পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ তাহাতে তোমার করুণাবারি বর্ষণ করিয়া তাহা বৃক্ষে পরিণত কর । এমন আশীববাদ বর্ষণ কর যেন এই সমাজ একদিন শতসহস্ৰ লোকের আশ্রয়স্থল হইয়া দাড়ায় ; সকলেই যেন ইহার সুশীতল ছায়াতে বিগতপাপ, বিগততাপ হইয়া ংসারের হিতসাধনে প্রবৃত্ত হয় । ওঁ একমেবাদ্বিতীয়ং । --> - =-- - -- সায়ংকাল । ব্রহ্মোপাসনা প্রচাবই ব্রাহ্মদিগেব কর্তুল্য। ৬ পল্লীগ্রামের অন্তরে এই ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হইয়াছে দেপিয়া হৃদয়ে যে কি আনন্দ হইতেছে, তাহা বলিতে পারি না। ব্রাহ্মধৰ্ম্মের পবিত্র ভাব সকল পল্লীগ্রামের মধ্যেও প্রবেশ করিয়াছে দেখিয়া হৃদয়ে আনন্দ ধারণ হয় না । নর নারীগণ সকলেই যখন সেই একমেবাদ্বিতীয়ং পরব্রহ্মের জয়ঘোষণা করিবে, সে দিন কি আনন্দের দিন হইবে । হিমালয়ের শেষপ্রান্ত হইতে কুমারিক অন্তরীপ পর্য্যন্ত, সিন্ধুনদ হইতে ব্রহ্মপুত্র পর্য্যন্ত—সমস্ত ভারতবর্ষ যখন ব্রহ্মের জয়গানে প্রতিধ্বনিত হইতে থাকিবে, যখন বিশকোটি ইতে ব্রহ্মমহিমা গান সকল শ্রদ্ধা-প্রীতিগদগদম্বরে উত্থিত হইয়া তাহার পবিত্র সিংহাসনের নিকট যাইতে থাকিবে, সে দিনের কথা স্মরণ করিলে শরীরে কি রোমাঞ্চ হয় না, আত্মায় কি অপূর্ব বল আইসে না ? উপনিষদের কালে আমাদের এই

  • শ্রদ্ধাস্পদ ত্রযুক্ত ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক বিবৃত্ত ।

তত্ত্ববােধিনী পত্রিক १७ क¢, ० छtर्ण - *ss R - == - ബ আশা অনেক পরিমাণে সফল হইতেছিল ; তখন ভারতের একপ্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্য্যন্ত ব্রহ্মজ্ঞামের স্রোত প্রবাহিত হইবার উপক্রম হইয়াছিল । কিন্তু ঃখের বিময়, সে অাশা সফল হইল না । যেমন একমুখী গভীর স্রোতস্বতীকে বিভিন্ন মার্গে প্রবাহিত করিয়া দিলে সেই স্রোতস্বতীর স্রোত আর সেরূপ তীব্র থাকে না এবং সেই ভিন্নমাগপ্রস্থিত নদীশাখাগুলিও সেরূপ গভীর হয় না,— পঙ্কিল হইয়া উঠে, সেইরূপ উপনিষদের পরবর্তী দেশহিতৈষী লোকের পবিত্র ব্ৰহ্মজ্ঞানের গভীর স্রোতকে মূর্তিপূজা প্রভৃতি নানা বিভিন্ন মাগে প্রবাহিত করিতে নানা কারণে বাধ্য হইয়াছিলেন । যদিও এইরূপ উপায় তখনকার প্রবল নাস্তিক তাকে কতক পরিমাণে বাধা দিতে সক্ষম হইয়াছিল, কিন্তু ইহার ফলে ক্রমে ব্ৰহ্মজ্ঞানের স্রোত শুষ্ক হইয়া যাইতে লাগিল এবং সমস্ত ভারতবর্ষ মরুভূমি হইবার উপক্রম হইল । -> ঈশ্বরের কি আশ্চর্য্য করুণা ! তিনি ঠিক উপযুক্ত সময়ে ভারতবর্ষকে উদ্ধার করিলেন। শাখাত্রোতের মুখবন্ধ করিয়া ব্রহ্মজ্ঞানের স্রোতকে পুনরায় একমুখী করিতে চেষ্টা ভারতবাসীর কৃতজ্ঞতাপ্রসারিত হৃদয় হ- | মহাত্ম। রাজা রামমোহন রায় । করিলেন ; ঈশ্বর তাহার এই শুভকার্ঘ্যের সহায় হইলেন—তিনি ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করিতে কৃতকাৰ্য্য হইলেন । র্তাহার মস্তকের উপর দিয়া কত যে বিঘ্নবিপত্তির ঝটিকা চলিয়া গিয়াছে, তাহ কে গণনা করিবে ? তিনি এই সমস্ত বিঘ্ন বিপদ অতিক্রম করিয়া ও বেদবেদান্ত-প্রতিপাদ্য ব্রহ্মজ্ঞানের এক তুমুল আন্দোলন উপস্থিত করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। কিন্তু তাহার মৃত্যুর পর কয়েক বৎসর ব্রাহ্মসমাজে