পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७ ब ब्र, ० टाँ ఏసిలి ব্যাখ্যানমালা মনোযোগ করিয়া পাঠ করিয়াছেন তাহারা অনুভব করিয়া থাকিবেন, তিনি একটি কথা বিশেষ করিয়া প্রকাশ করিয়াছেন । অন্যান্য কথা তিনি তত তত্ত্ববােধিনী পত্রিক ജ ജമ്മ ജ്ജ ബ്, ഇ-ജബ 學 ബ ബ് --ബക്കു - -- ==-- _ _ _ _ _ -ایم--i শাক্যসিংহ ৬ বৎসর কঠোর সাধনে সিদ্ধিলাভ করেন । নির্জনে সাধন আর সজনে । প্রচার । তিনি ঘোর বৈরাগ্যে প্রখর ব্রহ্মচর্য্যে দিন যাপন করিতে লাগিলেন । সুস্পষ্টরূপে বলিয়া উঠিতে পারেন নাই । নিত্যোহনিত্যানাং চেতনশ্চেতনানামেকো বহুনাং যে বিদধাতি কামান । তমাত্মস্থং যেহনুপশ্যত্তি ধারাস্তেষাং শাস্তি: শাশ্বতী নেতরেষাম।” যিনি আনিত্যের মধ্যে নিত্য, চেতনের মধ্যে একমাত্র চৈতন্য স্বরূপ, যিনি এক হইয়া তাবতের কাম্যবস্তু বিধান করিতেছেন, তাহাকে যে ধীরের আত্মস্থ করিয়া জানে তাহারদের শাশ্বত শান্তি হয়, অপর ব্যক্তিদিগের তাহা কদাপি হয় না । (৭১ শ্লোক ব্রাহ্মধৰ্ম্ম) । মহর্ষি বলেন প্রকৃতি-—বহি জগৎ তাহার অনুরূপ, কিন্তু আত্মার মধ্যে র্তাহার স্বরূপ সম্ভোগ করিতে হইবে । আত্মার মধ্যে পরমাত্মা দর্শন করা, তাহার সর্বোচ্চ ভাব । ইহারই জন্য তিনি হিমালয়ে গমন করেন । শান্তিনিকেতনে বাস করিয়া নির্জন সাধন করেন। তিনি নির্জনতার প্রিয় ছিলেন । তিনি বলেন ব্রহ্মকে দর্শন করিবার জন্য সংসার ছাড়িতে হইবে না। ব্রাহ্মধৰ্ম্ম বলেন “ব্রহ্মনিষ্ঠোগৃহস্থঃ স্যাৎ তত্ত্বজ্ঞানপরায়ণঃ । যং যং কৰ্ম্ম প্রকুবীত তৎ ব্রহ্মণি সমপয়েৎ” । ব্রহ্মনিষ্ঠ ও তত্ত্বজ্ঞানপরায়ণ গৃহস্থ হও এবং যে যে কৰ্ম্ম কর তাহা পরব্রহ্মে সমপণ করিও ! বিষয়ের কোলাহল, কার্য্যের উদ্বিগ্নতার মধ্যে যদি বেড়ান যায় এবং তাহাকে দেখিতে পাওয়া না যায়,তবে ধৰ্ম্মভাব কোথা হইতে উদ্দীপ্ত হইবে । ঋষিবাক্য ও প্রকৃতির শোভা মনুষ্যের মনকে মুগ্ধ করে । এই কারণে সাধনের সময় সাধকেরা একান্তে বাস করিতেন । কিন্তু পুরস্কার স্বরূপ পরিশেষে সত্যকে দেখিতে পাইলেন এবং প্রচারের জন্য ব্যস্ত হইলেন । মহম্মদ নির্জনে দুই বৎসর কাল সাধন করিলেন । যখন সিদ্ধ হইলেন, তিনি মনুষ্যের মধ্যে সত্য প্রচার করিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। ঈশ৷ কেবল মাত্র যে ৪০ দিন সাধন করিয়াছিলেন এমন নহে । তিনি প্রথমাবস্থা হইতেই ধৰ্ম্মের জন্য প্রস্তুত হইতেছিলেন। যাহার আহবানে আমরা এখানে সকলে আসিয়াছি তিনি পূর্ণ দুই বৎসর কাল হিমালয়ে বাস ও নির্জনে সাধন করিয়াছেন । সত্য স্বরূপ পরমেশ্বরকে সাধনা দ্বারা অর্জন করিতে হইবে । র্তাহাকে লাভ করিয়া উপাসনার সার্থকতা সম্পাদন করিতে হইবে। যদিও আমরা সংসারকে ছাড়িব না, তথাপি আমাদিগকে মধ্যে মধ্যে নির্জনে সাধন করিতে হইবে, আত্মার মধ্যে র্তাহাকে দর্শন করিতে হইবে । অতীব সত্য কথা, যিনি বলেন র্তাহাকে ছাড়িয়া শাশ্বত সুখ আর কিছুতে মিলে না, তাপিত হৃদয় আর কিছুতে শীতল হয় না, মৰ্ম্মস্থানের বেদন। আর কিছুতে যায় না । এই জন্য মধ্যে মধ্যে নির্জন বাস—-নির্জন সাধনের আবশ্যক । মঠপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি ? মহাত্ম। মহর্ষি দেখিয়াছেন যে নির্জন সাধনের অাবশ্যক । দরিদ্র সাধকের জন্য এরূপ স্থানের প্রয়োজন । যেখানে আমি নিজে সিদ্ধি লাভ করিয়াছি সেখানে অপরে সাধন করুক এবং সিদ্ধিলাভ করিতে সমর্থ হউক । ইহাই তাহার কামনা ।