পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سراه S তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ४० कछा, s छ) ग এই উৎসব বিশেষভাবে আত্মার উৎসব ; এই কারণে আমরা আত্মাকেও আজ নূতন সজ্জায় স্থসজ্জিত করিব । আমরা আজ পুরাতন বৎসরের জড়তা ও মলিনতা অন্তর হইতে দূর করিয়া আত্মাকে ঈশ্বরে প্রীতি ও র্তাহার প্রিয়কাৰ্য্য সাধনে চিরনূতন উৎসাহ ও চির-নূতন উদ্যমের দ্বারা পূর্ণ রাখিব । এইরূপ আত্মাকে, শরীরকে ও মনকে পুরাতনের মৃতপ্রায় অবস্থা হইতে নূতনের জীবন্ত অবস্থাতে আনয়ন করিতে পারিলে, তবেই ব্রহ্মোৎসবের সার্থকতা হইবে । আমরা জানি যে, ব্রহ্মের নামে সকলেই আজ নবোৎসাহে উৎসাহী হইবেন, নববলে বলীয়ান হইবেন ; কেবল যাহারা । বৈষয়িক ব্যাপারে নিতান্তই মত্ত থাকিয়া আত্মাকে মৃতপ্রায় ও অসাড় করিয়া রাখিয়াছেন, তাহারাই আজ আনন্দরাশির দ্বারা বেষ্টিত থাকিলেও ব্রহ্মানন্দ উপভোগ করিতে পরিবেন না । যেমন শুষ্ক বৃক্ষ পত্রপুষ্প-শোভিত হয় না, সেইরূপ শুষ্ক হৃদয়ও অমৃতময়ের অমৃতবারিতে সিক্ত না হইলে আর বিকসিত হয় না। হে পরমাত্মন! আজ এই উৎসবের দিনে হৃদয়কে প্রশস্ত করিয়া দাও,আত্মাকে উন্নত করিয়া দাও । হে আনন্দস্বরূপ ! আজ আমাদের সকলেরই আত্মা যেন তোমার সহবাস-জনিত বিমলানন্দ উপভোগ করিয়া পরিতৃপ্ত হয় । আমাদের শরীরে বল দাও, মনেতে উৎসাহ দাও, আত্মাতে শক্তি দাও যে, তোমার প্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্ম ভারতের দেশে দেশে, নগরে নগরে, গৃহে গৃহে প্রচার করিয়া সুবিশাল এই ভারতবর্ষে এক সুদৃঢ়ভিত্তি ধৰ্ম্মরাজ্য সংস্থাপন করিতে কৃতকাৰ্য্য হই। আমাদিগের এই প্রার্থনা সফল কর । η go o চন্দ্রতপন র্যাহার অহরহ আরতি করিতেছে, ভূলোক ও ছ্যলোক যে দেবদেবের চরণবন্দনা করিতেছে, যে দিন ভারতের প্রতি গৃহ হইতে র্তাহার আরতিগীত সকল উত্থিত হইবে, সেদিন কি শুভদিন ! হে দয়াময় ! এই দরিদ্র ভারতবর্ষে সেই শুভদিন সত্বরেই প্রেরণ কর—সেই শুভদিন প্রেরণ কর । আমাদের অার অন্য কোন প্রার্থনা নাই। ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । পরে শ্রদ্ধাস্পদ শ্ৰীযুক্ত চিন্তামণি চট্টোপাধ্যায় নিম্নোক্ত প্রকারে সকলকে উদ্বোধিত করিলেন । অাজ চারিদিকে কিসের এত আনন্দ কোলাহল । আজ কোথা হইতে উদ্যম উৎসাহে চতুর্দিক পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। রোগে আকুল শোকে কাতর এই পরাধীন ভারতে কে আবার নূতন প্রাণের সঞ্চার করিয়া দিল । কিসের নিমিত্ত এই পবিত্র উৎসব আমোদে সকলে উন্মত্তপ্রায় হইয়া উঠিলেন। পাপী পুণ্যবান ধনী দরিদ্র কিসের জন্য আজ আত্মবিস্মৃত হইয়া অনুরাগভরে পরস্পর পরস্পরকে আলিঙ্গন করিতেছেন । আজিকার এই শুভদিনে শুভলগ্নে মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় অরণ্যের ঋষিগণ-পরিসেবিত একেশ্বরবাদ সজন নগরে আনয়ন করিয়াছিলেন, স্বগের সোপান—মুক্তির দ্বার জনসাধারণের নিকটে উন্মুক্ত করিয়াছিলেন, জড়বাদ অবতারবাদ ও মূৰ্ত্তিপূজার কঠিন নিগড় হইতে অমর আত্মার বন্ধন মোচন করিয়াছিলেন তাই ১১ মাঘের পবিত্র প্রাতঃকাল আমাদিগের এত প্রিয়,আদ্যকার প্রাতঃসূর্য্যের উদয় এত