পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ها و واy}} প্রকাশিত হইল । শ্ৰীযুক্ত প্রতাপচন্দ্র মজুমদার মহাশয়ের বক্ততা । আজকার এই আনন্দ উৎসবে দুই এক কথা বলিবার জন্য অামাকে নিমন্ত্রণ করা হইয়াছে । আমিও আহলাদের সহিত নিমন্ত্রণ রক্ষা করিয়াছি । এই সুন্দর স্থানে প্রশস্ত প্রান্তরের মধ্যে—এই উপাসন গৃহে জ্যোতিৰ্ম্ময় পরমেশ্বরের আবির্ভাব । এখানে তাহার প্রকাশ কি স্বাভাবিক । এখানে আসিলে চিত্ত আপনা হইতেই র্তাহার দিকে ধাবিত হয় । সমস্ত দিন আপনার। এখানে আনন্দে যাপন করিলেন । যে মহাত্মার ধৰ্ম্মানুরাগে আমরা সকলে আছুত হইয়া আসিয়াছি, এই স্থান তাহার । র্তাহার ধৰ্ম্মসাধন । যদি ৷ ভাব না জাগরূক হয় । যখন সূৰ্য্য বিশাল সাধনার চিহ্লস্বরূপ । সম্বন্ধে অধিক বলিতে হইবে না। মনুষ্যের প্রকৃত উন্নতি হইতে পারে তবে তাহা মহাত্মাদিগের দৃষ্টান্তে । মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের ধৰ্ম্মোন্নতির মূলে যে দুইটি কথা আছে, সে বিষয়ের আমি প্রসঙ্গ । প্রথমত প্রকৃতির প্রতি র্তাহার । করি । গভীর অনুরাগ। আমরা শুনিয়াছি ঋকবেদের উৎপত্তি, প্রকৃতির প্রতি অনুরাগ হইতে । সূৰ্য্য চন্দ্র জল স্থল চিরকালই রহিয়াছে, কিন্তু ভাবুক য়িত হইয়াছে। সেই লুকায়িত বংশের মধ্যে যখন দুই একজন দাড়াইয়া উঠেন, তখন র্তাহারা অামারদের ভক্তি—প্রেম অাকর্ষণ করেন। আমরা যাহার আহবানে এখানে অtসিয়াছি, তিনি সেই জাতীয় লোক। মঙ্গলময়ের সৌন্দর্য্যের প্রতি র্তাহার অনুরাগ যার পর নাই অধিক । আমরা চন্দ্র সূৰ্য্য দেখিয়াছি; কিন্তু ইহা দেখিয় তাহার হৃদয়ের ভাব এত উজ্জ্বল হইয়াছে, যে প্রকৃতি র্তাহার ঈশ্বরকে মঠপ্রতিষ্ঠা পরিচয় পাইয়াছি। তাহার বক্তৃতা নিম্নে ংশ এক্ষণে লুকা- ৷ ృSNలి দেখিবার পথ হইয়াছে। র্তাহার কাছে যদি আমারদের শিক্ষার বিষয় থাকে, তবে তাহা প্রকৃতির মধ্যে ঈশ্বরকে অনুভব করা । এই জড় সামান্য উপকরণে নির্মিত। কিন্তু এই স্বভাবের ভিতর কত সত্য কত ভাব কত গভীরতা, তাহা ভাবুকই বুঝিতে পারেন। দেবেন্দ্রনাথ তাহাই উপার্জন করিয়াছেল । আমরা যে কয়েকজন ব্রাহ্মসমাজে নাম ; থাইয়াছি তাহার মধ্যে দেবেন্দ্রনাথ এ বিষয়ে সকলেরই অগ্রণী । কেহ কেহ বলেন ঈশ্বরকে দেখা যায় না ; ইহা সত্য বটে ; কিন্তু র্তাহাকে জিজ্ঞাসা করা যায় সূর্য্যের ভিতর কি ব্রহ্মের আবির্ভাব নাই ? যখন সূৰ্য্য বর্ণের সাগরে চারি দিককে ভাসাইয়া উঠিতে থাকেন, তখন কাহার অন্তরে ঈশ্বরের সমুদ্রের জলরাশিতে নিমগ্ন হইতে থাকেন তখন জড় সূর্য্যে মহাচৈতন্য মহাপ্রাণ মহাভাব কে না উপলব্ধি করে ? তখন ক্ষণ কালের জন্য চিন্তা করিলে কত উচ্চ আশা কত ভাব কত প্রেম মনে জন্মিতে থাকে । তাহাকে তোমরা কি কোন জড় পদার্থ বলিবে যাহা দেখিয়া তোমার আনন্দ হয় প্রেম জাগ্রত হইয়। উঠে । তাহার মধ্যে মহাচৈতন্য মহাপ্রাণ মহাভাব ঈশ্বর বাস করিতেছেন । তিনি জড়ের মধ্যে এমনই প্রদীপ্ত এমনই জাগ্রত, যেমন তোমার জড় শরীরের মধ্যে তাত্মিা । যাহার হৃদয়ের ভিতরে ব্রহ্মজ্ঞান জন্মিয়াছে, তাহার নিকটে মহাচৈতন্য মহাপ্রাণ পরমেশ্বর, জড়পদার্থেব মধ্যে আপনার রূপ প্রকাশ করেন । তাহার নিকট জড় জড় থাকে না । ঋকবেদে চন্দ্র সূৰ্য্য বায়ু অগ্নি লইয়া পূজা ; তোমরা কি