পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चशश्ःध्रं *७ *७ ঐচৈতন্য ও র্তাহার শিষ্যগণ ృ8న) চিন্তাতেই নিমগ্ন হইয়া আছেন, কিন্তু অচিরে তিনি যে পরম ধন প্রাণারাম-ভগবানকে হৃদয়ে লাভ করিয়া ভব-যন্ত্রণ হইতে চিরদিনের মত মুক্তিলাভ করিবেন, তাহা কোন দিন স্বপ্নেও ভাবেন নাই । বিধাতা যখন দুঃখী জনের প্রতি দয়া করেন, তখন কাচ অন্বেষণ করিতে দিব্যরত্ব মিলাইয়া দেন, গরল প্রার্থনা করি:ে , ; অমৃত দান করেন । ব্রাহ্মণ সনাতনের আশ্রমে সমাগত হইয়া দ গুবৎ প্রণাম করিলেন, এবং আনন্দাবেশে করযোড়ে রহিলেন । সনাতনও ব্রাহ্মণকে প্রণাম করিয়া মিষ্ট বাক্যে বলিলেন, “ঠাকুর মহাশয়, তুমি কে ? এবং কি জন্যই বা এখানে আসিয়া আমার প্রতি কৃপা করিলে ?” সনাতনের নম্রতাপূর্ণ প্রিয়বাক্য শ্রবণ করিয়া বিপ্রের চিত্ত চমৎকৃত ও দ্রবীভূত হইয়া গেল। ব্রাহ্মণ সকল কথা সনাতনকে বিজ্ঞাপিত করিলে, সনাতন বলিলেন, আমি ভিক্ষাজীবী, কোথায় অর্থ পাইব ?” শ্রবণ করিয়া ব্রাহ্মণের হৃদয় বিদীর্ণ হইয়। গেল, নিরাশ হৃদয়ে নানাপ্রকারে বিলাপ করিতে লাগিলেন । ব্রাহ্মণের কাতরতা দেখিয়া সনাতন আকাশ পাতাল ভাবিয়া মণির বৃত্তান্ত মনে পড়িয়া গেল । ব্রাহ্মণকে আশ্বাসিত ও শান্ত করিয়া বলিলেন, “ঠাকুর, আমার স্মরণ ছিল না, মহাদেব মিথ্যা বলেন নাই, বহুমূল্য মণি লইবে, আমার সঙ্গে চল দেখাইয়া দিই ।” সনাতন ব্রাহ্মণকে সঙ্গে লইয়া যমুনাতীরে গেলেন, এবং বামহস্তের তর্জণী হেলাইয়া বলিলেন, “এইস্থানে মৃত্তিকা খুড়িয়া দেখ।” ব্রাহ্মণ মৃত্তিকা খনুন করিয়া মণি না পাইয়া সনাতনকে বলিলেন, “তুমি উঠাইয়া দাও।” তিনি বলিলেন, আমি -omos স্নান করিয়াছি স্পর্শ করিব না। পুনর্বার খুজিতে খুজিতে ব্রাহ্মণ মণি পাইলেন এবং গোসাইকে প্রণাম করিয়া চলিয়া গেলেন । পথে যাইতে যাইতে জীবন মনে মনে এই চিন্তা করিতে লাগিল, গোসাই এমন মূল্যবান রত্ন কেন আমাকে দিলেন, ইহা রাখা কি স্পর্শ ক ! দূরে থাকুক, একবার চাহিয়া ও দেখিলেন না,আর আমি ইহারই জন্য ব্যাকল হইয়া ঈশ্বরের আরাধনা করিলাম, এইত আমার চরিত্র ! ছিঃ! ছি ! আমার এই ঘৃণিত জীবনে শত ধিক্‌ ! আর এই রত্নকেও ধিক্ ! এই অসার বস্তু দূরে পরিত্যাগ করিয়া আমি তাহার চরণে শরণ লইব, তিনি যে ধন পাষ্টয়া মজিয়া আছেন, আমি তাহাই লইব, বিনা মূল্যে আমি তাহার পদে বিক্রীত হইব । দরিদ্র ব্রাহ্মণ এইরূপ ভাবিয়া ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ করিয়া বটেশ্বর গ্রাম হইতে ফিরিয়া গেলেন, এবং সনাতনের পদতলে পড়িয়া বলিতে লাগিলেন, “এই তুচ্ছ মণি মুক্তাতে আমার আর প্রয়োজন নাই, কৃপা করিয়া আমাকে চরণে স্থান দিয়া কৃষ্ণ প্রেমধন দান করিয়া কৃতাৰ্থ কর।” গোআকুল হইলেম । এমন সময়ে দৈবাৎ ৷ সাই বলিলেন, “তুমি তাহ পাইবে না, গৃহে গিয়া ত্রীকৃষ্ণের আরাধনা কর, সংসার হইতে উত্তীর্ণ হইবে।” ব্রাহ্মণ বলি লেন, “আমি গৃহে যাইব না, তোমার চর ণই একমাত্র আমার ভরসা, কৃপা করিয়া মূঢ় জনকে আশ্রয় দাও।” সনাতন বলিলেন, “যদি মণি পরিত্যাগ করিতে সমর্থ হও, তবে হরিধন পাইবার যোগ্য হইতে পারিবে ।” এই কথা বলিবা মাত্র ব্রাহ্মণ মণি যমুনা মধ্যে নিক্ষেপ করিলেন। তাহ দেখিয়া সনাতন মহা আনন্দিত হইয়া ব্রাহ্মণকে গাঢ় আলিঙ্গন করিলেন, এবং