পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ζητά να ο বৈদান্তিক মত Los তদ্বারা অন্য পক্ষ অর্থাৎ অনাত্মায় অবিদ্যান্তর উৎপত্তি খণ্ডিত হইতেছে । অনাজুাতেও অবিদ্যার উৎপত্তি হইতে পারে না। অনাত্মা অবিদ্যার কার্য্য, সুতরাং কার্য্য যে অনাত্মা সে কিরূপে অবিদ্যার কারণ হইবে ? অার তোমার শুক্তিকাদৃষ্টান্তেও আমার বক্তব্য আছে। শুক্তিকাদিতে অবিদ্যা-শক্তি-ভেদের রজতাদিবিক্ষেপরপ উপাদানাংশেরই জ্ঞান দ্বারা নিবৃত্তি হয় কিন্তু তাদৃশ অনন্তশক্তিমং যে অজ্ঞান তাহ থাকিয়া যায়,তদ্বশাৎ ভ্রান্তির উদয় হইতে পারে। অতএব শুক্তিকদৃষ্টান্ত এস্থলে খাটে না $ । ন চেৎ ভূয়: প্রস্থয়েত কর্তাভোক্রেতিধী: কথম। সদস্ট্রীতি চ বিজ্ঞানে তস্মাৎ বিদ্যাইসহায়িকা ॥ সৎব্রহ্মই আমি এই জ্ঞান হইলে যদি পুনরায় অবিদ্যার উৎপত্তি না হয় তবে কৰ্ত্ত। ভোক্তা ইত্যাকার বুদ্ধি কিরূপে হইবে । অতএব বিদ্য৷ অস হায় । অবিদ্যার পুনরুৎপত্তিতে কি ফল তাহাই বলিতেছেন । সৎই অর্থাৎ ব্রহ্মই আমি এইরূপ বিজ্ঞান কিনা বিশিষ্ট জ্ঞান অর্থাৎ অপরোক্ষ অনুভব হইলে পরে যদি

    • SS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS

তন্নাশে অপর একট, এই রূপে অনন্ত অবিদ্যাব প্রবাহ স্বীকারকে অনবস্তা বলে । ইহাও দোষ । 8 অবিদ্যাশক্তি দুই প্রকার। সে এক শক্তি দ্বারা বস্তু-স্বরূপকে অt বরণ করে । ই তার নাম আবরণশক্তি। আর এক শক্তি দ্বারা বস্তুকে অন্যরূপে প্রতিtসিত করে। ইহার নাম বিক্ষেপ-শক্তি । অবিদ্যা শুক্তিকাদিতে স্বীয় বিক্ষেপ-শক্তি দ্বারা রজত-লান্তি আনিয়াছিল। এই যে রজত-ভ্ৰান্তি ইহার উপাদানই বিক্ষেপ শক্তি। কারণ ত ই প্রভাবেই শুক্তিতে রজতপ্রতিভাস হয়। জ্ঞান দ্বারা এই উপাদানেরই— বিক্ষেপেরই নাশ হইতেছে কিন্তু মূল অনন্তশক্তিমৎ যে অজ্ঞান তাহ থাকিয়া যাইতেছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে অজ্ঞানের পুনরুৎপত্তি সম্ভব । কিন্তু আত্মাতে স্বয়ং অবিদ্যাই প্রমাণাগ্নি দ্বারা দগ্ধ হইতেছে । সুতরাং এক্ষেত্রে তাছার পুনরুৎপত্তি অসম্ভব। কাজেই শুক্তিক দৃষ্টান্ত এস্থলে খাটিল না। ৩১ ബ- - - حصصد سي كيهر - ساس. আর অবিদ্যার উদ্ভব না হয় তবে কৰ্ম্মাধিকারের হেতুভূত কর্তৃত্ব ভোক্তত্ব বুদ্ধি কি রূপে উদ্ভূত হইবে, হইতেই পারে না । মূলে একটা ‘চ’ আছে | কর্তৃত্বাদির বাস্তবত্ব-শঙ্কা নিবৃত্তির জন্য উহার প্রয়োগ । ফলত এই কর্তৃত্বাদি যদি বাস্তব কিছু হইত তাহা হইলে বিদ্যা দ্বারা তাহার নিবৃত্তি হইতে পারিত না, কাজেই আত্মারও মুক্তির ব্যাঘাত খাটত । এক্ষণে জ্ঞান ও কৰ্ম্মের সমুচ্চয় নিরাসের উপসংহার হইতেছে । যখন বিদ্য। উৎপন্ন হইলে কৰ্ম্ম অসম্ভব হয় তখন অসহায় অর্থাং কৰ্ম্ম-নিরপেক্ষ—একমাত্রই বিদ্যা মুক্তিহেতু ইহা সিদ্ধ হইল । অত্যরেচয়দিত্যুক্তে ন্যাস: শ্রত্যাহতএব হি । কৰ্ম্মভ্যো মানসাস্তেভ্য এতাবদিতি বাজিনাম ॥ অমৃতত্বং শ্রুতং যম্মাং ত্যাজ্যং কৰ্ম্ম মুমুক্ষুভি: | বিদ্যা কৰ্ম্ম-নিরপেক্ষ হইয়াই মুক্তির হেতু হইয়া থাকে যুক্তিবলে ইহা সমর্থিত হইল । এক্ষণে তদ্বিষয়ে শ্রীতি প্রমাণ প্রদশিত হইতেছে । তৈত্তিরীয় উপনিষদে ‘সত্যং পরং পরং সত্যং’ ‘সত্যই পর, পরই সত্য? এইরূপ উপক্রম করিয়া, সত্য তপ প্রভূতি মানসিক কৰ্ম্ম সকল শ্রেয়ঃসাধনতায় নির্দেশ পূর্বক পরে ‘তানি বা এতান্যবরাণি তপাংসি’ সেই এই সমস্ত তপস্যা অশ্রেষ্ঠ’ এই বাক্যে তুচ্ছ-ফলত্বে তৎসমুদায়ের আবার নিন্দাবাদ করিয়া, ‘ন্যাসইতি ব্ৰহ্ম’ সন্ন্যাসই ব্ৰহ্ম’ এই কথায় তত্ত্বজ্ঞানের অন্তরঙ্গভূত কৰ্ম্ম-সন্ন্যাসেরই প্রশংসা করা হইয়াছে। এখন বুঝ, নিন্দিত বিষয়ের হেয়ত্ব এবং প্রশংসিত বিষয়ের উপাদেয়ত্ব হেতু মুক্তির কৰ্ম্মাপেক্ষিত৷ থাকিলে সন্ন্যাসবিধি অসঙ্গত হয় । সুতরাং কৰ্ম্মসন্ন্যাস-সহকৃত আত্মজ্ঞানই যে মুক্তি সাধন শ্রীতির ইহাই মুখ্য তাৎপৰ্য্য । আর