পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s ها و از اgr ۶ বিশ্বাস না থাকে, সুখে দুঃখে যে অবস্থায় তিনি আমাদিগকে লইয়া যান, তাহতেই আমারদের বাস্তবিক মঙ্গল হইবে, ইহ। যদি সমুদয় হৃদয়ের সহিত ধারণ করিতে না পারি, তিনি আমারদের চিরসঙ্গী, স্ত্রী পুত্র পরিবারের হৃদয়বন্ধুর সহিত ঘনিষ্ঠতম আত্মীয়তার বিরাম হইলে ও যিনি আমাদিগকে পরিত্যাগ করেন না, তাহার উপরে যদি আমারদের নির্ভর না থাকে ; তবে ঈশ্বরপ্রেমী ঈশ্বরের উপাসক বলিয়া পরিচয় দেওয়া বিড়ম্বন । যদি এতটুকু বিশ্বাসের সহিত র্তাহার নিকট গমন করিতে না পারি, তবে আমারদের আরাধনা অসমৃদ্ধ প্রলাপ বাক্য । তবে আত্মোৎকর্ষ বিধান আত্মার উন্নতি উপাসকের লক্ষ্য নহে—ইহা একটা নিস্ফল অলীক পদার্থ মাত্র। যদি ঈশ্বরের প্রকৃত ভক্ত প্রকৃত উপাসক প্রকৃত সাধু হইতে চাও, ঈশ্বরের হস্তে ধন প্রাণ মন সমুদয়ই সমপণ কর । র্যাহার হস্তে সমুদয় জগতের ভার, গ্ৰহ চন্দ্র তারকের ভার, আকাশ অন্তরীক্ষের ভার তাহার হস্তে তোমার ক্ষুদ্র ভার রাখিতে চাহ না ! ! ! কি দপ কি অহঙ্কার কি অভিমান ! পিতা ! তুমি কি আমারদের এ বৃথা দৰ্প চূর্ণ করিবে না ? মর্ত্যের ধূলিকণা বলিয়া অনন্ত জগতের তুলনায় ক্ষুদ্রাদপি ক্ষুদ্রতর দেখিয়া আমাদিগকে অন্ধকাবে এমনই আবৃত করিয়া রাখিবে । জগদীশ ! তোমার কার্য্যের গৃঢ় ভাব কে বুঝিতে পারে—তোমার কৌশলের মৰ্ম্মদেশ কে স্পর্শ করিতে পারে ? ঐ যে সম্বৎসরকল পরে সমস্ত পৃথিবী একবার সূৰ্য্যকে প্রদক্ষিণ করিয়া আসিল; বর্ষকাল ঐ যে চলিয়া গেল, আমরা মৃত্যুর দিকে যে আবার একপদ অগ্রসর হইলাম। ঐ যে শোক বর্ষশেষ-চিন্তা i t | | | t ! | i ২৩ - - দুঃখের প্রবল তরঙ্গ হইতে হৃদয় শাস্তিলাভ করিতে না করিতে নলতর বিপদ ক্লেশের যবনিকা তোমার আদেশে আমারদের সম্মুখে উত্তোলিত হইবার উপক্রম হইতেছে । ঐ যে তুমি মৃতপ্রায় অসাড় আত্মার বলাধানের জন্য শোক তাপ বিন্ন বিপত্তিরূপ মৃত সঞ্জীবন ঔষধের ব্যবস্থ। করিতেছ। ঐ যে সংসারের মোহমায়। হইতে অ মাদিগকে রক্ষা করিবার জন্য আপনার “মহদুয়ং বজ্ৰমুদ্যতং”রূপ প্রকাশ করিতেছ। সেই জন্য বুধি সংসারের স্নেহের ধন আমারদের নিকট হইতে সরিয়া যায় । যে সাংসারিক নির্য্যাতনে বিষয়ীর মোহবন্ধন ভগ্ন হইয়। যাইতেছে, বিষয়স্পষ্ঠ দিন দিন খর্ব হইতেছে,ধৰ্ম্মের দিকে ঈশ্বরের দিকে তাহার হৃদয়মন দিন দিন আকৃষ্ট হইতেছে, আবার সেই সাংসারিক । স্বখের বিপৰ্য্যয়ে—ঈশ্বর-প্রেমী ধৰ্ম্মাত্মা সাধু পুরুষের ধৰ্ম্মবল ক্রমিকই বৰ্দ্ধিত হই তেছে । ঈশ্বরের উপর নির্ভর ক্রমিকই অধিক হইতেছে । এ দিকে যতই বিপদের কমাঘাত ও সংসারহুখের খববতা, শোক তাপের অত্যাচার, ততই ধৰ্ম্মাত্মা মহাপুরুষের ঈশ্বরেতে নির্ভরের আধিক্য । শিশু অন্য কর্তৃক তাড়িত হইলে যেমন মাতৃক্রোড়কে ক্রমিকই দৃঢ়রূপে আশ্রয় করিতে থাকে, তেমনি যতই ধৰ্ম্মাত্মার পরীক্ষা হইতে থাকে, ততই তিনি ঈশ্বরকে আত্মার আশ্রয়, সম্বল করিতে থাকেন । যিনি অমৃতধনে অধিকারী, স্বগীয় শান্তিতে র্যাহার আত্মা আপ্লাবিত, সাংসারিক বিপত্তি র্তাহার নিকট কি করিবে । যে বিপদ প্রেরণে সেই মঙ্গলময পিতা পাপীর লোহ কবাটারত হৃদয়ের দ্বার ভগ্ন করিয়া তাহার মধ্যে ধৰ্ম্মের রশ্মি প্রেরণ করেন, আবার