পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ১ও কল্প, ১ ভাগ S AMSMMSAAA ATTMSMMSMMS MMS শ্লোকে একটী অতএব হি’ শব্দের প্রয়োগ আছে । ইহার অর্থ জ্ঞান স্বফল দানে কৰ্ম্ম-নিরপেক্ষ এই হেতুই, এইরূপ বুঝিতে হইবে। এক্ষণে মুক্তি যে কৰ্ম্ম-নিরপেক্ষ তদ্বিষয়ে অন্যও শ্রেীত প্রমাণ প্রদর্শিত হইতেছে। বাজসনেয়িদিগের উপনিষদে ‘আত্মনি খল্বরে দৃষ্টে শ্রুতে মতে বিজ্ঞাতে ইদং সৰ্ব্বং বিদিতং ‘আত্মা দৃষ্ট শ্রুত মত ও বিজ্ঞাত হইলে এই সমস্তই বিদিত হওয়া যায়’ এই কথার অবতারণা করিয়া দুন্দুভ্যাদি দৃষ্টান্ত দ্বার। অদ্বৈততত্ত্ব প্রতিপাদন পূর্বক উক্ত হইয়াছে উক্তানুশাসনাসি মৈত্রেয়ি এতাবদরে খল্বমু তত্বং ‘ছে মৈত্রেয়ি ! তুমি অনুশিষ্ট হইলে এতাবতই মুক্তি ? এই শ্রীতিতে জ্ঞানেরই যে মুক্তি-সাধনতার অবধারণ দেখা গেল ইহাই তাহার কৰ্ম্ম-নিরপেক্ষিতার নিদর্শন; নচেৎ "এতাবৎ “যাহা কহিলাম এতাবৎই মুক্তি’ এই অবধারণার্থক বাক্যের কোনও সঙ্গতি থাকে না । অার ‘অমৃতত্বস্য নাশাস্তি বিত্তেন’ ‘বিত্ত দ্বারা মুক্তির আশা নাই’ তত্ৰোক্ত এই শ্রীতিও বিত্তসাধ্য কৰ্ম্মের মুক্তি-সাধনতার অভাবেরই জ্ঞাপক হইতেছে । আর একটা কথা, ‘বিদ্যাঞ্চ অবিদ্যাঞ্চ’ ‘বিদ্যা ও অবিদ্যা উভয়কে জানিবে? অবশ্য এই জ্ঞান ও কৰ্ম্মের । সমুচ্চয়কে পূর্বসিদ্ধান্তের বিরোধি মনে করিতে পার কিন্তু বাস্তব তাহা নহে । এই শ্রুতিতে যে বিদ্যা শব্দ আছে ইহার অর্থ দেবতোপাসন বিদ্যা বা জ্ঞান । সুতরাং এই জ্ঞান ও কৰ্ম্মের সমুচ্চয়ে কোনই বিরোধ আইসে না। যদি তুমি ইহা দেবতোপাসন বিদ্যা বলিয়া স্বীকার না কর তাহা হইলে 'অয়ে নয় স্থপথ।” 'হে অগ্নি আমায় স্থপথে লইয়া যাও’ এই স্থলে অগ্নির নিকট এই যে পথভিক্ষা ইহার কোন সার্থকতা থাকে না ! 'ন কৰ্ম্মণা ন প্রজয়া’ কৰ্ম্ম দ্বারা নয় প্রজা দ্বারা নয়, ধন দ্বারা নয়, একমাত্র ত্যাগ-কৰ্ম্মত্যাগ দ্বারাই অনেকে মুক্তি লাভ করিয়াছেন ; কৰ্ম্মত্যাগই সকলের উৎকৃষ্ট মুক্তি সাধন ; কৰ্ম্ম ত্যাগ দ্বারাই ব্ৰহ্মপদ প্রাপ্তি হয় ; ইত্যাদি শাস্ত্রবলে কৰ্ম্মসন্ন্যাসসহ আত্মজ্ঞানই মুক্তিসাধন বলিয়া নির্দিষ্ট হইতেছে। অতএব সাধন-চতুষ্টয়-সম্পন্ন আত্মতত্ত্বজিজ্ঞাস্ত্র মুমুক্ষুর কৰ্ম্মত্যাগই শ্রেয়। এখন বুঝিয়া দেখ, যখন জ্ঞানলিঙ্গুর সম্বন্ধে কৰ্ম্মনিষেধ তখন জ্ঞানীর পক্ষে তদ্বিষয়ে আর কি বক্তব্য আছে । অধিক্টোমৰন্থিাক তত্রেদমভিধীয়তে ॥ এই অদ্ধ শ্লোক পূর্বোক্ত অদ্ধের সহিত অম্বিত । যিনি মুমুক্ষু তিনি কৰ্ম্মসন্ন্যাস পূর্বক জ্ঞাননিষ্ঠ হইবেন যুক্তিবলে এইরূপ সিদ্ধান্ত করিয়া এখন পূর্বোক্ত অগ্নিষ্টোম দৃষ্টাস্ত উল্লেখ পূর্বক দোষ প্রদর্শিত হইতেছে। নৈক কারকসাধ্যত্বাং ফলান্যত্বাচ্চ কৰ্ম্মণ: | বিদ্যা তদ্বিপরীতাইতে দৃষ্টাঞ্জে বিষমো ভবেৎ ॥ দোষ প্রদর্শিত হইতেছে। অগ্নিষ্টোমাদি কায্য বহু-কারক-সাধ্য অর্থাৎ নিয়ত হেতু দ্রব্য মন্ত্র তন্ত্রপ্রয়োগ সম্পাদ্য এই হেতু এবং উহার ফল বিভিন্নরূপ অর্থাৎ ‘যদেব বিদ্যয় করোতি শ্রদ্ধয়া উপনিষদ। বা তদেব বীৰ্য্যবত্তরং ভবতি“যাহা বিদ্যা কি না উপাসনা জ্ঞান ও শ্রদ্ধাদি দ্বারা কৃত হয় তাছাই বলত্তর’ এই শ্রীতি বলে বিদ্যা বা উপাসনা-জ্ঞান দ্বারা অপেক্ষাকৃত বলবৎ ফলবিশেষ সম্ভব এই হেতুও কৰ্ম্ম সহকারি অপেক্ষা করিতেছে। কিন্তু বিদ্যা এইরূপ নহে । ইহা তদ্বিপরীত কিনা কৰ্ম্ম-স্বভাবের বিপরীত-স্ব ভাব । বিদ্যা বস্তুতন্ত্র ও প্রমাণপরতন্ত্র এবং নিরতিশয় মোক্ষই উহার