১৭২৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা se कन्न, १ छांन রথা আড়ম্বরমাত্র । সরল হৃদয়গ্রাহী সঙ্গীতের প্রাণে বাস্তবিক অাপনা আপনি কেমন সুন্দর সৎকৌশল জাগে, তাহাতে লোকে কেমন সহজভাবে একেবারে বিমুগ্ধ ; হইয়া যায়। আজকাল ইউরোপে ইটালী ও জৰ্ম্মণদেশীয় সঙ্গীতের মধ্যে জম্মণদেশীয় সঙ্গীত সরলতার জন্য বিখ্যাত । জৰ্ম্মণদেশীয় সঙ্গীতজ্ঞেরা কেমন সরলভাবে, বিশুদ্ধ উন্মুক্তপ্রাণে স্বরকাব্য রচনা করিয়াছেন বলিয়। ইউরোপীয়েরা আজকাল সঙ্গীত বিষয়ে ইটালীর অপেক্ষা বেশীভাগ জৰ্ম্মনীর পক্ষপাতী। বাস্তবিক, ইটালীয় সঙ্গীত শুনিলে তাহার মধ্যে যেন ক্ষীণ মৃদু প্রাণ লুকাইতে দেখিতে পাই, মনে হয় যেন ইটালীয়েরা শক্তিমান সারল্যের অপেক্ষ টুকুটকু কৃত্রিম লালিত্যের প্রতি বড় অনুরাগী । সঙ্গীত আধুনিক জৰ্ম্মণ সঙ্গীতের তুলনায় যেন স্ত্রী ভাবাপন্ন। আধুনিক জৰ্ম্মণসঙ্গীতে বেশ বিক্রম, পুরুষত্ব, খোলাভাব, বিশুদ্ধ উদার প্রেমপূর্ণ মনুষ্যত্ব পাই প্রাণমন যথার্থ ভরিয়া উঠে । আজকাল ইউরোপীয় সঙ্গীতরাজ্যে এখন জৰ্ম্মণীই শ্রেষ্ঠ হইয়া দাড়াইয়াছে। ইহার পূর্বে ইটালী সঙ্গীতের মুকুট ধারণ করিত এখন জৰ্ম্মণী সেই মুকুট ধারণ করিয়াছে । জৰ্ম্মণী এখন ইউরোপীয় সঙ্গীত রাজ্যের রাজা । সঙ্গীতের সরলতা প্রাচীন ভারতবাসীরা বেশ বুঝিতেন। তাহারা পৃথিবীর সকল জাতির অগ্রে সারল্য বিষয়ে শ্রেষ্ঠতা লাভ করিয়াছিলেন । সরলভাবে তাহারা প্রকৃ- | তির ভাব সমুহকে স্বরে চিত্রিত করিতে সবিশেষ যত্ন করিতেন। প্রত্যুষের ভাব, প্রাতঃকালের ভাব, মধ্যাস্তুের ভাব, সন্ধ্যার ভাব, নিশীথের ভাব, নিশাবসানের ভাব এ সকলই তাহার। যথাসাধ্য স্বরে রীতি ইটালীদেশীয় । - - মত চিত্রিত করিয়াছেন । সরলভাবের ভিত্তির উপর তাহাদের রাগ রাগিণী প্রতিষ্ঠিত । সরল ভাব মানব হৃদয়ের প্রাণঠিক রাখে, সরলভাবে যাহা কিছু করা যায় তাহা লোকের বোধগম্য ও সুখদায়ক হয়। দেখ, ইতর জাতীয়দিগের মধ্যে অনেকে প্রায় যখন কাজকৰ্ম্ম হইতে গৃহে ফেরে তখন কখন কখন পথে যাইতে যাইতে খরজ হইতে নিম্নকোমল নিখাদ ও খরজ, পরে রেখাব, পরে মধ্যম, পরে গান্ধার, পরে ষড়জ ও রেখাব পরে গান্ধার, পরে রেখাব এবং শেষে ফের খরজে শেষ ;— এইরূপ অপরূপ সরল স্বর কাব্যে মনের উচ্ছাস প্রকাশ করিতে করিতে চলিয়া যায়। তাহীদের মুখনিঃস্থত সেই স্বর কাব্য শুনিয়া বুঝিতে পারি, তাহারা ক্লান্ত হইয়া গৃহে ফিরিতেছে। কখন তাহার নিশীথে দলবদ্ধ হইয়া সরল ভাবে, খরজ হইতে রেখাব ও মধ্যম, পরে পঞ্চম, পরে, কোমল ধৈবত, পরে পঞ্চম, পরে মধ্যম, পরে ফের কোমল ধৈবত, পরে পঞ্চম, পরে মধ্যম পরে গান্ধীর ও কোমল রেখাবের ঈষৎ স্পর্শ যুক্ত খরজে শেষ ; এই রূপে স্বরকাব্যালাপ করিতে থাকে ; তাহদের সেই দারিদ্র্য অবসাদময় উদাস উল্লসিত সরল স্বরকাব্যে তাহাদের অবস্থার ছবিটী যেন আমাদের নেত্রপথে আবির্ভ ত হয় । আরো, নবাব সিরাজউদৌলা नडा মধ্যে যখন কলাবতদিগের নানা কৃত্রিম কৌশলময় সঙ্গীত শ্রবণ করিতেছিলেন এমন সময়ে দূর হইতে রামপ্রসাদের সরল ভক্তিপূর্ণ হৃদয়নিঃস্থত সঙ্গীত শুনিয়া একেবারে বিমোহিত হইয়া গিয়াছিলেন । नद्रल मत्रौ८ऊ छूखर्जन नञ्जन इग्न ; लश দস্যবৃত্তি ভুলিয়া যায়। সকল বিষয়ে অকপট ঋজুভাবকে
