পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$१९ MSMSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSMMMAT প্রকৃত রোমীয় সঙ্গীতের আবির্ভাব হয় । রোমে সঙ্গীত প্রথমে অতিশয় কর্কশ ও হীনাবস্থায় ছিল, থাকা না থাকা তাহার দুইই সমান ছিল, কিন্তু যখন লাটিন ভূমিতে গ্রীসের লোকেরা যাইয়া তাহাদের সঙ্গীত রোপণ করে,তখন হইতে গ্রীসীয় সঙ্গীতের অপেক্ষাকৃত জীবিত মধুর ভাবে প্রাণহীন রুক্ষ রোমীয় সঙ্গীত যথার্থ প্রাণলাভ করে । ফলত তখন হইতে রোমীয় সঙ্গীত গ্রীসীয় সঙ্গীতেরই পরিণাম ভিন্ন আর কিছুই রহিল না । গ্রীসীয় সঙ্গীত যখন লাটিন ভূমিতে দেখা দেয় তখন প্রথমে তাহার প্রতি তথাকার উচ্চ শ্রেণীর লোক তেমন যত্ন প্রদর্শন করেন নাই, কেবল নিম্নশ্রেণীর লোক—ক্রীত দাসেরাই তাহাকে যৎকিঞ্চিৎ অাদর করিত । গ্রীসের প্রভাবে রোমীয় সঙ্গীত বহুকন্টে জন্ম লাভ করিয়া পুনরায় দুর্দশাগ্রস্ত হইয়াছিল । ভারতের সঙ্গীত যেমন উন্নতির পথে উঠিবার কালে সহসা বহিঃশত্রুর আক্রমণে অবমত হইয়া পড়ে, সেইরূপ রোমীয় সঙ্গীত অল্পদূর উঠিয়াই বহিঃশত্রুর আক্রমণে মুহ্যমান হইয়া পড়ে। রোমীয় সঙ্গীত খৃষ্টীয় তৃতীয় শতাব্দী পর্যন্ত কন্টে স্বষ্টে আপনাকে আপনি রক্ষা করিয়া আইসে—পরে তাহার দুরবস্থা হয় । ংপাত অত্যাচারে রোমীয় কলা বিদ্যার অন্যান্য ভাগের ন্যায় সঙ্গীতও স্পষ্টরূপে পতনোন্মখ হইতে আরম্ভ হয় ; শেষে খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর সময় যখন চতুর্দিক হইতে নানা বর্বর্বর জাতি আসিয়া ইটালি ছাইয়া ফেলিল তখন সঙ্গীতও অন্যান্য আtশ্চর্য্য অtশচর্য্য কলাবিদ্যার সামগ্রীর সঙ্গে সঙ্গে বিশেষরূপে উৎসন্নদশা প্রাপ্ত হইল । এই উৎসমাবস্থা রোমীয় রাজ্যের অবসানবার্তা সূচনা করিয়া দিয়া তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা --

  • ७ कब्र, 3 छां★

ছিল। কলাবিদ্যার অবসন্ন, মুমূযু ভাবের সঙ্গে রোমরাজ্যও অবসন্ন মুমুঘুর্ণ হইয়া পড়িল । কলাবিদ্যা জাতির মাধুর্য্য ও সরসভাব ; ইহার বিকসিত ভাবের সঙ্গে সঙ্গে জাতিও বিকসিত ও সরস হয় । কলাবিদ্যা জাতীয় স্ফৰ্ত্তির পরিমাপক যন্ত্র স্বরূপ । ইহার শ্ৰেষ্ঠতম মধুর অংশ সঙ্গীত । সেই সঙ্গীত যে জাতির গৃহ হইতে চলিয়া যায় সে জাতির জীবনী শক্তি নিতান্তই করাল-কাল-তিমিরাচ্ছন্ন। অন্তরে অন্তরে জীবনীশক্তি সঞ্চার করিতে—বিশ্ব জাগাইতে সঙ্গীতের তুল্য আর জিনিস নাই । “গীতেন প্রীয়তে দেবঃ সৰ্ব্বজ্ঞঃ পাৰ্ব্বতীপতিঃ গোপীপতিরনস্তুে ইপি বংশীধ্বনি বশ ক্ষতঃ । সামগীতি-রতোত্রহ্মা বীণা শক্ত্যা সরস্বর্তী কিমন্যে যক্ষগন্ধৰ্ব্বদে বদান বমানবt: ॥” সঙ্গীতের ভাব মানবের মনে প্রথমে সহজে জাগে, মানব নিজ দুঃখ সুখ তাহাতেই মধুররূপে ব্যক্ত করিতে সুখ কর বোধ করে । সৰ্ব্বদেশেই অপরাপর বিদ্যা সঙ্গীতের ক্রোড়ে বিদ্যমান ছিল । ইউরোপে যে মিউজিক বলিলে আজকাল শুদ্ধ সঙ্গীত বুঝায়, পূর্বে তাহা বুঝাইত না । পূর্বে প্রাচীন গ্রীকেরা ইহাকে আরো ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করিত ; তাহারা ইহা দ্বারা যেমন গীত ও নৃত্যের বিজ্ঞান, সেইরূপ আবার কাব্য, অলঙ্কার, দর্শন এবং রোমদেশীয় অtলঙ্কারিক ও সমালোচক কুইন্টিলিয়ানের মতে ব্যাকরণ পর্য্যন্ত জ্ঞাপন করিত । এই সমস্তকে রোমকের পরে স্টিডিয়া হিউমানিটেটস্ অর্থাৎ মানবের অধ্যয়ন বিষয় এই প্রকার আখ্যা প্রদান করিয়াছিল । সংক্ষেপে ইউরোপে তখনকার প্রায় সৰ্ব্বপ্রকার জ্ঞানের সমষ্টিকে এক -ாக க க