পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

թ ՖՓ 3 הוויc উপদেশ জড়জগতের গতি, এই দুই শক্তিতেই জড় ১২৩৭ ==o ப_ mg man -* * --- লইয়া যাইতেছে এবং কত উৰ্দ্ধে আপনা صصتدميصه জগতের স্থিতি । “দেবপ্যৈষ মহিমা তু লোকে যেনেদং ভ্রাম্যতে ব্ৰহ্ম চক্ৰং ।” এই যে ব্রহ্মচক্র ঘুরিতেছে, ইহাই । এই যে গ্ৰহগণ আমা- ৷ দিগের এই পৃথিবীর সঙ্গে এই সূৰ্য্যকে । র্তাহীর মহিমা । প্রদক্ষিণ করিতেছে, এই সূর্য ক্ষুদ্র বৃহৎ পঞ্চাশটা গ্ৰহগণের সহিত অান এক সুর্য্যকে প্রদক্ষিণ করিতেছে ;—সেই সূৰ্য্য আমাদিগের এই সূৰ্য্য হইতে কত বৃহৎ । আবার সেই সূৰ্য্য তাহার চতুদিকে পরিভ্রমণকারী গ্ৰহগণের সহিত অার ও বৃহৎ এক সূৰ্য্যকে প্রদক্ষিণ করিতেছে। এই ইহার অন্ত কোথায়, ইহার অন্ত কোথায় ! আমাদিগের এই পৃথিবী যে আকাশের । একবার গমন করিয়াছে, সে । মধ্যদিয়৷ আকাশে আর ফিরিয়া আসিতে পারিবে না । এই তো গেল জড়ের শক্তি। কিন্তু প্রাণন শক্তি, সে আবার আরও আশ্চর্য্য ; সে শক্তি জড়ের বিপরীত শক্তি, সে শক্তি জড়শক্তিকে অতিক্রম করিয়া চলে । একটা গাছ জন্মাইল ; এই গাছের যতটা পত্তন ভূমি আবশ্যক, ততটা ভূমিতে তাহার মূল বিস্তৃত হইয়া প্রবেশ করিল এবং তাহারই উপরে গাছটকে স্থিরভাবে দাড় করাইয়া রাখিল । এইরূপে গাছ আপনার উপযুক্ত পত্তনভূমি আপনিই প্রস্তুত করিতেছে। তাহার যতটা নীচে যাইবার প্রয়োজন, ততটা নীচে গেল, আবার যতটা উপরে যাইবার প্রয়োজন, ততটা উৰ্দ্ধে গেল। আবার দেখ, তালগাছ নারিকেলগাছ প্রভূতি প্রাণন শক্তির বলে কৈশিক আকর্ষণের দ্বারা কত উৰ্দ্ধে রস অtশ্চৰ্য্যরূপে এই কার্য্য হইতেছে । পন ফল প্রস্তুত করিয়া লইতেছে । এই প্রাণন শক্তি কেবল আপনাকে গড়ায় । প্রাণ থাকিতে গেলেই অন্ন অবশ্যক, সেই অন্ন পৃথিবীতে আছে ; প্রাণ এই পৃথিবী হইতে রস গ্রহণ করিয়া আপনাকে পুষ্ট করিতেছে । এই প্রাণ যে আপনাকে গড়াইতেছে, সে কি জানে যে কি রূপে গড়াই৩ে,ছ ? :ে rত এক অন্ধশক্তি, কিন্তু কি আশ্চর্য রূপে গড়াইতেছে । ঈশ্বর যে গাছের যে আদর্শ দিয়াছেন, সেই গাছ সেই অনুসারেই কেমন বাড়ি তেছে । বিশেষ বীজ হইতে যে বিশেষ গাছ হইবে, ইহা, র্যাহার ইচ্ছায় বিশেষ রূপে অগণ্য সূৰ্য্য পরিভ্রমণ করিতেছে— | গাছ হইয়াছে, তিনিই জানেন যে কি রূপে হইবে । এই যে অন্নময় কোষ পৃথিবী, প্রাণ আপনাকে বাড়াইবার জন্য তাহা হইতে রস টানিয়া পান করে ; কিন্তু দেখ কি এই অন্ন সংগ্ৰহ করিবার নিমিত্ত রক্ষমূল সকল যেখান হইতে রস প্রাপ্ত হয়, সেই খানেই গমন করে ; এমন কি, মধ্যে যদি প্রস্তর ব্যবধান থাকে, তবে তাহাও ভেদ করিয়া গিয়া সরস ভূমিতে পৌঁছিয়া রস আকর্ষণ করিয়া থাকে । ইহাই আশ্চর্য্য যে সামান্য বৃক্ষমূল প্রস্তর পর্য্যন্ত ভেদ করিতে পারে। এইখানে ঈশ্বরের ইচ্ছা, ঈশ্বরের জ্ঞান একটী গাছে দেখিতে পাইতেছি ! তাহার ইচ্ছা কে জানিবে ? আবার দেখ যে, প্রাণের উপকরণ কতগুলি চাই । এক উপকরণ মাটী তাহ শুষ্ক হইলে হইবে না; জল চাই, জল ও মাটী একত্র হইলে তবে রস হয় ; ইহার উপর আবার তেজ চাই, বাতাস চাই, আলো চাই। এতগুলি উপকরণ একত্র হইলে তবে একটা গাছ