পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و لا « نة جfمة শবদ ব্রহ্ম সাধন ఫిన) “ঈশ্বর প্রণিধানাদ্ধা ।” হয় দুঃসম্পাদ্য অষ্টাঙ্গযোগ অবলম্বন কর, না হয় ঈশ্বরপ্রণিধান-তৎপর হও । অন্টাঙ্গযোগ যাহা করিবে, একমাত্র ঈশ্বর-প্রণিধান তাহাই করিবে । উভয়ই সমবল ও সমান পথ । মহাযোগী যাজ্ঞবল্ক্য বলিতেছেন, “ঘথা বিধানেন পঠন সামগtয়মবিচু্যতম্। সাবধান স্তদভ্যাস্যাৎ পরং এহ্মাধিগচ্ছতি ॥” * পরামুখ তিনি সাবধানে সামগান অবলম্বন করুন। অষ্টাঙ্গযোগ, ঈশ্বর প্রণিধান, গানযোগ, তিনই ব্রহ্মগমনের পথ ; পথ সত্য, পরন্তু গানযোগ সৰ্ব্বাপেক্ষা সুগম্য।

  • শবদ এহ্মণি নিষ্ণাত: পরং ব্রহ্মাধিগচ্ছতি।”

শব্দব্ৰহ্মউপাসক অল্পায়াসে ব্রহ্মলাভ করিতে পারে । ঈশ্বর প্রণিধানব্ৰত সহজ নহ । র্যাহার চিত্তবৃত্তি নিরাকার অবলম্বনে । অষ্টাঙ্গযোগের ষষ্ঠ ভূমিকায় ধ্যান, । তাহা নিরাকার পক্ষে অসম্ভব বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। নিরাকার সাধনে প্রবৃত্ত হইতে গেলে দীর্ঘকালব্যাপী কঠোরতর চেষ্ট্রায় নেতি নেতি ক্রমে অর্থাৎ নিষেধমুখী সাধনে বৃত্তিলয় করার চেষ্টা করিতে হয়, পরস্তু তাহা সংসারা জীবের পক্ষে নিতান্ত দুঃসম্পাদ্য। ঈশ্বরপ্রণিধানও সহজ নহে। অবিচ্ছেদে ধারাবাহী ক্রমে যাবজ্জীবন ভক্তিশ্রদ্ধা সহকারে ঈশ্বরপরায়ণ হইয়া থাকিতে হইবেক, ক্ষণকালের নিমিত্তও চিত্ত হইতে ঈশ্বরকে অপসারিত করিতে পারিবে না, গমন উপবেশন শয়ন আহার বিহার নিদ্রা, অর্জন ব্যয় রক্ষণ, কোনও কাৰ্য্যে আত্মকর্তৃত্ব রাখিতে পা ৬ যস্য পুনশ্চিত্তবৃত্তি নিরাকারাবলম্বতয়া সমাধেী নাভিরামতে তেন শব্দব্রহ্মোপাসনং কার্য্যমিত্যাহ যথেতি । স্বাধ্যায়াবগতমার্গানতিক্রমেণ সামগায়ং সামগানং অবিচু্যতং অশ্বলিতং সাবধানঃ সামাধবন্তনু স্থ্যতত্ৰক্ষৈকাগ্রচিত্তবৃত্তিঃ পঠন তদভ্যাসবশাৎ তত্র নিষ্ণতঃ শঙ্কাকারশূন্যোপাসনেন পরং ব্রহ্ম অধিগচ্ছতি। । - - - - - রিবে না, সমুদায় কার্য্যে সমুদায় দৃশ্যে ও সমুদায় ভাবে ঈশ্বরের হস্ত দেখিতে হইবেক, তবেই তোমার ঈশ্বর প্রণিধান সিদ্ধ হইবেক । যখন তাহ পাকা হইবে তখন তোমার প্রতি প্রকৃত ঈশ্ববানু গ্ৰহ হইবেক। তখন তোমার আত্মার নিরাকারত ; স্পষ্ট প্রতিভাত হইবেক । সুতরাং দুঃসম্পাদ্য ঈশ্বর প্রণিধান ও অন্টাঙ্গ যোগ অপেক্ষা শব্দ ব্রহ্ম উপাসনা বা গা তযোগ অপেক্ষাকৃত সুগম । গীতে যে ভাব অধ্যারোপিত থাকে চিত্ত সেই ভাবেই নিমগ্ন হয়, সমাধিস্থ । একা গ্রীকৃত হয় । ব্রহ্ম ভাব অধ্যারোপিত থাকিলে কাজেই ব্রহ্ম ভাবে নিমগ্ন, সমাধি প্রাপ্ত বা একাগ্রীকৃত হয়, স্বরবিন্যাসের নাম গীত, স্বরের মূল ধ্বনি, ধ্বনির মূল শূন্য, তাহ নিরাকার । শব্দ, স্থর বা ধ্বনি, এ সকলের নিরাকারে উৎপত্তি ও নিরাকারে লয় । মধ্যে যে পুন্টভাব তাহ ও অমূৰ্ত্ত হুতরাং নিরাকার । অথচ আনন্দঘন । সেই কারণে ঋযিরা বলেন, শব্দব্রহ্মোপাসনা নিরাকার উপাসনা তাহ শব্দাশ্রয় শূন্য অবলম্বনে উপাসনা সুতরাং নিরাকার । আগে আগে ভাবিতাম, গীত কেবল সাময়িক চিত্ত বিনোদের নিমিত্ত স্বস্ট,কিন্তু এখন দেখিতেছি গীতই নিরাকার উপসনার উৎকৃষ্ট উপায় । ব্ৰহ্মভাবানুবিদ্ধ গীত অজ্ঞকেও অলক্ষ্যে বা অজ্ঞাতসারে ব্ৰহ্মপ্রাপ্তি করায়, পরন্তু অজ্ঞ তাহা বুঝিতে পারে না । জ্ঞানী বুঝিতে পারেন, তাই র্তাহারা গীতকে উৎকৃষ্ট উপাসনাঙ্গ বলিয়া অবধারণ করেন । গীতে যে বস্তু অধ্যারূঢ় হয়, গীত চিত্তকে সেই বস্তুতেই সমাহিত করে ও সেই বস্তুতেই ভাল বাসা জন্মায়, ইহা দেখিয়া ঋষিরা সাধনসঙ্গীতকে পৃথক