পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চৈত্র ১w ১৩ =os - - - - _ --- SMMMS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS উন্নতির স্রেত কতকটা বন্ধ হইয়াছিল। তখন সকলেই ভাবিয়ছিল যে এইবারেই বুঝি ত্রাহ্মসমাজ গেল । কিন্তু একবার যপন ব্রাহ্মসমাজ ব্রহ্মনামের জয়পতাকা ভারতের মুক্ত গগনে উডীন করিতে সক্ষম হইয়াছে, তখন আর ইহা মৃত্যুমুখে যাইতে পারে না--- ইহা অমৃতের নাম লইয়া অমল হইলা পড়িয়াছে । ব্রাহ্মসমাজের সেই ঘোর দুরবস্থার সময় পূজ্যপদ পিতামহদেব সেই বিজয়পতাকা উড়টীল করিয়া ব্ৰহ্মনামের জয়ঘোষণা করিবার জন্য সমুদয় ভারতবর্ষকে আহবান করিলেন এবং চারিদিক হইতে সেই তাহবানের প্রত্যুত্তর ও তামিতে লাগিল। আবার র্তাহার অবসর গ্রহণ করিবার পর হটতে ব্রাহ্মসমাজের খবস্রোত এপ টু মন্দীভূত হইয়া পড়িয়াছে । তাঙ্গ বলিয়া আমাদের নিরাশার কোনই কারণ নাই । আমরা যখন দুইবার দুইবার ব্রাহ্মসমাজের মঙ্গলের জন্য ঈশ্বরের হস্ত ও সারিত দেখিতে পাইলাম তখন তৃতীয় বারই বা কেন তিনি ব্রাহ্মসমাজকে উদ্ধার না করিবেন ? এ বিষয়ে সন্দেহ হওয়াই • আমাদিগের পাপ । আমরাও যদি অাবার যথার্থ প্রাণের সহিত, হৃদয়ের সহিত ব্রাহ্মসমাজের উন্নতির জন্য দৃঢ়সংকল্প হইয়া কার্য্যে প্রবৃত্ত হই, তাহা হইলে আমরাও ব্রাহ্মসমাজের উপর ঈশ্বরের সুবিমল প্রসাদ প্রত্যক্ষ অনুভব করিব । আজই যদি আমরা উৎসাহ পূর্বক ব্রাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারে মনোযোগী হই, এই মুহূর্তেই ঈশ্বর আমাদিগের হৃদয়ে এক মহান বল প্রদান করিবেন ; সেই মহান বলের প্রভাবে আমরা সকল দেশকে একত্রিত করিব, সকল জাতিকে একত্রিত করিব এবং তখন মর্ত্যলোকবাসা আমাদিগের বোয়ালিয়া ব্রাহ্মসমাজ i ২৩৩ o- E দ্বারা সেই দেবদেব পরব্রহ্মের এরূপ জয়ঘোষণা হইতে দেখিয়া দেবলোক হইতে দেবতার। তানন্দিত তই বেন এবং অামাদিগের প্রতি অজস্র আশীৰ্ব্বাদ বর্ষণ করি বেন । এখন তাম দিগের প্রশ্ন এই যে, ব্রাহ্মদিগের কৰ্ত্তব্য কি ? ব্রাহ্মদিগের কর্তব্য কি—এই প্রশ্নের উত্তরে আমি এই বলি যে, সকল প্রকার শুভ শৰ্য্য চ ব্রহ্মপরায়ণ সাধু ব্যক্তি মাত্রেরই একান্ত কৰ্ত্তব্য । কিন্তু তামার বিবেচনায় তা হাদিগের প্রথম এবং প্রধান কৰ্ত্তব্য মূৰ্ত্তিপূজা, মনুষ্যপূজা প্রভূতি মান পরিমিত বস্তু বা মনুষ্য বা দেবদেবীর পূজার পরিবর্তে সেই দেবাধিদেব অনন্তদেবের পূজা প্রতিষ্ঠিত করা । অনেক ব্রাহ্মের মতে এ কার্য্য পূর্বেই নিম্পন্ন হইয়। গিয়াছে ; তাহারা বলেন যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মকে এড়াইয়া অনেকে যাইতে পারে কিন্তু কেহই তাহাকে অন্যায়, অযুক্তি-পূর্ণ বলিতে সাহসী হইবেক না । বাস্তবিক-ই কি, এক কথায় যাহাকে ব্রহ্মপ্রতিষ্ঠা বলা যাইতে পারে, তাহা হইয়া গিয়াছে ? সে দিকে কি আমাদের কোন প্রকার কার্য্য করিবার নাই ? না, তাহ। নহে। পূজ্যপাদ পিতামহ দেব কোন প্রতিনিধি সভায় বলিয়াছিলেন যে, তাহার সময়ে যে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অভু্যদয় হইয়াছিল, তাহাব পরে স্থল পৌত্তলিকতার পরিবর্তে সৃক্ষ পৌত্তলিকতা অথবা আধ।াত্মিক পৌত্তলিকতা উপস্থিত হইবে । এখন আমরা প্রায়ই ব্রহ্মজ্ঞানের বিপক্ষে দণ্ডায়মান দেখি এই আধ্যাত্মিক পৌত্তলিকতাকে । ইহাকে আমরা মায়া-ব্রহ্মজ্ঞান বলিলেও বলিতে পারি । যাই হৌকৃ, মূৰ্ত্তিপূজা রক্ষা সম্বন্ধে প্র