পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سSobخ؟ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক s७ कह्न, ४ छो" হয় । তাহীদের একটা যদি না থাকে, তবে আর গাছ হইতে পারে না ;—এই গুলি কে সংযোগ করিয়া দিলেন ? এই সৌর জগৎ সূর্য্যের চারিধারে ঘুরিতেছে। সূৰ্য্য যদি আর একটু নিকটে থাকিত, তাহ হইলে পৃথিবী জুলিয়া যাইত ; যদি আরও দূরে যাইত, তাহা হইলে পৃথিবী শীতল হইয়া পড়িত। এই জন্য সূর্য্যের তেজ ঠিক উপযুক্ত রূপে আসিতেছে, তাই প্রাণ বাচিতেছে। এই একটা জ্ঞানের কেমন পরিচয় । সূৰ্য্যকে এতটা দূরে রাখিলেন ? দেখ, এক সূৰ্য্য ঠিক উপযুক্ত দূরে রহিল— কেন । তেজের পরিমাণ হইল, প্রাণ ও বাচিতে । লাগিল । ইহা জ্ঞানেরই কাৰ্য্য ; অন্ধ শক্তি । দ্বারা হয় নাই । বাতাসের আবশ্ব্যক, চলাচল না হইলে বাতাস বহে না ; ঐ এক সূৰ্য্যের তেজ লাগিয়া বাতাস চলিতেছে। ऊ ल छहे, cभश न হইলে বৃষ্টি হইবে না ; ঐ এক সূর্য্যের তেজ লাগিয়া বাষ্প উত্থিত হইয়া মেঘ হইল এবং মেঘ হইতে বৃষ্টি পড়িয়া মৃত্তিকা সরস হইল। ঈশ্বর এক সূৰ্য্য নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেওয়াতে বাতাস চলিতেছে, বৃষ্টি হইতেছে, মৃত্তিক উপযুক্ত হইতেছে। অালো যদি না থাকিত, সমস্ত গাছের পাতা বিবর্ণ হইয়া যাইত । এই চারি বস্তুই এক সূর্ষ্যের উপর নির্ভর করিতেছে ; সূর্য্য না থাকিলে কিছুই হয় না। তাহার রচনায় কেমন একটা সরল ভাব ; যতগুলি জিনিসের দরকার,এক সূৰ্য্যই সেই । সমস্তের প্রধান কারণ–এক সূৰ্য্য দেও- | য়াতে প্রাণ চলিতেছে। প্রকৃতির এক পদ ও এদিক ওদিক নড়িবার উপায় নাই—সম স্তই সেই বিশ্বপিতার শাসনে চলিতেছে । “ভযাদস্তাগ্নিস্তপতি ভয়াত্তপতি সূর্গ।: ভযাদি দশ বায়ুশ মৃত্নাৰ্দ্ধা বাঁহ পঞ্চমঃ ” --msm- - - - . ബ്- = = র্তাহারই শাসনে সূৰ্য্য উত্তাপ দিতেছে, বৃষ্টি হইতেছে এবং তাহাতেই প্রাণ বাচি Cマ万び豆 I এক প্রাণন কাৰ্য্য দ্বারাই ঈশ্বরের জ্ঞান ও ইচ্ছা কেমন স্পষ্ট প্রকাশ পাইতেছে ; র্তাহার মহিমা আমরা কি সহজে জানিতে পারিতেছি । এই বিশ্বযন্ত্র নিয়মে চলা তেই প্রাণ থাকিতে পারিয়াছে। প্রাণের উপকরণ ক্ষিত্যপতেজোমরুং—আকাশ ব্যবধান মাত্র । এই উপকরণ কোথা হইতে হইয়াছে, তাহ আমাদের জ্ঞানে প্রকাশ হইয়াছে। মনে কর জল ; ইহা হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মিলিত হইয়া প্রস্তুত হইয়াছে। আবার যে বাতাস অtমরা স্পর্শ করিতে পারি না, সেই বাতাসে তাহা অপেক্ষা ও সূক্ষ পদার্থ অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন হইতে প্রস্তুত হইল। স্থলভাবে দেখিতে গেলে দেখিতে পাই যে এই পৃথিবী প্রধানতঃ ক্ষিতি, অপৃ, তেজ, মরুৎ এই চারি বস্তুতে স্থিতি করিতেছে, কিন্তু যখন আরো সূক্ষভাবে দেখিতে চাই, তখন দেখি যে পৃথিবী প্রধানতঃ অক্সিজেন নাইটোজেন হাইড্রোজেন ও কার্বন এই চারি সূক্ষ পদার্থে স্থিতি করিতেছে। এই সকলে ঈশ্বরের জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায় । আমরা বলিতে পারি যে অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন মিলিত হইয়া জল হইল ; অক্সিজেন ও নাইটোজেন মিলিত হইয়। বায় হইল ; কিন্তু কেন হইল, তাছ কে জানে ? এ গুলি না হইলে প্রাণ থাকিতে পারে না । ঈশ্বর যে এই সকল স্বষ্টি করিয়াছেন, এই সকলে কেমন ক্রমোন্নতির পরিচয় পাওয়া যায়—সব ক্রমে হইতেছে একেবারে কিছুই হয় না । শৈবালক অবধি বটবৃক্ষ পর্য্যন্ত সব ক্রমোন্নতির দৃষ্টান্ত ।