতু দেহনাশ করা তামসিক ধৰ্ম্ম, তাহ পাপের কারণ বলিয়। জানিবে । প্রেমিক ভক্ত শ্ৰীকৃষ্ণের বিরহবিকারে ব্যথিত হইয়া প্রাণ বিসর্জন করিতে চায় এবং গাঢ় প্রেমানুরাগ জন্মিলে প্রাণনাথের বিরহজ্বালা অসহ্য হয় সন্দেহ নাই ; কিন্তু প্রেম-ব্যাকুলতাই আবার হৃদয়নাথকে হৃদয়ে আনিয়া দেয় । তুমি কুবুদ্ধি পরিত্যাগ করিয়া ভগবানের নাম মহিমা শ্রবণ কীৰ্ত্তন কর, আচরাৎ কৃষ্ণপ্রেম

  • “ন সাধয়তি মাং যোগে ন সাংখ্যং ধৰ্ম্ম উদ্ধব । ন স্বাধ্যায়স্তপস্ত্যাগে যথা ভক্তিক্ষ্মমোর্জিত ॥”

ভাগবত ১১শ স্কনা ৷ হে উদ্ধব ! মৎসম্বন্ধীয় উজ্জিতা অর্থাৎ সাধনাত্মিক ভক্তি আমাকে যেরূপ বশীভূত করিতে পারে ; কি চান্দ্রায়ণাদি কি সাংখযোগ কি সদাচার কি স্বাধ্যায় কি তপস্যা কি ত্যাগ কিছুতেই তেমন পারে না ।