পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা २७ कछ, s छागं মুক্ত আকাশে কেমন খেলিতে থাকে । কিন্তু যদি ঐ শালবৃক্ষকে উৎপত্তির প্রথমাবস্থাতেই কোনও আবরণের দ্বারা আচ্ছাদন করিয়া রাখা হইত, তাহা হইলে কি আর অভ্ৰভেদী শালবৃক্ষের স্বমহান গম্ভীর দৃশ্য দেখিতে পাইতাম ? তাহা হইলে দেখিতাম যে সেই অভ্ৰভেদী শালবৃক্ষের পরিবর্তে একটী নিতান্ত বিকৃত শীর্ণকায় শালনামের অযোগ্য বৃক্ষ জন্মিয়াছে । এখানে বুঝিতে পারিতেছি যে একটা ক্ষুদ্র আবরণের দ্বারা আচ্ছাদিত করাতেই এরূপ বিকৃতি ঘটিয়াছে, কিন্তু আমরা নিজেদের আত্মা সম্বন্ধেও সেইরূপ বিবেচনা পূর্বক দেখি না কেন ? একটু মনোযোগের সহিত দেখিলেই বুঝিতে পারি যে, যতই আমাদিগের আত্মাকে অনন্তের দিকে ছাড়িয়া দিব, যতই আমাদিগের আত্মাকে জ্ঞানে, ধৰ্ম্মে, প্রীতিতে, ভক্তিতে উন্নত করিতে থাকিব, ততই সেই মুক্তস্বভাবের দিন দিন সমীপবৰ্ত্তী হইতে থাকিব। একটা কথা চলিত আছে যে আমরা আপনাদের দোষের বেলায় অন্ধ থাকি কিন্তু পরের দোষ অনুসন্ধানে অত্যন্ত তৎপর হই—ইহা অতি যথার্থ; তাহা না হইলে একটা বৃক্ষ সঙ্কীর্ণ সীমার মধ্যে থাকিয়া বিকৃত হইয়া গেল, বুঝিতে পারিলাম ; আর আমাদিগের আত্মাও যে সঙ্কীর্ণ সীমার মধ্যে থাকিলে বিকৃত হইয়া যাইবে, ইহা বুঝিতে পারি না কেন ? ভগবদগীতাকার ইহা অতি পরিষ্কার রূপে বুঝিয়াছিলেন এবং অতি স্পষ্টরূপে বলিয়া গিয়াছেন । “অন্তকালে চ মামেব স্মরণ মুক্ত কলেবরম্। যঃ প্রয়াতি স মদভাবং যাতি নাস্ত্যত্র সংশয়ঃ।” उ९ ौ९ ४म, 4 । -o-o “যং যং বাপি স্মরণু ভাবং ত্যজত্যন্তে কলেবরম। उ१ ऊायटेबऊि ८कोtरुग्न मन उन्डांदउाबिउः ॥” &, ыя, с যিনি অন্তকালে আমাকে (ঈশ্বরকে) স্মরণ করিয়া কলেবর পরিত্যাগ করেন, তিনি আমার স্বরূপ প্রাপ্ত হন, ইহাতে সংশয় মাত্র নাই। হে কৌন্তেয় ! যে ব্যক্তি অন্তকালে যে যে ভাব (দেবতাকে) তদগতচিত্তে স্মরণ পূর্বক দেহত্যাগ করেন, তিনি সেই দেবতার স্বরূপ প্রাপ্ত হন । ব্রহ্মপিপাসুমাত্রেরই সেই সত্যং জ্ঞানমনন্তং পরব্রহ্মকেই আদর্শ স্থানে রক্ষা করা উচিত। পরমেশ্বরের অনন্ত সত্যভাবের, অনন্ত মঙ্গলভাবের, অনন্ত প্রেমের অনুকরণ করা আমাদিগের কর্তব্য এবং অধিকার—ইহাতেই মানবের শ্রেষ্ঠত্ব । কিন্তু এই অধিকার, এই শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষা করা নিতান্ত অল্পায়াসের কৰ্ম্ম নছে—কঠোর সাধনা আবশ্যক । কত স্বাৰ্থত্যাগ আবশ্যক ; সংসারের সহিত কত দারুণ সংগ্রাম অবশ্যক—এই সকল বিষয়ে যতটা সমর্থ হইব, ততই আমরা ঈশ্বরের জ্বলন্ত মঙ্গলভাব, জ্বলন্ত প্রেমভাব, সহজেই হৃদয়ে ধারণ করিতে সক্ষম হইব । আমাদিগকে পূর্ব হইতেই প্রস্তুত হইয়া থাকিতে হইবে, যে, যখনই সেই বিদ্যুৎ পুরুষ বিদ্যুতের ন্যায় পলকের জন্যও অন্তরে দেখা দিবেন, তখনই তাহাকে হৃদয়ে রাখিয়া দিব—আর ছাড়িব না। কিন্তু প্রস্তুত হইয়া না থাকিলে,চক্ষু খুলিয়া সতর্ক হইয়া না থাকিলে, সেই বিদ্যুজ্জ্যোতি যে কখন আসিবেন, তাহ কি দেখিতে পারিব ?—হয়তো আর সমস্ত জীবনে নাও দেখিতে পারি। এইখানে শ্ৰীমদ্ভাগবতের একটা উপাখ্যান মনে পড়িতেছে। “ঐ