পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ما و چا د rsh۹ ঠোর সাধনার বলে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করিতে পারিয়াছিলেন । র্তাহারা ব্রহ্মসম্বন্ধে দুই প্রকার জ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন—এক অভাবপক্ষীয়, দ্বিতীয় ভাবপক্ষীয় । ব্রহ্মচিন্তা করিতে করিতে র্তাহারা বুঝিতে পারিলেন যে জগতে যে কিছু বস্তু ইন্দ্রিয়গোচর হইতেছে, তাহার মধে, কোনটাই ব্রহ্ম নহে। তাহারা বলিলেন

  • অথাত অ*দেশে নেতি নেতি নহ্যে তস্মাদিতি

নেত্যন্যৎ পরমস্ত্যথ নামধেয়ং !” ইহা নহেন, ইহা নহেন, এইরূপই ব্রহ্মের নির্দেশ ; ইঙ্গা নহেন, ইহা অপেক্ষ তাহার অন্য উৎকৃষ্ট নির্দেশ নাই । “স এষ নেতি নেত্যাত্মা হুগুহ্যো ন হি গৃহ্যতে।” বেহালা ব্রাহ্মসমাজ ১২৩৩ r= = = ബ= = করে ও হাতে ইহা নহেন, ইহা নহেন, এই প্রকার সেই ৷ এই পরমাত্মার নির্দেশ ; তিনি ইন্দ্রিয় ও মনের গ্রাহ্য নহেন, সুতরাং কেহ তাহাকে ইন্দ্রিয় ও মনের দ্বারা গ্রহণ করিতে পারে না । ইহা হইল ঋষিদিগের অভাবপক্ষীয় জ্ঞান। বর্তমান কালে প্রতীচ্য ভূমির পণ্ডিতগণ ব্রহ্মের এইরূপ কতকটা অভাবপক্ষীয় ও জ্ঞানলাভ করিয়াই ক্ষান্ত আছেন, কিন্তু পিতামহ ঋষিগণ কেবল মাত্র তাহাতে সন্তুষ্ট থাকিতে পারিলেন না । র্তাহারা অন্বেষণ করিতে করিতে, চিন্তা করিতে করিতে ব্রহ্মের ভাবপক্ষীয় জ্ঞানও যথেষ্ট লাভ করিলেন। তখন র্তাহারা বলিলেন যে সেই পরমাত্মা

  • সত্যস্য সত্যং প্রাণী বৈ সত্যং তেষামেষ সত্যং ”

তিনি সত্যের সত্য ; প্রাণ প্রভূতি সত্য বটে কিন্তু তাহার মধ্যে এই পরমাত্মাই সত্যের সত্য। র্তাহারা ব্রহ্মের আনন্দস্বরূপ উপলব্ধি করিয়া বলিলেন • *satfüz's stetto negative knowledge বলে । “আননাদ্ধোব থদ্বিমানি ভূতানি জায়ন্তে আনন্দেন জাতানি জীবন্তি মাননাং প্রয় স্ত্যভিসংবিশন্তি ।” আনন্দ স্বরূপ পরব্রহ্ম হইতে এই ভূত সকল উৎপন্ন হয়, উৎপন্ন হষ্টয়া আনন্দস্বরূপ ব্রহ্ম কর্তৃক জীবিত রহে এবং প্রলয়কালে তানন্দস্বরূপ ব্রহ্মের প্রতি গমন প্লবেশ করে । “রসে (বৈ সঃ । রসং হ্যেবায়ং লৰ্ব্বানন্দী ভবতি ।” সেই পরম স্থা। রসস্বরূপ তৃপ্তিহেতু । সেই রসস্বরূপ পরব্রহ্মকে লাভ করিয়া জীব আনন্দিত হয়েন । এইরূপ ব্রহ্ম জ্ঞান লাভ করিয়া তাহারা আনন্দঘন ব্রহ্মেতেই আপ নাদিগের সকল কামনার পরিসমাপ্তি করিলেন । ক্রমে র্তাহারা জ্ঞানমার্গে চলিতে চলিতে জ্ঞান ও প্রীতির সঙ্গমস্থানে আসিয়া পড়িলেন। যখন র্তাহারা ভাবপক্ষীয় ব্রহ্মজ্ঞান লাভ করিলেন, যখন র্তাহারা বুঝিলেন যে আমাদের এই পরমেশ্বর সখার সখা পরম সখা, মাতার মাতা পরমমাত, পিতার পিতা পরমপিতা, তখনই তাহার। হৃদয়ের সমুদয় প্রীতি ভক্তি শ্রদ্ধ। র্তাহারই চরণে অর্পণ করিয়। কৃতাৰ্থম্মন্য হইলেন । প্রকৃত ব্ৰহ্মজ্ঞান জন্মিলে ব্রহ্মপ্রীতি না আসিয়া থাকিতে পারে না । যখন দেখি যে, প্রচণ্ড নিদাঘের নিশাকালে সেই করুণাময় পরমেশ্বর মলয় বায়ু প্রেরণ করিয়া, পূর্ণচন্দ্রের সুশীতল সুধারসে জগত সিক্ত করিতে থাকেন ; যখন দেখি যে, তিনি বর্ষাকালে প্রচুর জলবর্ষণ করিয়া কৃষকদিগের ব্যাকুলতা দূর করেন ; আবার সেই তিনি আমাদিগের আত্মার ব্যাকুলতা আপনাকে দিয়াও নিরাকরণ করেন, তখন হৃদয় কি স্বতই সেই মহান অনন্ত পুরুষের প্রতি ধাৰিত হয় না ? তাত্মা হইতে কি ব্রহ্ম-যশোগান স্বতই উচ্ছসিত