পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

च_=__ चभिश्त्रं *७*७० চৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ ృ0న) ধন লাভ করিতে পারবে। নীচ জাতি গেীরের মুখে অকস্মাৎ এই সকল কথা কৃষ্ণভজনের অযোগ্য নহে, সদ্বংশজাত । শ্রবণ করিয়া সনাতন বিস্ময়াবিষ্ট হইলেন, বিপ্ৰ হইলেই তাহার যোগ্য হয় না। হে সনাতন ! শ্ৰীহরির ভজনাতে জাতিকুলের কোন বিচার নাই । যে হরির আরাধনা করে সেই শ্রেষ্ঠ হয়। দয়াময় ভগবান দীন দুঃখীর প্রতিই অধিক দয়া করেন, কুলীন পণ্ডিত এবং ধনশালী ব্যক্তির বঅভিমানী । হরি-পদারবিন্দ-বিমুখ দ্বিষড়গুণযুক্ত বিপ্র অপেক্ষা হরিগতপ্রাণ চণ্ডালও বরণীয়, ইহাই ভাগবতের উপদেশ * । ভজনের মধ্যে শ্রবণ, কীৰ্ত্তন, স্মরণ, পদসেবা, অৰ্চনা, বন্দনা, দাস্ত, সখ্য ও আত্মনিবেদন এই নয় লক্ষণযুক্ত ভক্তির অনুষ্ঠানই শ্রেষ্ঠ হরিপ্রেমই হরিকে আনিয়া দিতে সমর্থ, তদ্ভিন্ন অন্য উপায় নাই, নামসংকীর্তনই সকল সাধনের সার বলিয়া জানিবে । নিরপরাধে নাম লইলে প্রেমধন লাভ হয়।

  • বিগ্রাদ্বিষড় গুণযুতাদরবিন্দনাভ

পাদারবিন্দবিমুথাৎ শ্বপচং বরিষ্ঠং। মন্যে তদপিতমনোবচনেহিতার্থ প্রাণং পুনাতি স কুলং ন তু ভূরিমানঃ ॥ শ্ৰীমদ্ভাগবৎ ৭ম স্কন্ধ । ধৰ্ম্ম, সত্য,দম,তপস্যা, অমাৎসৰ্য্য, লজ্জা, তিতিক্ষা, অহিংসা, যজ্ঞ, দান, ধূতি, বেদাধ্যয়ন, এই দ্বাদশ গুণ সম্পন্ন ব্রাহ্মণ যদি হরিপদারবিন্দবিমুখ হন, তাহার অপেক্ষা যে চণ্ডাল প্রাণ মন বাক্য কৰ্ম্ম ধন সকলই ভগবানে সমর্পণ করিয়াছেন, তিনিই শ্রেষ্ঠ । যেহেতু এরূপ চণ্ডাল হইতে কুল পবিত্র হয়। কিন্তু তদ্রপ গৰ্ব্বিত ব্রাহ্মণ, কুল দূরে থাকুক আপনাকেও পবিত্র করিতে পারে না। + শ্রবণং কীৰ্ত্তনং বিষ্ণোঃ স্মরণং পাদসেবনং অর্চনং বন্দনং দাস্যং সথ্যমাত্মনিবেদনং | ইতি পুংসাপিত বিষ্ণে ভক্তিশ্চেন্নবলক্ষণ । ক্রিয়তে ভগবত্যন্ধ। তন্মন্যেইধীতমুত্তমং ॥ ভাগবত ৭ম স্কন্ধ নারদ বাক্য । ভগবান বিষ্ণুর লীলা মহিমাদি শ্রবণ, কীৰ্ত্তন, স্মরণ, ও তাছার পরিচর্য্য, অষ্টন, বন্দন, তাহাতে দাস্যভাবে কৰ্ম্মাপণ, বিশ্বাস ও আত্মনিবেদন এই নয় লক্ষণযুক্ত ভক্তি যদি ভগবানে সমর্পণ পূৰ্ব্বক অনুষ্ঠান করা যায়, আমার বিবেচনায় তাহাই উত্তম অধ্যয়ন । এবং তাহার চরণে ধরিয়া বলিতে লাগিলেন “তুমি সকলই অবগত আছ,আমি ত কাষ্ঠযন্ত্র মাত্র, যেমন নাচাও, তেমনি নাচি, যেমন করা ও তেমনি করি । অামি অতিহীন পামর, অামাকে জীবিত রাখিলে তোমার কি লাভ হইবে ?” চৈতন্য বলিলেন, “তোমার পে ই আমার নিজস্ব ধন, তুমি আমাকে আত্মসমপণ করিয়া এখন আবার পরের দ্রব্য কেন বিনাশ করিতে চাহিতেছ ? ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কি বিচার করিতে পার না ? তোমার দ্বারা অামি বহু প্রয়োজন সাধন করিব । তুমি বৃন্দাবনে থাকিয়৷ ভক্ত, ভক্তি, কৃষ্ণপ্রেমতত্ত্ব এবং বৈষ্ণবের নিত্য কৃত্য ও আচার ব্যবহারাদি নিৰ্দ্ধারণ কর । লোক সকলকে বৈরগ্য শিক্ষা দিয়া কৃষ্ণভক্তি ও কৃষ্ণসেবা প্রচার কর, ইহা আমার একান্ত ইচ্ছ। আমি মাতৃআজ্ঞায় নীলাচলে বাস করিতেছি ; বৃন্দাবনে গিয়া এই সকল কাৰ্য্য করিতে আমার শক্তি নাই। তোমার দ্বারা এই সকল মহৎ কাৰ্য্য আমি সিদ্ধ করিব, তুমি দেহপাত করিবে ইহা কি আমি সহ্য করিতে পারি ?” হরিদাসকে সম্বোধন করিয়া আবার বলিলেন, শুন হরিদাস ! ইনি পরের দ্রব্য বিনাশ করিতে চাহিতেছেন, তুমি নিষেধ কর, যেন এমন অন্যায় কাৰ্য্য না করেন। সনাতন চৈতন্যের স্নেহবাক্যে কথঞ্চিৎ আশ্বস্ত হইয়৷ তদীয় চরণে নমস্কার পূর্বক বলিতে লাগিলেন, “তোমার গম্ভীর হৃদয় আমি কি বুঝিব, আমি কাষ্ঠপুত্তলিকার ন্যায়, আপনাকে আপনি চিনি না, তুমি যা করাও তাই করি।” হরিদাস বলিলেন, ঠাকুর, তোমার গুঢ়তত্ত্ব কে জানিতে সমর্থ ? কোন কাৰ্য্য তুমি কাহার