পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক

  • е фа. t4

যানের বেগপ্রভাবে শতশত ক্রোশ একটি দ্বিনের মধ্যে যাওয়া যাইত না এবং যখন পথে পথে দস্থ্যদল পথিকদিগের সর্বনাশ করিবার জন্য ঘুরিয়া বেড়াইত । *প্রথম বয়সেই সাংসারিক সকল সুখ পরিত্যাগ করিয়া এক সত্যের জন্য কত কষ্ট স্বীকার করিয়াছেন । এত অল্প বয়সে একাকী পরিব্রাজক হইয়া কঠোর হিমালয় ভেদ করিয়া ধৰ্ম্মের প্রতি কি অপ্রতিহত অনুরাগ প্রকাশ করিয়াছেন।”ঃ যাহা হউক তিনি । হিমালয় হইতে ফিরিয়া আসিয়া নানা বিঘ্ন করিয়া কলিকাতায় স্বস্থির হইয়া বাস করিতে লাগিলেন । এই সময় হইতে তাহার কার্য্য প্রকৃতরূপে আরম্ভ হইল ; এই সময় হইতেই তিনি একেশ্বরবাদ প্রকৃতরূপে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য বেদান্ত প্রভৃতি গ্রন্থ অনুবাদ করিতে লাগিলেন । তিনি বাল্যাবস্থাতেই কোরাণ পড়িয়া দেখিয়াছিলেন যে তাহ। একেশ্বরবাদই প্রচার করিতেছে এবং তাহার পরে সংস্কৃত শাস্ত্র সকল অধ্যয়ন করিতে গিয়া ও দেখিলেন যে তাহাতে ও ঐ একই কথা । তখন তিনি ভাবিলেন যে খৃষ্টানদিগের বাইবেল শাস্ত্রও নিশ্চয়ই একেশ্বরবাদ প্রচার করিবে ; তাই তিনি বাইবেল পড়িয়া বাইবেলের মধ্য হইতে প্রমাণ আম্বেষণ করিতে লাগিলেন এবং দেখিলেন যে বাস্তবিক বাইবেলও একেশ্বরবাদই প্রচার করিয়াছে। বাইবেল হইতে একেশ্বরবাদ প্রচার করিবার আর একটা প্রধান কারণ এই যে, সেই সময় মিসনরিগণ দেশীয়দিগকে খৃষ্টান করিবার জন্য অত্যন্ত উৎসাহ পূৰ্ব্বক প্রবৃত্ত হই wo- -

  • * পঞ্চবিংশতি বৎসরের পরীক্ষিত বৃত্তাস্ত” প্রতিনিধি সভায় পূজ্যপাদ মছধির বক্তৃত।

| ബ=അഞ്ജുബ য়াছিলেন । রামমোহন রায় যদিও মুসলমানদিগকে, খৃষ্টানদিগকে, কোরাণ হইতে বাইবেল হইতে দেখাইয়াছেন যে র্তাহাদিগের ধৰ্ম্মশাস্ত্র একেশ্বরবাদই প্রচার করিয়াছে, কিন্তু র্তাহার আন্তরিক অভিলাষ এই ছিল যে প্রথম স্বজাতি স্বদেশীয়দিগকে হৃদয়ঙ্গম করাইয়া দেন যে, সমগ্র হিন্দুশাস্ত্রের চরম উপদেশ ব্রহ্মবিদ্যা ; তাহাদিগের প্রিয়তম হিন্দুধৰ্ম্মের মধ্যবিন্দু সেই একমাত্র শুদ্ধমপাপ বিদ্ধং পরব্রহ্ম । বিপত্তির পর চল্লিশ বৎসর বয়সে বাটি ক্রয় ! রামমোহন রায় যে সময়ে বর্তমান ছিলেন, সে সময়ের এমন-ই দুরবস্থা ছিল যে, রামমোহন রায় প্রকৃত হিন্দুধৰ্ম্মকে, সেই আর্য্য ঋযিদিগের পবিত্র ধৰ্ম্মকে কুসংস্কারের ঘোর কণ্টকারণ্য হইতে মুক্ত করিতে গিয়াছিলেন বলিয়া, তিনি তদানীন্তন নামত হিন্দুদিগের নিকটে অহিন্দু বলিয়া পরিচিত হইলেন ; কেবল তাহাই নহে, ইহার জন্য র্তাহাকে নানাপ্রকার অত্যাচার সহ্য করিতে হইয়াছিল । কিন্তু আজ বোধ হয়, এমন কোন হিন্দু নাই, যিনি রামমোহন রায়কে অহিন্দু বলিতে সাহসী হইবেন । বরঞ্চ, র্যাহারা মূৰ্ত্তিপূজার পক্ষপাতী, আমি তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছা করি যে, তাহার। বেদের কথা শিরোধাৰ্য্য করিবেন কি না ; র্তাহাদিগের মতে স্মৃতি তন্ত্র প্রভৃতি সমুদয় শাস্ত্র অগ্রাহ্য করা যাইতে পারিলেও বেদের কথা অগ্রাহ্য করা যাইতে পারে কি না ? আমার বিশ্বাস, তাহাদিগের মধ্যে কেহই বেদের কথা অগ্রাহ্য করিতে সাহস করিবেন না ; কারণ তাহ হইলে তিনি প্রচলিত প্রথানুসারে সমাজ | চু্যত হইলেও হইতে পারেন। আর বেদের কথা যদি শিরোধাৰ্য্য হয়, তবে