পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১৩ তত্ত্ববোধিনী পত্রিক s० कछ, * छ। न দ্বিবিধ ভ্রমের উভয় সঙ্কট হইতে আমাদিগকে নিরাপদে রক্ষা করিতেছেন । ব্রহ্মপরায়ণ ব্রাহ্মেরা তাই আত্মপ্রত্যয়ের বিমল জ্যোতিতে অন্তরে ব্রহ্মজ্ঞান ব্রহ্মধ্যান এবং ব্রহ্মানন্দরসপান করিয়া প্রাণ খুলিয়া বলেন সত্যং জ্ঞানমনস্তং ব্রহ্ম আননারূপমমৃতং যদ্বিভাতি *ांख३ *ि व भटे द्र ठ१ ।। এই নিত্যোহনিত্যানাং চেতনশ্চেতনানাং এই একোবশী সৰ্ব্বভূতান্তরাত্মা এই দেবতানাং পরমঞ্চ দৈবতং এই পরাৎপর পরম দেবতা, ব্রাহ্মদিগের একমাত্র অারাধ্য দেবতা । যিনি আত্মপ্রত্যয়ের শুভ্র জ্যোতিতে এই সৰ্ব্বাধিপতি এবং সর্বাশ্রয় মহান দেবতাকে আত্মার আত্মা-রূপে অন্তরে উপলব্ধি করিয়া প্রীতি ভক্তি কৃতজ্ঞতার সহিত র্তাহার আরাধনা করেন র্তাহাতে হৃদয় সমর্পণ করেন, র্তাহার ভাবের আলোকে পথ দেখিয়া চলেন, তিনি র্তাহার প্রসাদামৃত এবং প্রেমস্থধায় অtত্মাতে প্রাণ পাইয়া উঠিয়া আনন্দে কর্তব্য কার্য্য সমাধা করেন—আনন্দে জীবনযাত্রা নির্বাহ করেন,আনন্দে উন্নত লোকে গমন করিয়া পরমাত্মার নুতন নূতন রাজ্যে নূতন নূতন মহিমা অবলোকন করেন এবং নুতন নূতন ভাবের রসাস্বাদন করিতে করিতে উন্নতি পথে অগ্রসর হন । র্তাহার অারাধ্য দেবতা যেমন সত্য—র্তাহার আরাধনাও তেমনি সত্য—র্তাহার আনন্দও তেমনি সত্য ! তিনিই অন্তরের সহিত | বলিতে পারেন যে, সত্যমেব জয়তে নামৃতং সত্যেরই জয় হয়—মিথ্যার কখमझे न । ব্ৰহ্ম-সঙ্গীত। রাগিণী ইমনকল্যাণ—তাল মুরষ্কাকতাল। নমঃ শঙ্করায়,মহেশ,ভবনায়ক,অনাদি, ধাতা আনন্দরূপ সৰ্ব্বব্যাপী । মহাব্যোমে অগণন • গ্ৰছতারা ধায় তোমার ভয়ে, তুমি পিতা নিখিল কারণ, তব অন্ত কোথা ? সন্তাপ-নিবারণ, ভব-সমুদ্র-তারণ, মন- , পাবন, বিভু, ত্রিলোক-শুভদাতা । ত্রিভুবন-চরাচর-প্রাণ তুমি, হে প্রভো, ভক্তবৎসল, দয়াল, দীনবন্ধু, সেবকে বিতর তোমার প্রসাদ । রাগিণী ইমন—তাল আড়াঠেকা । এ মোহ আবরণ খুলে দাও দাও হে । সুন্দর মুখ তব দেখি নয়ন ভরি, চাও হৃদয় মাঝে চাও হে । মাদ্রাজি ভজন । প্রণমামি অনাদি, অনন্ত, সনাতন, পুরুষ; নিখিল জগত-গতি, পরম-গতি, মহান, ভকত-জীবন-ধন ; ভূম, প্রভু, পরম-ব্রহ্ম, পরমায়ণ, কারণ, শরণাগত-বৎসল,পূর্ণ সত্য,সকল দুখ-বারণ। ভব-জলধি-তরণ, শরণ, অতি পবিত্র, শুভ-নিধান, অজর, অভয়, অবিনাশী । মুর-নর-বন্দন, জগ-চিত-রঞ্জন, ভব-ভয়ভঞ্জন,বিতর কৃপা । দীন-নাথ,করুণাময়,ম্বন্দর,প্রেম-সিন্ধু,মধুময়, নাহি উপমা, নাম-রূপ-গুণ-অতীত, চিন্ময়, । অন্তরে তোমার আসন । সাহানী— কাওয়ালি । দশ দিশি কি বা আজি মধুময় হৃদয়-নাথেরে হৃদয়ে হেরিয়া । সুবিমল পরশে হরষে মাতি প্রাণ-বিহঙ্গ ওঠেরে গাহি, মন-আলি পিয়ে অমিয়া, প্রেম-উৎস ছুটাল উচ্ছসিয়া।