পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांग्लन sws७ সাম্বৎসরিক ব্রাহ্মসমাজ SS6 স্পষ্ট জানিতেছি যে, প্রত্যেক দেশ অনন্ত আকাশের প্রসারিত ক্রোড়ে অবস্থিতি করিতেছে ; যেমন স্পষ্ট জানিতেছি, যে পৃথিবীর কোনো স্থানই শূন্য আকাশ মাত্র নহে—জানিতেছি যে, সকল স্থানই অদৃশ্য ভৌতিক শক্তিতে পরিপূর্ণ; তাহার মধ্যে আবার কোনো কোনো স্থান জৈবিক শক্তিতে, কোনো কোনো স্থান জৈবিক এবং মানসিক দ্বিবিধ শক্তিতে, কোনো কোনো স্থান জৈবিক মানসিক এবং আধ্যাত্মিক ত্ৰিবিধ শক্তিতে পরিপূর্ণ ; তেমনি আমরা স্থম্পন্টরূপে হৃদয়ঙ্গম করিতেছি যে, অসীম আকাশ শূন্য আকাশ নহে তাহা সত্যং জ্ঞানমনন্তং পরমাত্মার সত্ত এবং শক্তিতে পরিপূর্ণ। আমরা যেমন স্পষ্ট হৃদয়ঙ্গম করিতেছি যে, জীবাত্মা শরীরের সর্বত্র ব্যাপ্ত হইয়াও আমাদের প্রতিজনের নিগুঢ় অভ্যন্তরে অধিষ্ঠান করিতেছে, তেমনি স্পষ্ট হৃদয়ঙ্গম করিতেছি যে, পরমাত্মা অসীম আকাশে পরিব্যাপ্ত হইয়াও তিনি আমাদের আত্মার নিগুঢ় অভ্যন্তরে অবস্থিতি করিতেছেন। আত্মপ্রত্যয়ের মতো ব্রহ্মজ্ঞানের এমন সহজ পথ থাকিতেও লোকে যে, তাহ পরিবর্জন করিয়া অন্যান্য জটিল পথ অবলম্বন করে, তাহার কারণ আর কিছু ন—ভক্তিমান অজ্ঞানী এবং ভক্তিহীন বিজ্ঞানী এই দুই দলের তুইরূপ অভ্যস্ত ংস্কার । ভক্তিমান অজ্ঞানীরা আত্মপ্রত্যয়ের পথে দণ্ডায়মান হইয়াও চিরাভ্যস্ত সংস্কারের বিরুদ্ধে সে পথ পরিমার্জন করিতে সংকুচিত হ’ন ; এই জন্য র্তাহারা পরমাত্মাকে সৰ্ব্বব্যাপী এবং সচ্চিদানন্দ স্বরূপ জানিয়াও, সেই আত্মপ্রত্যয়-গোচর মহাসত্যকে বুদ্ধি-গ্রাহ্য পরিমিত সত্যের সহিত একীভূত করিয়া অমূর্ত পুরুষের ==ങ്ക്-ബ= -ബ് মূৰ্ত্তি-কল্পনায় প্রবৃত্ত হ’ন । ইহঁার আত্মপ্রত্যয়ের স্বচ্ছ পথ হইতে কল্পনার জঞ্জাল সকল পরিমার্জন না করিয়া ক্রমিকই আরো উপযুপিরি জঞ্জালের উপর জঞ্জাল আনিয়া জড়ো করেন । এ দিকে, ভক্তিহীন বিজ্ঞানীরা অনাদ্যনন্ত মহান সত্যের বিরুদ্ধে পরিমি৩ সত্যের পক্ষ সমর্থন কfরতে গিয়া, আত্মপ্রত্যয়কে উচ্ছেদ করিবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন ; তাহারা মনে করেন যে আত্ম প্রত্যয় গেলেই বুদ্ধি নিষ্কণ্টক হইবে । এট। তাহারা দেখেন না যে, আত্মপ্রত্যয়কে উচ্ছেদ করিয়া বুদ্ধিচর্চায় যত্ন সমপর্ণ করা, আর, বৃক্ষের মূল উচ্ছেদ করিয়া শাখাতে জল সিঞ্চন করা, দুইই সমান। ইহারা ব্রহ্মজ্ঞ ব্যক্তিদিগের দুইটি মহাবাক্যের একটি শিরোধাৰ্য্য করেন, আর একটি দেখিয়াও দেখেন না ; পরমাত্মা বুদ্ধির অতীত এইটিই কেবল ই হার শিরোধাৰ্য্য করেন কিন্তু তিনি যে, আত্মপ্রত্যয়ের গোচর, ইহা তাহার। দেখিয়াও দেখেন না । কে এমন নিৰ্ব্বোধ যে, দুরূহ বিজ্ঞান শাস্ত্র করায়ত্ত করিতে পারিলেন না বলিয়৷ সেই খেদে তিনি বুদ্ধিবৃত্তিকে কোনো কার্য্যেরই নহে মনে করিয়া প্রয়োজনীয় বিষয়-কার্য্যেও বুদ্ধিপরিচালনায় ক্ষান্ত হ’ন ! কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, অনেকানেক কৃতবিদ্য পণ্ডিত বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে ব্রহ্মবিদ্যা আয়ত্ত করিতে পারিলেন না বলিয়৷ সেই খেদে ৰ্তাহারা আত্মপ্রত্যয়কে কোনো কার্য্যেরই নহে মনে করিয়া সাধ করিয়া অতলম্পর্শ সংশয়-সাগরে ঝম্প প্রদান করেন ! কিন্তু ঈশ্বরের করুণ। অপার । তিনি আমাদের মধ্যে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রেরণ করিয়া এইরূপ অজ্ঞান-সুলভ এবং বিজ্ঞান-সুলভ