পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృNలి8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ১৩ কল্প, ১ ভাগ MSMSMS SSSS zSMSMSAAA MAAA SAAAAAS AAAASS পঙ্ক চন্দনে সমজ্ঞানের পক্ষীয়দিগের প্রতি একটু মৃদু মধুর উপহাস করিয়া বলিলেন যে “ব্রহ্ম উপাসনাতে ভদ্রাভদ্র জ্ঞানের বহিভূত হইয়। লোক ক্ষিপ্ত ছয় ইহাও লোকের বিশ্বাস জন্মে।” পূর্বোল্লিখিত ভট্টাচাৰ্য্য যখন জিজ্ঞাসা করিলেন যে “যদি কেহ কহে যে বেদান্তে সকলই ব্রহ্ম ইহা কহিয়াছেন তাহাতে বিহিত অবিহিত বিভাগ কি ? তবে কি কর্তব্য বা কি আ কর্তব্য” ইত্যাদি, তখন রামমোহন রায় প্রকৃত বেদান্তের পক্ষে দণ্ডায়মান হইয়া বলিলেন “যে ব্যক্তি এমত কহে যে সকলই ব্রহ্ম তাহাতে বিহিত অবিহিতের বিভাগ কি, তাহার প্রতি ভট্টাচার্স্যের এ আশঙ্কা করা যুক্ত হইতে পারে । কিন্তু যে ব্যক্তি কহে যে লোকেতে প্রত্যক্ষ যাহা যাহা হইতেছে তাহার বাস্তব সত্ৰা নাই যথার্থ সভা কেবল ব্রহ্মের, আর সেই ব্রহ্মসত্তাকে তাশ্রয় করিয়া লৌকিক মে যে বস্তু মে যে প্রকারে প্রকাশ পায় তাহাকে সেই যুক্ত হয় না।” রামমোহন রায় জানিতেন । যে প্রচলিত তাপ্রকৃত বেদান্তমত বড়ই তানিস্ট কর, তাই তিনি সংস্কৃত কলেজে বেদান্ত প্রভৃতি পড়ান হইবে শুনিয়া তাহার বিরুদ্ধে হিন্দু কলেজ সম্বন্ধে প্রার্থনাপত্রে fäs-C#: C. “Nor will youths be fitted to he better members of society by the Vedantic doctrines which teach them to believe, that all visible things have no real existence, that as father, brother &c, have no actual entity, they consequently deserve no real affection, and therefore the sooner we escape fi om thc world the better." অর্থাৎ যে বৈদান্তিক মত সমস্ত বস্তুর সত্তা লেপ করিয়া দিয়া একাকার ভাব প্রচার করে, তাহ। Ε Ι Ο ΠΕ - -l. AAAAAASAAAA S SAAAAAS SSS MMSMMS S S AAAAA MMM a a æma = = = = s ems* s = s* فضمصد শিক্ষা করিলে বালকেরা সামাজিক প্রভূতি কোন ও কৰ্ম্মেরই উপযুক্ত হইবেক না । হিন্দু কলেজ সম্বন্ধে প্রার্থনাপত্ৰ পড়িলেই মনে মনে এই প্রশ্ন উঠে যে, যদি তাহার বৈদান্তিকের বেদান্ত প্রচার করিবার ইচ্ছ। থাকিত, তবে তিনি সংস্কৃত কলেজ স্থাপনের বিরোধী হইলেন কেন ? অার এক কথা এই যে, যদি তিনি কেবল প্রচলিত বেদান্তই প্রচার করিতেন, তবে অন্যান্য আর ও অনেক বৈদান্তি ক পণ্ডিত ছিলেন, কিন্তু তাহদের প্রতি কোনরূপ অত্যাচারের কথা শুনা যায় না, কেবল র্তাহারই প্রতি অত্যাচার হইত কেন ? সকল কথা ছাড়িয়। দিলেও, বেদান্ত প্রচার করিতে গিয়া, অন্যান্য নান সুবিধা সত্ত্বে এক ব্রহ্ম সভাস্থাপনের জন্য র্তাহার কঠোর ত্যাগ স্বীকার করিবার কিছুমাত্র আবশ্যক ছিল না । তাহার গ্রন্থ আলোচনা করিয়া যতদূর বুঝ। যাইতে পারে, তাহাতে সকলেই ব্রাহ্মের প্রকৃত সেইরূপে ব্যবহার করিতে হয় ; # % ৷ তাহার প্রতি ভট্টাচার্য্যের এ আশঙ্কা কদাপি । অর্থে তাহাকে একেশ্বববাদী ব্রাহ্ম যথার্থ ভক্ত ব্রাহ্ম বলিবে । র্তাহাকে বৈদান্তিকগণ যে বৈদান্তিক বলিবে, ইহাতে আর অশ্চির্যের বিষয় কি, যখন র্তাহাকে তাহার মৃত্যুর পরে | মুসলমানের মুসলমান, খৃস্টানেরা খৃষ্টান বলিতে পারিয়াছিল । তাহার সকল ধৰ্ম্মের একেশ্বরবাদটুকুর সহিত অতি প্রগাঢ় সহানুভূতি ছিল ; এই জন্য সকল ধৰ্ম্মাবলম্বীগণ র্তাহাকে নিজনিজ দলের অন্তভুক্ত ভাবিতেন । র্তাহার উদারতা এত বিস্তু マラ যে আধুনিক থিওসফিষ্টগণও তাহার জীবন ও কার্য্যের মধ্য হইতে সহানুভূতি প্রাপ্ত হইয়া তাহাকে স্বদলে গ্রহণ করিয়াছেন । ধৰ্ম্মসংস্কারই রামমোহন রায়ের সকল কার্য্যের মধ্যে সর্বপ্রধান কাৰ্য্য বলিয়া,