পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כיישג הןfזהס আমাদের দায়িত্ব ృ్ఫNరి বর্তী হইলে আমরা তপ্ত হই না, প্রত্যুত স্নিগ্ধতা—শান্তিলাভ করি। কিন্তু ইহাই আশ্চৰ্য্য যে আমরা তাহ প্রায় ভুলিয়া থাকি । এখানে আমরা জ্ঞান ধৰ্ম্মে কতই উন্নতি লাভ করিতে সমর্থ হইতাম যদি না . ঐরূপ ভ্রম আমাদের ভাগ্যে প্রায় ঘটিত । ভ্রম আমাদের কথায় কথায় । মঙ্গলময়ের উপর একান্ত আন্তরিক শ্রদ্ধা ভক্তি প্রীতি না থাকিলে ভ্রমের রাজ্য হইতে আমাদের নিষ্কৃতি লাভের উপায় নাই । ভ্রম নিরাসের জন্য মানুষের উপর অধিক নির্ভর করিলে বিশেষ কোন ফলো দয় হয না। প্রত্যুত অনেক সময়ে ফল এই হয়,যে এক ভ্রম হইতে ভ্ৰমান্তরে ভ্রমণ করিতে হয়, শান্তি সহজে লাভ করা যায় না। শান্তিলাভ করিতে হইলে করুণাময়ের আশ্রয় নিতান্তই অবশ্যক । তাহার আশ্রয় পাইলে, যেমন সমুদ্রের জল লবণাক্ত হইলেও তদুখিত বাষ্প নিৰ্ম্মল হইয়াই উৰ্দ্ধ আকাশে উত্থিত হয়, সেইরূপ আমরাও এই ধূলিনিৰ্ম্মিত নশ্বর দেহেই পবিত্র হইয়া উন্নতির পথে উথিত হই। ইহা জানিয়াও কিন্তু আমরা মোহ ছাড়ি না, তাহাকে প্রীতিভরে আলিঙ্গন করি না। আর কষ্ট পাইলেই বলি ঈশ্বর আমাদিগকে যাতনা দিতেছেন । ফলতঃ এইরূপ চিন্তা করাও দোষাবহ । ঈশ্বর আমাদিগকে দয়া করিতে বিন্দুমাত্রও পশ্চাৎপদ নহেন। তিনি সুখ বিতরণে মুক্তহস্ত,র্তাহার দ্বার অবারিত,তিনি সৰ্ব্বস্থখদাতা ; তিনি আমাদিগকে অশেষ বিষয়ে অধিকারী করিয়াছেন । কিন্তু তাহ হইলে কি হইবে, আমরা আপনাদের দোষে সে অধিকার হইতে বঞ্চিত হই, সে অধিকারজনিত উপকার লাভ করিতে পারি না । গ্রীশ দেশীয় রাজা এলেকজগুর যখন বালক ছিলেন সেই সময়ে যখন র্তাহার সঙ্গীগণ র্তাহাকে তাহার পিতার ভূরি ভুরি জয়াধিকারের সংবাদ দিত তখন আলেকজ গুর তাহাতে আহলাদিত না হইয়। তাহাদিগকে কহিতেন “আমার পিতা আমার জন্য কিছুই রাখিবেন না” । সঙ্গীরা তাহাতে আশ্চর্য্য হইয় তাহাকে পুনশ্চ কহিত, কেন ইহার অর্থ কি ? তোমার পিত, তো তোমারই জন্য সমুদয় উপাৰ্জ্জন করিতেছেন। তাহার ভরে তিনি কহিতেন “আমি অনেক বিষয়ের উত্তরাধিকারী বটে কিন্তু নিজে কিছুই করিতেছি না।” এই গ্রীকরাজের মনে বাল্যকাল হইতেই স্বীয় কৰ্ম্মের দায়িত্ব উপলদ্ধি হইত। তিনি নিজে একজন ভালরূপ কৰ্ম্মিষ্ঠ পুরুষ না হইলে তাহার পিতার রাশি রাশি অধিকার যে বৃথা হইবে প্রথম হইতেই ইহা তিনি বিলক্ষণ বুঝিতেন । আলেকজগুরের ন্যায় এই স্বীয় কৰ্ম্মের দায়িত্ব সকল মানুষেরই বুঝিবার কথা । স্বস্ব কৰ্ম্মের উপর আমাদের বিশেষ রূপ দৃষ্টি রাখা চাই। আমরা অগ্রে যথার্থ কৰ্ম্মী হইলে তবে আমাদের পরমপিতার প্রদত্ত অধিকার সমূহ ঠিক উপলব্ধি ও ধারণ করিতে পারিব । কেবল পরচর্চায় আকম্মণ্য ভাবে দিনাতিপাত করিলে তাহার দত্ত অধিকার বুঝিতে পারি না। আর তজ্জন্য পিতার বিষয়ে অনধিকারী হইয় অসৎপুত্রের ন্যায় তাহার নামে অযথা দোষ অারোপ করিলে চলিবে কেন ? এই অযথা দোষারোপ দ্বারা আমরা সহজ উপায়ে নিজে দোষমুক্ত হইবার চেষ্টা পাই বটে কিন্তু সত্য যাইবে কোথায় ? যখন দোষ অধিক পরিমাণে আমাদিগকে গ্রাস করিয়া ফেলে তখন আমাদের চৈতন্য হয় এবং তৎকালে আমরা অনুতপ্ত হৃদয়ে মুক্তিলাভের প্রয়াসী হইয়া উঠি । মুক্তির জন্য তখন