পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

פ צשי הסt5 বোয়ালিয়া ব্রাহ্মসমাজ S\OS অধিকাংশ লোকেই ব্রহ্মোপাসক এলং এখনও কোন ভারতবর্ষীয় সেখানে গিয়া রামমোহন রায়ের স্বদেশীয় বলিলে বিশেষ সম্মান লাভ করে । যেমন বিদেশে ব্রহ্মজ্ঞান ব্যাপ্ত হইবার এই সকল সূত্রপাত দেখিলাম, সেইরূপ আমাদের এদেশে ও দৃষ্টিপাত করিলে তাহার সূত্রপাত দেখিতে পাইব । হড়া, আন্দুল প্রভৃতি নানা গ্রামের অধিবাসীগণ । আপনাদিগেরই যত্নে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিতে উদ্‌যুক্ত হইয়া আমাদিগের শ্রদ্ধাভাজন হইতেছেন । আজ যে সমাজে দাড়াইয়া বলিতেছি, এই ব্রাহ্মসমাজ ও এবিষয়ে কত না সহায়তা করিতেছে । আমাদের এই সমাজ দরিদ্র নহে ; ইহা লোক সংখ্যায় দরিদ্র হইতে পারে, অর্থ বিষয়েও দরিদ্র হইতে পারে কিন্তু তথাপি ইহা দরিদ্র নহে—ইহা সেই পরমধন পর- | মেশ্বরকে লাভ করিয়া ধনী—ইহার আর অন্য ধনের আবশ্যক কি ? তিনিই সমুদায় অভাব পূর্ণ করিবেন। আর সেই আদি কাল হইতে ব্রহ্মজ্ঞানের বিরোধী পক্ষের । সংখ্যাই অধিক চলিয়া অসিতেছে, কারণ অধিকাংশ লোকেই ব্রহ্মকে ছাড়িয়া সংসারে একান্ত আসক্ত হইয়া পড়ে। তাই বলিয়া, আমি পুনরায় বলিতেছি যে র্যাহারা ঈশ্বরের কৃপা অবগত হইয়াছেন, তাহাদিগের নিরাশ হইবার কিছুমাত্র কারণ নাই । সম্প্রতি ইংলণ্ডীয় ব্রাহ্মসমাজের সাম্বৎ সরিক বক্তৃত হইয়া গিয়াছে। সেখানেও দেখি একইরূপ অবস্থা—অনেকে ইহাতে গোপনে যোগ দেন ; অনেক খৃষ্টীয় প্রচারক কৰ্ম্ম হারাইবার ভয়ে ইচ্ছাসত্ত্বেও ইহাতে যোগ দিতে পারেন না । আবার অনেকে, সময়ে সময়ে বাইবেলের বিরুদ্ধে । অনেক কথা বলা হয় বলিয়া, যোগ দেন না । কিন্তু সভাপতি মহাশয় বলিতেছেন গে এই সকল দেখিয়া ভীত হইলে চলিবে না ; কোন প্রকার দোষ বা কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বলিতে ক্ষান্ত থাকিলে ব্রোহ্মসমাজের উন্নতি হইবে না ; উন্নতি হইবে | কিসে ? — “It can only be done by publishing to the , orld our faiths, gloryun in them proclaiming their superiority to ... ther known creeds —attacking what is base and false in other religious, and waging in continuous warfare in defence of the truth, as we ourselves see it. Such. humanly speaking, are the only means by which we can hope to obtain wide acceptance of our beliefs. কুসংস্কারের বিরুদ্ধে চিরকাল অবিশ্রান্ত ভাবে সংগ্রাম করিতে হইবে, তবে সকলে সত্যগ্রহণ করিতে ইচ্ছুক হইবে । আমাদিগের জীবনে ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে দেখাইতে হইবে, তবে সকলে ইহার জীবন্ত প্রভাব দেখিয়া ইহাকে গ্রহণ করিবে। এই কঠোর ংগ্রাম করিবার বল পাইব উপাসনা এবং ঈশ্বরের প্রতি একান্ত নির্ভরের ভাব হইতে । আমাদিগের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম সম্মুখে পড়িয়া ; আমরা কৰ্ম্ম করিয়া যাইব । ইহার ফল আমরা দেখিতে পাই বা না পাই,তাহার জন্য উৎকণ্ঠিত হইলে চলিবে না ; ঈশ্বর যখন উপযুক্ত বোধ করিবেন, তখনই আমাদিগের আত্মাতে আবিভূতি হইবেন । আমরা যেন আমাদিগের কর্তব্য কৰ্ম্মে অবহেলা না করি । হে পরমাত্মন! তুমি কাহাকে কোন পথ দিয়া তোমার কাছে লইয়া যাও, তাহা আমরা কিছুই বুঝিতে পারি না । তুমি এই সমাজস্থ হহ্নদ্বগের হৃদয়ে যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের বীজ রোপণ করিয়াছ, এখন