পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शांतुन १४०७ E তৃপ্তিপ্রদ। বহুকাল পরে আমাদিগের পবিত্র ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কুসংস্কারের মোহজাল, কল্পনার প্ররোচনা তুচ্ছ করিয়া, ঈশ্বরের মঙ্গল আশীৰ্ব্বাদ বহন করিয়া, আমাদের মনশ্চক্ষুর সম্মুখে আবিভূত হইয়াছেন। আদ্যকার দিনে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের প্রসাদে মানবাত্মা আপনার পরম কল্যাণ চরম গতি দেখিতে পাইল । তাহার মোহ-আবরণ ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গেল। কারামুক্ত বন্দী মুক্তির দিন স্মরণ করিয়া যেমন আনন্দে উৎফুল্ল হইয়া উঠে, তেমনি আজ আমাদের মানসবিহঙ্গ দিব্য আকাশে প্রেমচন্দ্রকে দর্শন করিয়া উল্লসিত হইয়া উঠিতেছে । সে আনন্দ তাহার হৃদয়ের ক্ষুদ্র বেলাভূমি অতিক্রম করিয়া উচ্ছসিত হইয়া পড়িতেছে। মনুষ্যকে জানাইয়া তাহার তৃপ্তি নাই, ব্যাকুলতার পরিসমাপ্তি নাই, তাই অমৃতভোজী দেবতাগণকে তারস্বরে আহবান করিয়া বলিতেছে শৃণুস্তু বিশ্বে অমৃতস্য পুত্র আয়ে ধামানি দিব্যানি তস্থ । বেদাহমেতং পুরুষং মহাস্তং আদিত্যবর্ণং তমস: পরস্তাৎ । হে অমৃতের পুত্র সকল, তোমরা সকলে শ্রবণ কর, অামি সেই তিমিরাতীত জ্যোতিৰ্ম্ময় মহান পুরুষকে জানিয়াছি। র্যাহার কৃপায় আমরা আত্মার পরিসেব্য সত্য ধৰ্ম্ম লাভ করিয়াছি এই প্রশান্ত প্রাতঃকালের সৌন্দর্য্যে তাহার স্নিগ্ধ গম্ভীর ভাব সন্দর্শন কর । এই লতাপল্লবমণ্ডিত উপাসনাক্ষেত্রে তাছার উজ্জ্বল প্রকাশ সকলে জীবন্তরূপে অনুভব কর । যিনি পুণ্যের পুরস্কৰ্ত্তা, পাপের একমাত্র মোচয়িতা, ভয়াবহ সংসার-সমুদ্রের একমাত্র তরণী তাহার বিশেষ করুণা সকলে আজ প্রত্যক্ষ কর । তিনিই আমাদের উৎসবের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা । “মধ্যে বামন সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ Seb ക്കു--l-rബ ബജ്ജ== - - - মাসীনং বিশ্বে দেবা উপাসতে” দেবতারা র্তাহাকে আপনাদের কেন্দ্রগত করিয়া নিত্যকাল উৎসব আমোদ উপভোগ করিতেছেন। আইস, আমরা তাহাকে ঘিরিয়া প্রীতিচন্দনচর্চিত হৃদযথালভার ভক্তিপুষ্পহার তাহার চরণতলে অপণ করি । আইস, ত৷হার উপাসনায় প্রবৃত্ত হইয়া জীবনের সার্থক্য সম্পাদন করি । مھینینہے۔ পরিশেষে ভক্তিভাজন আচাৰ্য্য শ্ৰীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এইরূপ প্রার্থনা করি লেন । সম্বৎসরের পর আবার আমরা অামাদের এই উৎসবক্ষেত্রে সম্মিলিত হইয়া জগতের অধিদেবতা এবং আমাদের হৃদয়ের অধিদেবতা আত্মার অন্তরাত্মা পরমাত্মার পূজা করিয়া অদ্য কত ন৷ আনন্দ উপভোগ করিতেছি । যিনি আমাদের কাহাকেও এক মুহূৰ্ত্ত কালও বিস্মৃত নহেন তাহাকে আমরা স্মরণ করিতেছি—যিনি আমাদিগকে নিয়তই চক্ষে চক্ষে রক্ষা করিতেছেন তাহার প্রতি আমরা ধ্যানচক্ষু উন্মীলন করিতেছি—যাহার প্রেম আমাদের আত্মার অমৃত জীবন,অদ্য আমরা সবান্ধবে সপরিবারে একত্র হইয়। র্তাহার চরণে প্রীতি-পুষ্প বিকীর্ণ করিতেছি— আজ আমাদের আনন্দের সীমা কি ? বর্ষে বর্ষে আমাদের উপর তাহার এই যে প্রসাদবারি বর্ষিত হয়, ইহা দেবপূহনীয় অমৃতবারি। অতএব হে ভ্রাতৃগণ, যাহাতে তাহা অামাদের হৃদয়ের অভ্যস্তরে প্রবেশ পায়, তাহার জন্য প্রস্তুত হও; মন হইতে বিষয় কামনা পরিমার্জন করিয়া অন্তঃকরণে বিশুদ্ধ প্রীতি জাগাইয়া তোলো ; আমাদের জন্য আজ আমাদের পরমারাধ্য পরম দেবতার প্রসাদামৃত-ভা