পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कॉर्डिंक ५v : ७ বেদে যখন ব্রহ্মোপাসনারই বিধি আছে এবং ব্রহ্মভিন্ন অন্য কোন কিছুর উপাসনা করিতে স্পষ্টাক্ষরে নিষেধ আছে, তখন তাহার কোন যুক্তিতে মূর্তিপূজার পক্ষে বক্তৃতাদি করিতে সাহস করেন ? বেদ বলিতেছেন "আত্মৈবেদং নিত্যদোপাসনং স্যাৎ নানা ২ কিঞ্চিৎ সমুপাসীত ধীরঃ” জ্ঞানবান ব্যক্তি পরমাত্মারই উপাসনা করিবেক, আর কোন কিছুরই উপাসনা করিবেক না। এখন বোধ হয়, সকলেই স্বীকার করিলেন যে, ব্রহ্মের উপাসনাই হিন্দুধৰ্ম্মের উদ্দেশ্য এবং এই ব্রহ্মের উপাসনা প্রথমতঃ ভারতবর্ষে প্রচার করাই প্রকৃত ভক্ত হিন্দুসন্তান মাত্রেরই কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম বলিয়া অবধারণ করা উচিত । রামমোহন রায় বেদান্ত প্রভৃতি গ্রন্থ হইতে ভারতে একেশ্বরবাদ প্রচার করিয়৷ র্তাহার হিন্দু নামের উপযুক্ত কাৰ্য্যই করিয়াছিলেন । তিনি একেশ্বরবাদী ছিলেন ; কিন্তু তিনি কিরূপ একেশ্বরবাদী ছিলেন ? তিনি বৈদান্তিকের ন্যায় অথবা অন্য কোন প্রকারের একেশ্বরবাদী ছিলেন ? তিনি যে প্রকারের একেশ্বরবাদী হউন না কেন, ইহা নিশ্চয় যে, তিনি “জানাম্যধৰ্ম্মং ন চ মে নিবৃত্তিঃ, জানামি ধৰ্ম্মং ন চ মে প্রবৃত্তিঃ” এই প্রকার পাপ পুণ্যের একাকার ভাবপ্রবর্তক নীরস শুষ্ক অপ্রকৃত বেদান্তমতের পক্ষপাতী ছিলেন না। প্রচলিত মতানুসারে কোন প্রকারেই তাহাকে একজন বৈদান্তিক বলা যাইতে পারে না । তিনি বেদান্তপ্রতিপাদ্য সত্যধৰ্ম্ম, পরে যাহার নামান্তর হইয়াছিল ব্রাহ্মধৰ্ম্ম, তাহাই তিনি প্রচার করিতে গিয়াছিলেন । তিনি বেদান্তসূত্রের যে টিপ্পনীর সহিত অর্থ রাজা রামমোহন রায় סאסאצ --α!" " -μ==m-φw - করিয়া গিয়াছেন এবং ভট্টাচার্য্যের সহিত র্তাহার যে বিচার চলিয়াছিল তাহtরই কয়েক স্থান উদ্ধৃত করিলেই এবিষয় বোধগম্য হইতে পারিবেক । এই সম্বন্ধে অনেক স্থানে এত আন্দোলন ও আলোচনা হইয় থাকে, যে শ্রোতৃমণ্ডলীর লিকক্তিভাজন হইলার আশঙ্কা সত্ত্বেও কয়েকটা স্থান উদ্ধৃত করিতে বাধ্য হইতেছি । তিনি একস্থানে বলিতেছেন যে “জীব আনন্দময় না হয় * * যেহেতু জীব আর ব্রহ্মের ভেদ বেদে দেখিতেছি।” তিনি দুই তিন স্থানে বেদবেদান্ত হইতে প্রতিপন্ন করিয়াছেন যে “বিবর্তরূপে ব্রহ্ম জগৎ কারণ হয়েন * * বিবর্ত শব্দের অর্থ এই যে আপনি নষ্ট না হইয়া কাৰ্য্যরূপে উৎপন্ন হয়েন।’ বর্তমান ব্রাহ্মগণ যখন বলেন যে ঈশ্বর জগত স্বষ্টি করিয়াছেন, তাহ হইতে বেদান্তের উক্ত কথার, কেবল কথার তারতম্য ব্যতীত পার্থক্য কোথায়, তাহ জানি না । রামমোহন রায় শ্রীতির দ্বারা স্পষ্টই দেখাইয়াছেন যে “ব্রহ্ম এই সকল অনুভূত বস্তুর মধ্যে কিছুই নহেন এই মাত্র ব্রহ্মের নির্দেশ, ইহা ভিন্ন আর নির্দেশ নাই। সত্যের ন্যায় প্রতীয়মান হইতেছে যে জগৎ তাহার মধ্যে যথার্থ রূপ যে সত্য তিনিই ব্রহ্ম ; প্রাণ প্রভূতি ব্ৰহ্ম নহেন, তাহার মধ্যে সত্য যে বস্তু তিনিই ব্রহ্ম হয়েন।” তিনি অনেকবার এই ভাবে বলিয়াছেন যে “যেমন মিথ্য সপ সত্য রজুকে অবলম্বন করিয়া সত্যরূপে প্রকাশ পায়, বস্তুতঃ . সে রজু সর্প হয় এমত নহে । সেইরূপ সত্যস্বরূপ যে ব্রহ্ম, তিনি মিথ্যারূপ জগৎ বাস্তবিক হয়েন না।” তিনি বেদান্তসূত্রের ভূমিকায় ব্ৰহ্মজ্ঞানীর LA LL