পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هو سی و چtRiچ Γα, üμα প্রাপ্ত আনন্দে বিহ্বল হইয়া কেবল র্তাহারই নাম গান করিতে থাকে, এবং সানন্দে বলিতে থাকে “ব্রহ্মকৃপাহি কেবলমৃ” । যাহা হউক আত্মপ্রভাব সম্পূর্ণরূপে পরীক্ষিত না হইলে এবং তত্ত্বজ্ঞান বৃদ্ধি প্রাপ্ত না হইলে আমাদিগের আত্মার স্বাধীনতায় বিশ্বাসটা অন্তর হইতে বিলুপ্ত হয় না, সুতরাং আমাদিগের কোন ক্ষতি হয় না . জীবনের যে অবস্থায় আমরা স্বাধীনতাহীন | অর্থাৎ ঈশ্বরপ্রতিষ্ঠিত নিয়ম সমূহের সপূর্ণ অধীন বলিয়া বুঝিতে সমর্থ হই, সে অবস্থায় তাহার নিয়মানুযায়ী অনিত্য বিষয় হইতে যাতনা করিতে পারি না, কারণ জ্ঞানোন্নতি হও য়ায় আমরা স্থম্পষ্ট বুঝিতে পারি যে সূক্ষভাবে বিচার করিলে উভয়কে সম ঈশ্বর সর্বশক্তিমান হইলেও তিনি র্তাহার অনুরূপ পূর্ণ সৎ চিৎ ও আনন্দসম্পন্ন একটা জীব বা আর একটী ব্ৰহ্ম স্থষ্টি করিতে পারেন না। র্তাহার স্বস্ট জীব যতই উন্নত হউক না, সে জ্ঞান শক্তি ও আনন্দে তাহার স্রষ্টা পূর্ণ ব্রহ্ম অপেক্ষ | | কার ! সুখ ও দুঃখ দ্বারা পরিমাণ করিয়া থাকি । নিকৃষ্ট থাকিবেই। আবার তিনি মানবা- ৷ জুাকে অতিশয় অপূর্ণভাবে স্বষ্টি করিয়াছেন । তিনি তাহাকে একবারে জড় ও পরমার্থ জ্ঞানসম্পন্ন করিয়া স্বষ্টি করেন নাই । সংসারে তাহাকে নানা প্রকার অবস্থায় পাতিত করিয়া স্থখ ও দুঃখ দ্বারা তিনি সৰ্ব্বপ্রকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ জ্ঞান প্রদান করেন । সুতরাং স্বস্ট জীবের ভাগ্যে অজ্ঞানতা, দুর্বলতা ও নিরানন্দ অপরিহার্ষ্য । এই সময়ে দুঃখকে আমরা সানন্দে আলিঙ্গন করি এবং তাহার প্রসাদে নূতন নূতন জ্ঞান অর্জন করিয়া উন্নত হইয়াছি বলিয়া করুণাময় পরমেশ্বরের নিকটে কতই কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করিতে থাকি । ృషి(t m.μ. με "Τη -- --ജബ് -ജബ് আমরা তাহাকে অসমদৰ্শিতা দোষেও আর দোষী করিতে পারি না, কারণ জ্ঞানপ্ৰভাবে স্পষ্ট রূপে দেখিতে পাওয়া যায় মনুষ্যগণ বিভিন্ন অবস্থাপন্ন হইলেও তাহাদের সকলের ভাগ্য ঠিক একই প্রআমরা ভাগ্যের উৎকর্ষপকর্ষ আমরা স্থল দৃষ্টিতে মনুষ্যগণের মধ্যে কাহাকেও ভাগ্যবান কাহাকেও বা ভাগ্যহীন মনে করি, কিন্তু সূক্ষভাবে দেখিলে জানিতে পারা যায় সকলের ভাগ্য সমান। একজন সম্রাট ও একজন নিরক্ষর কৃষকের প্রাপ্ত হইয়া আর । আমরা তাহাকে নির্দয় বলিয়া দোষারোপ । অবস্থার বিষয় তুলনা করিয়া আমরা যে সময়ে বিচার করি স্থলদৃষ্টিতে সম্রাটকে কৃষক অপেক্ষ ভাগ্যবান মনে হয়, কিন্তু ভাগ্যবান বলিয়া বোধ হইবে । ন্যায়বান বিধাতা মানবাত্মা সম্বন্ধে এরূপ একটী অত্যাশ্চর্য্য বিধান রাখিয়াছেন যে মানবগণ যে অবস্থায় প্রথমে স্বস্ট হইয়াছে সেই অবস্থা হইতে তাহাদিগের গন্তব্য স্থান— প্রকৃত সুখ শান্তির প্রস্রবণ ব্রহ্ম প্রাপ্তি বা মুক্তি প্রাপ্তির অবস্থা পৰ্য্যন্ত মধ্যের পথটীতে তত্ত্বজ্ঞান লাভের জন্য সকলকে সমান পরিমাণ দুঃখ যাতনা ভোগ করিতে হয় । সময়ের অল্পাধিক্য আছে কিন্তু দুঃখের পরিমাণের অল্পাধিক্য নাই। দুঃখ যাতনার পরিমাণ সকলের ভাগ্যে সমান । এক ব্যক্তি হয়ত ত্রিংশৎ বৎসর বয়সে ব্ৰহ্মানন্দ প্রাপ্ত হইতে পারেন, আবার একজন হয়ত পঞ্চাশৎ বৎসর বয়সে ব্রহ্মানন্দ পাইতে পারেন। কিন্তু প্রথমোক্ত ব্যক্তির ত্রিশ বৎসরের দুঃখ যাতনার পরিমাণ শেষোক্ত ব্যক্তির পঞ্চাশ বৎসরের দুঃখ যাতনার পরিমাণ অপেক্ষা নূ্যন নহে। এই জন্য মুমুক্ষু ব্যক্তির প্রাণের অবস্থা