পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৩২ কেমন এক পবিত্র ভাব আনয়ন করিতেছে। গণ দুর্গম কবিসা বলিয়াছেন “দুর্গং প্রকৃতির সৌন্দর্য্যে সেই পূর্ণ সৌন্দর্ঘ্যের ছায়ামাত্র দেখিতে পাইতেছি । এই এমন সুন্দর কালে এমন সুন্দর স্থানে আসিয়া কি আমরা রিক্তহস্তে ফিরিয়া যাইব ? ইহাও কি কখন হইতে পারে যে, যে দয়াময় পরমেশ্বর আমাদিগকে অযাচিত ভাবে সকল প্রকার সুখ সম্পদ মুক্তহস্তে বিতরণ করিতেছেন ; আর আজ আমরা এই ভক্ত-সমাগম-ক্ষেত্রে র্তাহাকে “হৃদয় থালভার ভক্তি পুষ্পহার” উপহার প্রদান করিতেছি, তখন তিনি কি আমাদিগকে অমৃ তদান করিবেন না ? তিনি অবিরলধারে আমাদের আত্মায় অমৃতবর্ষণ করিতেছেন, কিন্তু আমরা পাপ না । হৃদয়কে প্রশস্ত করিলে, আত্মার দ্বার উন্মুক্ত রাখিলেই দেখিতে পাইব যে, পরমাত্মা অামাদের আত্মার আভ্যন্তরে অমৃতের স্রোত নিয়তই প্রবাহিত রাখিয়াছেন । সমাজভয়েই হউক, লোক ভয়েই হউক, বা যে কোন কারণেই হউক অনেকে সকল সময়ে ব্রহ্মবিষয়ে আলোচনা করিবার অবকাশ পান না ; কিন্তু আজ ; ব্রহ্মকে প্রীতি করিতে যাই, যদি ব্রহ্মের যখন আমরা সেই ব্রহ্মের নামে এখানে ; প্রিয়কাৰ্য্য সাধন করিতে প্রস্তুত হই, তবে সমাগত হইয়াছি, তখন যেন আর আমা- সৰ্ব্ব প্রথমেই ব্রহ্ম বিষয়ে জ্ঞান লাভ দিগকে রিক্ত হস্তে ফিরিয়া যাইতে না হয় ; তাtমরা যেন আজ অমৃতের উৎস হইতে অমৃত না লইয়া বাটীতে ফিরিয়া না যাই । আজ আমরা সকলেই উপযুক্ত মত আসুন লইয়া হৃদয়কে পূর্ণ করিব ; সেই অমৃত আমাদিগকে সমাজভয় লোকভয় প্রভৃতি নানা প্রকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মৃত্যুকে অতিক্রম করিয়া অমৃতের উৎসের পথে লইয়া যাইবে । এই অমৃতলাভ করিবার পথকে পণ্ডিত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা করিব, হওয়া কৰ্ত্তন ; যদি তিনি অশ্রদ্ধার পাত্র তাপে মলিন হইয় তাহা গ্রহণ করিতেছি । হন, প্রীতির উপযুক্ত পাত্র না হন, তবে তামার হৃদয়কে তাহাতে ন্যস্ত ১৩ কল্প, ১ ভাগ _ _ 커지স্তৎকবয়ে বদন্তি ।” তিনটী বিভিন্ন মাগ মিলিত হইয়া এই সূক্ষ্যতম পথ প্রস্তুত হইয়াছে । সেই তিনটা মার্গ (>) ख्ठांनমার্গ (২) ও তমাৰ্গ এবং (৩) কৰ্ম্মমার্গ ; এই মিলি পথের সঙ্গমস্থান হইতে ঈশ্বর পর্য্য" ধৰ্ম্মের পথ এবং তাহ। “ক্ষুরস্য ধা: নিশি তা দুরত্যয়|” শাণিত ক্ষুরধারের দূৰ্গম । এখন উক্ত তিনটী মার্গের প্র: - কটার বিষয় কিছু বিশেষরূপে তাকে না করা যাউক । প্রথম ৫ নমার্গ। যে কোন ব্যক্তিতে আমরা প্র ত ভক্তি শ্রদ্ধা প্রভৃতি স্থাপন ত চার পূৰ্ব্বে র্তাহাকে জ্ঞাত করিব না ; আর যদি শ্রদ্ধা ভক্তির উপযুক্ত পাত্র হয়েন, তবে অারও উৎসাহ সহকারে তাহার বিষয় জানিয়া তাহাতে হৃদয়ের সমুদয় প্রীতি স্থাপন করিয়া চরিতাৰ্থ হইব । ইহারি জন্য প্রথমে প্রীতির পাত্রের জ্ঞানলাভ করা আবশ্যক । যদি করা আবশ্যক । ব্রহ্মকে জানিতে পারি লেই বুঝিতে পারিব যে কিরূপ কাৰ্য্য তাহার প্রিয় কার্য্য । করুণাময় পরমেশ্বর আমাদেরই মঙ্গলের জন্য আমাদের হৃদয়ে তাহাকে জানিবার এক স্পৃহা দিয়াছেন । এই স্পৃহা চরিতার্থ করিতে গিয়া সেই ব্রহ্মাবৰ্ত্ত আৰ্য্যাবর্তের মুনি ঋষিগণ স্ত্রী পুত্র, বিষয় বিভব প্রভৃতি সকল প্রকার সাংসারিক সুখের ইচ্ছা পরিত্যাগ করিয়া অরণ্যবাসী হইয়া কত শত বৎসরের ক