পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و دو و پR ) هد صمي- يص সঙ্গীত Sማማ আমাদের অন্তরের মন্ত্র করা উচিত; তাহ করিলে কৰ্ম্ম কার্য্যের কণ্টক সমূহ সহজে দূরীভূত হইয়া যায়, কৰ্ম্ম কাৰ্য্য সহজ, মধুর, সুন্দর হয়। প্রাচীন ভারতের অধিবাসীরা বর্তমান ভারতবাসীদিগের অপেক্ষা ঋজুমন্ত্র অনেকটা—প্রাণ ভরিয়া ধারণ করিতেন, মুক্তভাবে সকল বিষয় আবিষ্কার করিতেন—মনুষ্যের যাহা স্বাভাবিক তাহাই বস্তুতঃ তাহারা শিরোধার্য্য করিতেন । র্তাহাদের যদি আমরা ভালবাসি, র্তাহাদের অনুকরণ করিতে যদি আমাদের একান্ত বাসনা হয় তাহা হইলে আমাদের প্রথম কর্তব্য সরল হওয়া । সরল হইয়া র্তাহার কাজ করিতে চেষ্টা করিতেন, সরল হইয়। র্তাহারা সঙ্গীতের উন্নতি সাধন করিতেন, কোন সঙ্গীতকে একেবারে অবহেলা করিতেন না, সকল সঙ্গীত হইতে সারসংগ্রহে যত্নবান থাকিতেন। পরের নিকট হইতে সার—সত্যগ্রহণে র্তাহারা কুণ্ঠিত হইতেন না। র্তাহারা নিজে যে জ্যোতিষ প্রস্তুত করিয়াছিলেন, তাহার উপরে, রোমকদিগের নিকটে জ্যোতিষের কিছু সত্য দেখিলেন, অমনি তাহ অকাতরে গ্রহণ করিলেন । সত্যের প্রতি র্তাহাদের কেমন অটল শ্রদ্ধা ছিল । এই মহান জগতের মধ্যে র্তাহারা সত্যের সত্য ব্রহ্মকে সকলের উপর করিয়া সকল বিষয়ের প্রতি মনোযোগ করিতেন । সকল দিক দিয়াই দেখিয়াছি প্রাচীন ভtরত মহান সত্যকে হৃদয়ে আগ্রহের সহিত ধারণ করিয়া সকলকেই আপনার উদার ক্রোড়ে রক্ষা করিতে অভ্যাস করিতেন । র্তাহাদের সারল্য সত্যপ্রিয়তার বিষয় ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা কতবার স্বীকার করিয়াছেন। সত্যের প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধা থাকাতেই তাহারা উন্নত ছিলেন, সত্যের উচিত । কত বল! ‘ন সত্যাৎ বিদ্যতে পরম্ সত্য হইতে উৎকৃষ্ট আর কিছুই নাই ; "সত্যেন স্থৰ্য্যস্তপতি সত্যেনাগ্নিঃ প্রদীপ্যতে । সত্যেন মরুতে বাস্তি সৰ্ব্বং সত্যে প্রতিষ্ঠি তং । সত্যমাহ; পরেtধৰ্ম্মস্তস্মাৎ সত্যং ন লজঘয়েত ।” সত্যের বলে সূর্য উত্তাপ দিতেছে, সত্যের বলে অগ্নি প্রদীপ্ত হইতেছে, সত্যের বলে রুত বf তেনে সকলই সত্যে প্রতিষ্ঠিত ; সত্যকে শ্রেষ্ঠ ধৰ্ম্ম কহে, সেই হেতু সত্যকে লঙ্ঘন করিবে না। এই সত্যের বলে বলীয়ান হইয়া তাহারা সকল বিষয়ের নব নব ভাব সকল সংগ্রহ করিতে সমর্থ হইতেন ;– সঙ্গীত ধরিয়াছিলেন, সঙ্গীতের ক্রমশঃ কত উন্নতি করিলেন, উন্মুক্ত প্রাণে সঙ্গীতের কত নুতন ভাব সকল সংগ্রহ-পূর্বক নূতন নূতন রাগ রাগিণীর উদ্ভাবন করিলেন । অtমাদের ও এইরূপ সত্যপ্রিয়, উন্মুক্ত হওয়া মুক্ত প্রাণে র্তাহীদের মত সঙ্গী তের নূতন ভাব সংগ্রহে যত্নবান হওয়া কর্তব্য । কিন্তু আজ কাল এদেশে অনে কেই প্রায় তাহদের প্রতিকূল ভাবে রই অনুসরণ করেন, তাহাদের ন্যায় স্বাধীন না হইয়া পুরাতনের প্রতি এক অলস আসক্তি অন্তরে ধরিয়া থাকেন— র্তাহারা সেই পুরাতন সঙ্গীত ছাড়া আর যেন উৎকৃষ্ট সঙ্গীত হইতে পারে ন৷ বলিয়া বোধ করেন । এটা তাহদের ভারি ভুল ; এই জগতের মধ্যে অনবরত সঙ্গীতের আকর্ষণ চলিতেছে,তাহার বিরাম নাই, আমরা জোর করিয়া তাহার বিরাম সম্পাদন করিব ! এ কখন হইতে পারে ? ইহা মনে করাই অন্যায়, ইহাতে বর্তমানের হত্যাসাধন করা হয় । তাহা করিলে তে চলিবে না, বর্তমানকে অগ্ৰে দেখিতে হইবে, তাহাকে মুখ্য করিয়া আমাদের