পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S‘Sb^ -- == -- - একমাত্র সহায় । এমন যে উৎকৃষ্ট ব্রাহ্মধৰ্ম্ম, সেই ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে তিনি বঙ্গদেশে প্রেরণ করিলেন । দেবসেব্য ব্রাহ্মধৰ্ম্ম— পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠধৰ্ম্মকে ঈশ্বর বঙ্গদেশে প্রেরণ করিলেন । ইহাতে র্তাহার কত দয়া, কত করুণা প্রকাশ পাইতেছে। তোমরা সকলে সেই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অধিকারী হইয়াছ । তোমরা ইহাকে প্রাণপণে রক্ষা কর । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম যদি বঙ্গদেশে স্থান না পায়, তবে অার এদেশের উন্নতির কোন উপায় থাকিবে না । তোমরা ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে প্রাণপণে রক্ষা কর—ব্রাহ্মধৰ্ম্ম তোমাদিগকে রক্ষা করিলে। ইহাকে যদি অবহেলা কর, তোমাদিগের আর দুৰ্গতির সীমা থাকিবে না। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের দেবতা ব্রহ্ম ; ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ধৰ্ম্ম তাহার আদেশ । তিনি আমাদের হৃদয়ে অনুক্ষণ র্তাহার ধৰ্ম্ম-আদেশ প্রেরণ করিতেছেন । বিজ্ঞানে স্মৃষ্টি পায় । সেই তাদেশানুযায়ী যে কৰ্ম্ম করে, সেই ধৰ্ম্মিষ্ঠ, বলিষ্ঠ হয়। র্তাহার শরণাপন্ন হও ; তাহাকে সযত্নে হৃদয়ে রক্ষা কর, তাহা হইলে তোমাদিগের মধ্যে যে ভীরু, তাহার ভয় থাকিবে না ; তোমাদিগের মধ্যে যে দুর্বল, সে সবল হইবে, তোমাদিগের মধ্যে যে অনাথ সে সনাথ হইবে । র্তাহার শরণাপন্ন হও ; তিনি শরণাগত-বৎসল । প্রাণপণে ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে রক্ষা কর ; প্রেমস্বরূপ ব্রহ্মেতে প্রেম অপণ কর । আনন্দমনে বিমল হৃদয়ের প্রীতি-কুসুম দিয়া তাহাকে পূজা কর। নিয়ত র্তাহার ধৰ্ম্মআদেশ পালন কর । যাহার ভয়ে বায়ু বহিতেছে, র্যাহার ভয়ে সূৰ্য্যচন্দ্র চলিতেছে, তিনি তোমাদিগকে শুভ বুদ্ধি প্রদান করুন, তোমা তত্ত্ববোধিনী পত্রিক সেই তাদেশ অামাদের । t3عة د . ام جة و د দিগের শুভ ইচ্ছাতে বলসঞ্চার করুন ; · তোমাদিগকে সৎপথে ধৰ্ম্মপথে লইয়া যাউন, এই আমার হৃদগত আশীৰ্ব্বাদ । ১৪ই মাঘ, ৬২ ব্রাহ্ম সম্বৎ ১৮১৩ শক । শবদব্ৰহ্ম সাধন । (১১ মাঘ উপলক্ষে কোন দর্শক ব্ৰহ্ম-সঙ্গীত শুনিয়া নিজের মনের ভাব ব্যক্ত করিয়াছেন ।) সুধাধবলিত বৃহৎ সৌধ—মধ্যে সহস্রাধিক মানব, সকলেই স্থির ও গম্ভীর, সকলেই অদৃষ্টপূর্ব অশ্রুতপূর্ব অনির্বাচ্য শবদ-ব্রহ্মের আবির্ভাব প্রতীক্ষা করিতেছে। এমন সময় শুনা গেল— “নমঃ শঙ্করায় মহেশ ভবনায়ক অনাদি ধাতা—” প্রাণের প্রাণ শবদ ব্রহ্ম কর্ণপথে প্রবেশ করতঃ প্রাণে গিয়া মিশিল, তাপ পাপ ভুলিয়া গেলাম, ব্রহ্মানন্দ কি তাহ বুঝিতে পারিলাম, সমাধিস্থ হইলাম, জগৎ ভুলিয়া গেলাম । । পুনরাবৰ্ত্তন—পুনরাবির্ভাব— “নমঃ শঙ্করায় মহেশ ভবনায়ক অনাদি ধাতা—-” শুনিয়া সমাধি ভাঙ্গিল, বু্যথিত হইলাম। তখন মনে হইল, আমি যেন । ব্রহ্মলোকে গিয়াছিলাম, তথা হইতে ঋষিলোকে আসিয়াছি। মনে হইল, যেন ব্যাস যাজ্ঞবল্ক্য, সামগ জৈমিনি প্রভূতি ঋষি সামগানে মন প্রাণ মগ্ন করিয়া শব্দব্রহ্মে অবস্থিতি করিতেছেন । মনোমধ্যে ঘোর আন্দোলন হইতে লাগিল। কত কথাই যে মনে আসিল তাহার ইয়ত্তা নাই । বিশেষতঃ মহাযোগী যাজ্ঞবল্ক্যের ও পতঞ্জলির নিগুঢ় উপদেশ সমস্তই মনে আসিল । পতঞ্জলি একদিকে অষ্টাঙ্গ যোগ ও অপর দিকে ঈশ্বর-প্রণিধান সমানরূপে স্থাপন করিয়া বলিতেছেন—