পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

يلا عاد s{ولم সঙ্গীত צף צ

    • =

রাগিণীর বিধিবদ্ধতা তাহার এক বিশেষ প্রমাণ। প্রাচীন ভারতবর্ষের ন্যায় ইউরোপ আজ কাল সঙ্গীতের নিগুঢ় অনুশীলনে রত হইয়াছে ;—শব্দ-কম্পনের মাত্রা, পরিমাণ, শব্দের কারণ ও ফল সকলই তন্ন তন্ন করিয়া আবিষ্কার করিতে ব্যাকুল। বর্তমান ইউরোপে প্রাচীন ভারতের অধ্যবসায় দেখিতে পাইতেছি । ইউরোপ আজি দেশবিদেশের সঙ্গীত তানুসন্ধান পূর্বক তাহার তত্ত্বনির্ণয়ে রত। এদিকে তাহার দৃঢ় অস্থিমজ্জাময দৈত্যদেহ, ওদিকে তাহার মধুর প্রেমসখ্যপূর্ণ দেবাত্মা, এই দুয়ের সুন্দর সংযোগে ইউরোপের আজি কি শোভা ! এই নবশোভাময় ইউরোপ অনবরত বিশুদ্ধ সঙ্গীত সমূহ রচনা করিয়া কি মহাবেগে তাহার সঙ্গীতের অভাব দূরীকরণে সতত ব্যস্ত । আর আমরা তাহাতে কিরূপ অবহেলা করি তাহা স্মরণ করিলে ঘৃণায় আমাদের প্রাণমন জর্জরিত হয় । বর্তমান ভারত জীর্ণ শীর্ণ অলস চরিত্রহীন তনু লইয়া বসিয়া আছে, তাই তাহাকে সঙ্গীতের সদৃভাব প্রাণভরে আলিঙ্গন করিতে পারিতেছে না । ভারতে গানের উন্নতি সকল দেশের অগ্ৰে হইয়াছিল। এখানে যন্ত্র বাজাইবার প্রথাও কত প্রাচীন কাল হইতে প্রচলিত ছিল তাহার ঠিকানা নাই । কোন ইউরোপীয় গ্রন্থকার বলেন সঙ্গীত ভারত হইতে মিসরে, মিসর হইতে জুড়ায়, পরে জুডা হইতে গ্রীসে যায়। অনেকে কহেন যে সঙ্গীত একেবারেই মিসর হইতে গ্রীসে যায়। ইউরোপ সঙ্গীত সম্বন্ধে মিসরের কাছে ঋণী । ইউরোপের মধ্যে সঙ্গীতচর্চা সৰ্ব্বপ্রথমে গ্রীসে আরম্ভ হয় । গ্রীসে স্বরযন্ত্রের প্রকৃত ব্যবহার অ

  • -* - து

নেক পরে হয় । তথায় প্রথম প্রথম যখন গান গাওয়া হইত, তখন যন্ত্র কেবল তাহার সঙ্গে গৌণভাবে ব্যবহৃত হইত ; বলিতে গেলে বিশেষরূপে গানের যতিকে চিহ্ণিত করিবার জনাই যন্ত্রের প্রয়োজন হইত। খৃষ্টপূর্ব ষষ্ঠশতাব্দির পর হইতে ইউরোপে স্বর্যন্ত্রের মুখ্য ও পৃথক ব্যবহারের আভীম –:প্ত হওয়া যায় । লেng H c7-ĦH csąottetą. Terpander of Lesb০) খৃষ্টপূর্ব ৬৭০ বৎসরের সময় সপ্ততন্ত্রিযুক্ত কিটার নামক যন্ত্র উদ্ভাবন ও প্রচলিত করেন ; ফিজিয়া প্রদেশ বাসী অলিম্পিয়স নামে কোন ব্যক্তি গ্রীসে ফুটবাদন-কৌশল প্রথম প্রদর্শন করেন। দ্বিতীয় পিথিয়াডে (খৃষ্ট পূর্ব পঞ্চম শতাব্দির প্রারম্ভ) আরগস্ দেশীয় সাকাডেস্ (Boules of Argo) গানের সাহায্যব্যতীত সাধারণের সমক্ষে | বাজাইয়াছিলেন । এই সময় ইউরোপে যন্ত্রবাদ্যের এতদূর উন্নতি হয়, যে, তদ্বারা লোকে কণ্ঠস্বরের সাহায্য ব্যতীতও শ্রোতৃবর্গের মনোরঞ্জন করিতে সমর্থ হইত। টেজিআ দেশীয় আগালাউস (Agalans of Tegea) গানের সহায়ত ব্যতীত তন্ত্রীযন্ত্র বাজাইয়া বিশেষরূপ সম্মান লাভ করেন। ইহা অষ্টম পিথিয়াডে (খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৫৫৮ বৎসরের সময়) ঘটে। আরিস্টাক্সেমাসের (Aristaxomas) সময় গ্রীক স্বর গ্রাম দুই অষ্টক পর্যন্ত ছিল এবং তাহাকেই গ্রীকের সর্বোচ্চ, অপরিবর্তনীয়, নিভুল প্রণালী কহিত, কিন্তু উইলার্ড সাহেব বলেন সেই সময় ভারতের অতি প্রাচীন বীণাযন্ত্র যাহা নারদ মুনি বাজাইতেন তাহার স্বরগ্রাম সাড়ে তিন অষ্টক পর্য্যন্ত বিস্তৃত छ्लि । বলিতে কি, গ্রীসীয় সঙ্গীতের প্রভাবেই