পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כ לשג ףןף মঠপ্রতিষ্ঠা SS(t ভারতবর্ষে যে সাধনার স্রোত চলিয়া অ|সিয়াছে, যে ধৰ্ম্মের জ্যোতি নক্ষত্রের ন্যায় ধন্থ ধৰ্ব্ব করিয়া জ্বলিতেছে, তাহারই অনুসরণ কর । দেবেন্দ্রনাথের ন্যায় স্বাধীনচেতা লোক আর নাই। কিন্তু তথাপি শাস্ত্রবাক্য হৃদয়ে রক্ষা করিতে তিনি চিরকালই যত্নশীল । অামি অধিক কথা আর বলিতে চাহি না। আমাকে বক্তৃতা করিতে এখনে আহুত করা হয় নাই। তবে এই মাত্র বলি যে প্রকৃতিকে মন্দির জানিয়া চন্দ্র সূৰ্য্যকে সঙ্গী করিয়া সাধন কর । তোমার উদ্যানের ফুল তাহার চরণে অপণ কর । তোমার উদ্যান-সরোবরের পবিত্র জলে র্তাহার চরণতল ধৌত কর । প্রকৃতির ভিতরে তাহাকে দর্শন কর । প্রাচীন ধৰ্ম্মশাস্ত্র মধ্যে জীবনের চিরসখাকে দর্শন করিয়া রত্নহারের ন্যায়, স্বৰ্গধামের সোপানের ন্যায় ঋষিবাক্য সকলকে ধারণ কর । ব্রহ্মানুরাগে উন্মত্ত হও এবং সেই দলের লোক হও যিনি ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে তোমারদের পিতা হইয়া অদ্যাপিং জীবিত রহিয়াছেন । k পরমপিতা ! তোমার প্রকৃতির মধ্যে সত্য গ্রহণ করিতে অামাদিগকে শিক্ষা দাও । ঋষিবাক্য দিয়া অামারদের অtতুাকে প্রস্তুত কর । আমরা সকলে মিলিয়। তোমার পদ প্রান্তে এই প্রার্থনা করি । তোমাকে অtমর বারবার নমস্কার করি । পরে সঙ্গীত হইয়া উপাসনা আরম্ভ হইল । রাত্রিকালে পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী বেদী অধিকার করেন। উদ্বোধন উপাসনা বক্তৃত একাকী তাবতই সম্পন্ন করেন। উপাসনার সময় স্তোত্র ও “অসতোমা সদৃগময়” পাঠে সাধারণে যোগ দিয়াছিলেন। শিবনাথ বাবুর বক্তৃত৷ বিলক্ষণ হৃদয় গ্রাহী ও সময়োচিত হইয়াছিল। র্তাহার উদ্বোধন ও বক্ত তা আমরা নিম্নে প্রকাশিত করিলাম । । ॐीयूरु निवनाथ *ाशौ ब्र खे८दां५न । স্থানমা ছাত্ম্য বলিয়া এরূপ একটা জিনিস আছে যেখানে আমরা যাই, সেই " নে সেইরূপ ভাবেরই উদয় হয় । বাজারে স্বার্থপরতা উপাঞ্জন পৃহা ও বিষয়বুদ্ধি। বিদ্যামন্দিরের বায়ুতে বিদ্যা । সেখানে গেলে মন সন্তুষ্ট হয়, জ্ঞান-পিপাস৷ বৰ্দ্ধিত হয় । তেমনি এই শান্তিনিকেতনে যে কোন ভাব জাগিয়া উঠিল, তাহা অামাকে বলিয়া দিবার অপেক্ষা করিতেছে না । এইখানে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ নির্জন সাধন করিয়াছেন। আরামকাননের জন্য—ক্রীড়া কৌতুকের জন্য এই স্থান উৎসর্গ করা হয় নাই। ধৰ্ম্মার্থীগণের ধৰ্ম্মসাধনের জন্য ইহা উৎসর্গীকৃত হইয়াছে। এই শান্তিনিকেতনে মহাত্মার সাধনের স্মৃতি পড়িয়া আছে । এখানে আমরা সংসারের সকল চিন্তা ভুলিয়াছি । প্রাতঃকাল হইতে ধৰ্ম্মভাব ক্রমিকই জাগ্রত হইতেছে। অাজ উদ্বোধনের প্রয়োজন নাই । মহাত্মার নাম মহাত্মার সাধন সেই শুদ্ধবুদ্ধ মুক্ত স্বরূপ পরমেশ্বরের উপাসনার জন্য অামাদিগকে প্রস্তুত করিয়াছে । আজ সকলে সেই মহাত্মার পবিত্রভাব চিন্তা করুন—স্মরণ করুন। এবং সকলে মিলিয়া সেই অতিপবিত্র অতিমহান পরমেশ্বরের উপাসনায় প্রবৃত্ত হউন । क़ुत्वन्तु' ত্রযুক্ত শিবনাথ শাস্ত্রীর বক্ততা। মহর্ষির জীবনের দুইটি গভীর কথা বলা হইয়াছে । কিন্তু এখনও অার একটি কথা অবশিষ্ট আছে। . যাহারা তাহার