পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N रै মধ্যস্থলে স্থাপিত করিলেন, আবার যিনি সূর্য্যের অভ্যন্তরে থাকিয়া স্বমহিমায় সমস্ত জগতের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করিলেন, যাহার ইচ্ছাস্রোত বহমান থাকাতে পৃথিবী জলস্থলে, পৰ্ব্বত সাগরে, ওষধি বনস্পতিতে, ফলপুষ্পে পরিশোভিত হইল ; যাহার ইচ্ছাতে স্থাবর জঙ্গম পশু পক্ষী, ভূচর খেচর পৃথিবীকে পরিপূরিত করিল, তাহার ইচ্ছাস্রোত কি এতকালপরে প্রতিরুদ্ধ হইল, যে তাহার স্নেহের ধন যত্নের সামগ্রী নরজাতি জ্ঞানবুদ্ধি, ধৰ্ম্মভাব ও কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ পরিত্যাগ করিয়৷ চারিদিকে হাহাকার করিয়া বেড়াইতেছে । জগতের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা কি জগন্মন্দিরে বিরাজিত নাই । এ কথা যদি সত্য হয় তবে -سے۔ ی. এই সুশৃঙ্খলাবদ্ধ ভ্ৰাম্যমান গ্রহ-নক্ষত্র-সম ন্বিত র্তাহার এই বিশাল রচনা অসম্বদ্ধ ধূলিকণায় পরিণত হইতে পারে! অমিততেজা সর্ঘ্য নিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হইতে পারে ! এই বিশাল গগন অমাবশ্যার গাঢ় অন্ধ কারে পরিপূরিত হইতে পারে! স্বষ্টির প্রাক্কালোচিত চিরস্তব্ধতা চারিদিকে বিরাজ করিতে পারে ! কি ভয়ানক কথা ! যিনি পলকের জন্য স্বষ্টি হইতে স্বতন্ত্র থাকিলে, জ্যোতিষ্কমণ্ডল নিম্প্রভ হইয়৷ যায়, সমুদয় জগতের প্রলয় দশা উপস্থিত হয়, তিনি কি স্বষ্টি হইতে দূরে থাকিতে পারেন ? তিনি স্থষ্টিকাল হটতে স্বষ্টির সঙ্গে সঙ্গে রচিয়াছেন ; এবং পাছে সমুদয় লোক চূর্ণ হইয়া যায়, এজন্য তিনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিক সেতু স্বরূপ হইয়। সমুদয় ধারণ করিয়া । আছেন। স্বষ্টিকাৰ্ষ্যে র্যাহার অনুপম শক্তি, ফলমূলে যাহার পিতৃস্নেহ, ওষধি । বনস্পতিতে র্যাহার মঙ্গলভাব,মেঘে র্যাহার মাতৃবাৎসল্য, তৃণশস্যে র্যাহার করুণ, বিশ্রামদায়িনী রজনীতে র্যাহার মমতা, ১e কর, ১ ভাগ L-_ _ _ জলে র্যাহার স্নিগ্ধ গম্ভীর ভাব, পৰ্ব্বতে র্যাহার সহিষ্ণুতা প্রতিফলিত রহিয়াছে ; যিনি যাবতীয় জীবজন্তুর কাম্য বিষয় সকল যথা উপযুক্ত রূপে বিধান করিতেছেন, মনুষ্যকে প্রপীড়িত করা কি র্তাহার লক্ষ্য হইতে পারে ? “মঙ্গল র্যাহার নাম মঙ্গল যাহার ধাম মঙ্গল র্যাহার কার্য্য ঘিনি মঙ্গল নিদান” মনুষকে কষ্ট ক্লেশে নিক্ষেপ করা কি তাহার উদেশ্য হইতে পারে ? মঙ্গলই যাহার ব্রত, স্বষ্টির মৰ্ম্মে যাহার মঙ্গলভাব দীপ্তি পাইতেছে, যিনি অনন্ত মঙ্গল স্বরূপ, অমঙ্গল যাহাকে স্পর্শ করিতে পারে না, যিনি জ্ঞানে প্রেমে সদ্ভাবে অনন্ত, র্তাহার উপরে যখন আমারদের বিশ্বাস যায়, তখনই আমরা বুঝিতে পারি, যাচ। অামারদের দৃষ্টিতে অমঙ্গল, তাহা ঈশ্বরের নিকট মঙ্গলের রূপান্তর মাত্র ; তিনি আপাতপ্রতীয়মান অমঙ্গলের মধ্য দিয়া স্থায়ী মঙ্গলের পথ আমারদের সম্মুখে প্রমুক্ত করিয়৷ দিতেছেন । আমরা যদি সহিষ্ণুতা ও যত্ব সহকারে ঈশ্বরের ইচ্ছা পাঠ করিতে পারি, তবে আমারদের মধ্য হইতে শোকের উচ্ছাস বিলাপ ক্রন্দন নিরাশ৷ অনুৎসাহ তিরোহিত হইয়া যায় ; এবং চারিদিক হইতে আনন্দের উৎস উৎসারিত হইতে থাকে। এই মৰ্ত্ত্যধামে থাকিয়াই আমরা সংসারপার অক্ষয় ব্রহ্মধামের দেববাঞ্ছিত সুখের আস্বাদন পাইতে পারি । অতএব যিনি ব্রহ্মধামের যাত্রী, এক মোদ্বিতীয়ং পরমেশ্বরের ভক্ত ও উপা সক, তিনি যেন ঈশ্বরের মঙ্গল অভিপ্রায়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করিতে শিক্ষা করেন। বিশ্বাসই প্রীতির নিবাসভূমি। ঈশ্বরের মঙ্গল স্বরূপে যদি আমারদের