পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S(Yა তত্ত্ববোধিনী পত্রিক -- * - - usms - E=ms ہےطے বিস্তর প্রশংসা করিয়া কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষিত করিলেন । ধন্য সনাতন ! তুমিই প্রকৃত ম্পর্শমণি,তোমার সাধু জীবনের স্পর্শ মাত্রে ব্রাহ্মণের ক্ষণস্থায়ী পার্থিব ধনের পিপাসা মিটিয়া গেল। তদবধি এই ব্রাহ্মণের ংশধরেরা গোস্বামী বলিয়া বিখ্যাত হইয়াছেন এবং তাহারা মানকর পরিত্যাগ করিয়া কাঠমাড়গা গ্রামে অদ্যাপি বাস করিতেছেন । রূপ সনাতন বিবিধ শাস্ত্রে যদিও প্রবীণ পণ্ডিত ছিলেন, তথাপি নিরভিমান নিৰ্ম্মৎসর হইয়া আপনাদিগকে অতি অকিঞ্চন জ্ঞান করিতেন। যাহারা পৃথিবীর মান সন্ত্রম ইন্দ্রিয়তৃপ্তি ভোগৈশ্বৰ্য্য তৃণের ন্যায় পরিত্যাগ করিয়া পরমেশ্বরের শরণাপন্ন হইয়াছেন, প্রাকৃত জনোচিত গৰ্ব্ব অভিমান তাহাদের স্বগীয় হৃদয়ে কি প্রকারে স্থান পাইবে ? একদা একজন দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত পাণ্ডিত্যাভিমানে স্ফীত হইয়া রূপ সনাতনকে বিচার-যুদ্ধে আহ্বান করেন । হরিপ্রেমে প্রেমিক নিরকঙ্কার রূপ সনাতন বিনা বিচারে পরাজয় স্বীকার করিয়া পণ্ডিতকে জয়পত্র লিখিয়া দি. লেন । এই সময়ে জীব গোস্বামী যমুনাতে স্নান করিতে গিয়াছিলেন । দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত জীবকে জয় করিতে অভি মহাসমারোহে যমুনাতীরে উপস্থিত হইলেন, এবং জীবকে বলিলেন, রূপ সনাতন বিচারের ভয়ে আমাকে জয়পত্র লিখিয়৷ দিয়াছেন, তুমি হয় বিচার কর, নতুবা জয়পত্র লিখিয়া দাও । জীব ইহা শুনিয়া চিন্তা করিয়া দেখিলেন, এ ব্যক্তি রূপসনাতনের মহিমা কিছুই জানে না, পণ্ডিতাভিমানী হইয়া তাহাদিগকে পরাভব করিয়াছি মনে করিয়া গৰ্ব্ব করিতেছে, এই | १दर्द शर्त कद्रा चांदर्भाक । ५ई उॉबिग्री প্রসন্ন হইলেন না । লাষ করিয়া হস্তী অশ্ব প্রভৃতি সঙ্গে লইয়া | $७ बहंका, $ ख्रीं প্রকাশ্যে বলিলেন, বিনা শাস্ত্রপ্রসঙ্গে তুমি তাহাদিগকে কি প্রকারে পরাভূত করিলে ? যাহউক, আমি তাহীদের এক জন ক্ষুদ্র শিষ্য, আমাকে পরাভব কর, দেখি তোমার কেমন পাণ্ডিত্য। এই বলিয়া জীব শাস্ত্রবিচারে দিগ্বিজয়ীকে পরাস্ত করিয়া তাহার দপ छू{ করিলেন । রূপ গোস্বামী এই বিচারের কথা শুনিয়া অত্যন্ত কুপিত হইলেন, এবং জীবকে ভৎসনা করিয়া বলিলেন, তুমি জয় পরাজয় মান অপমান ত্যাগ করিয়া বৈরাগী হইয়াছ, তবে কেন পরাজয় করিতে ইচ্ছ করিলে । আপনি পরাভব স্বীকার করিয়া অমানী হইয়৷ দীনতার সছিত কেন তাহাকে মান ও জয়দান করিলে না ? জীব বলিলেন, গুরুনিন্দ অসহ্য এই জন্য বিচার করিয়াছি । জীব গোস্বামীর অভিমান নাই, রূপ তাহ জানিতেন, তথাপি লোকশিক্ষার উদেশে শাসন করিবার জন্য বলিলেন, “অদ্য হইতে আমি আর তোমার মুখাবলোকন করিব না।” গুরুদেবের এই বাক্য বজের ন্যায় জীবের হৃদয়ে বিদ্ধ হইল, কাতর হৃদয়ে অনেক স্তুতি মিনতি করিলেন, কিন্তু তাহাতে রূপ অবশেষে অন্ন জল পরিত্যাগ করিয়া যমুনাতটে নির্জন স্থানে থাকিয়া গুরু-পদধ্যানে নিযুক্ত হইলেন, গুরু-বিরহ-শোকে দুই নয়নে অবিরল জলধারা বহিতে লাগিল। কৃচ্ছসাধ্য তপস্যাতে শরীর ক্রমে শীর্ণ হইয়া আসিল । সনাতন জীবের এরূপ কষ্টকর অবস্থা শুনিয়া দুঃখিত হইলেন এবং রূপের নিকট গিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, যতপ্রকার সদাচার আছে, তন্মধ্যে সকলের ইষ্টজনক শ্রেষ্ঠ সদাচার কি ? রূপ বলিলেন, প্রভু,