পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आवांछ כאג שמ 8\O mm- - - =--- ہے۔سـصـہ আমাদের আদর্শ श्रेश्वज्ञ উপাখ্যানে আছে, ঈশ্বর (অলিঙ্গং অর্থাৎ | ইহার মীমাংসা হইতে পাৱে । आमद्रा নিরাকার ঈশ্বর) নারদকে বলিলেন যে আমি প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাহার জীবনে একটবার মাত্র দেখা দিই, সেই দর্শনে যদি সে মোহিত হইয়া আমাকে দৃঢ়চিত্তে অন্বেষণ করে ও যত্ন করে, তবে তাহার হৃদয়ে চির বিরাজিত হইয়া তাহাকে কৃতাৰ্থ করি ; তাহা না হইলে এ জন্মের মতন আমি অদৃশ্য থাকি।” প্রত্যেক মনুষ্যের জীবনে অন্ততঃ একবার না একবার ধৰ্ম্মপিপাসা—ঈশ্বরকে জানিবার পিপাসা উপস্থিত হইবেই ; সেই পিপাসা উপস্থিত হইলেই বিদ্যুৎপুরুষ একটা পলকমাত্র দেখা দেন এবং এই সময়ে যে ব্যক্তি যতটুকু পরিমাণে প্রস্তুত থাকেন, সেই ব্যক্তি ততটুকু পরিমাণে সেই বিদ্যুৎ পুরুষের বিদ্যুতাগ্নি গ্রহণ করিয়া কৃতার্থ হয়েন । আমরা এখন বেশ বুঝিতে পারিয়াছি যে আপনাকে উপযুক্তরূপে প্রস্তুত করিতে না পারিলে ঈশ্বরের বিমল জ্যোতি ধারণ ! করিতে পারিব না–ব্রহ্মসাধন এক প্রকার দুঃসাধ্য হইয়া উঠিবে। কিন্তু আমরা কি দুর্ভাগ্য! আমরা জানিয়া শুনিয়াও প্রস্তুত হইতে চেষ্টা করি না—আমরা নিতান্ত অপূর্ণ ভ্রান্ত জীব ! আমরা এখনও এতদূর সাধনা করিতে পারি নাই যে ব্ৰহ্মকে নয়মের সম্মুখে সৰ্ব্বদা অবস্থিত রাখিতে পারিব। এই কারণেই অনেকের মন অনেক স্থলেই ঈশ্বরের পরিবর্তে মহদাশয় ধাৰ্ম্মিকশ্রেষ্ঠ মনুষ্যদিগের প্রতি স্বতই ধাবিত হয় এবং তাহাদিগকে পৃথিবীর অতিরিক্ত দেবতা বোধে পূজা করিতে ঔৎসুক্য প্রকাশ করে। এই স্থলেই মতবিভেদ আসিয়া উপস্থিত হয় । কিন্তু একটুখানি সহজ বুদ্ধিকে আশ্রয় করিলেই যখন মনুষ্যকে মনুষ্য বলিয়া জানিতেছি, তখন তাহাকে কি প্রকারে দেবতারূপে পূজা করিব ? কি প্রকারে সেই মনুষ্যের নিকটে হৃদয়ের নিভৃততম প্রদেশ পর্য্যন্ত—ঘাহা কেবল ঈশ্বরেরই প্রাপ্য—অর্পণ করিতে আমাদের প্রবৃত্তি হইতে পারে এবং অপর্ণ করিয়াই বা কি " ল ? যাহা হউক মনুষ্যদিগকে দেবভাবে আদর্শ করিতে পারি না বলিয়া মনুষ্যভাবে গ্রহণ করিতে কিছুমাত্র আপত্তির কারণ নাই। মনুষ্যশ্রেষ্ঠদিগকে মনুষ্যভাবে আদর্শ করিলে আমাদিগের কিছুমাত্র ক্ষতি নাই বরঞ্চ লাভই আছে। ঈশ্বরকে আমাদিগের পূর্ণ আদর্শ করিব ; র্তাহার প্রত্যেক স্বরূপের নিকটবর্তী হইতে চেষ্টা করিব। কিন্তু যখনই মনুষ্যকে আদর্শ করিতে যাইব, তখন যেন অতি সাবধানে অগ্রসর হই ; তখন যেন একবার অন্তশ্চক্ষে বুঝিয়া দেখি যে, অtমরা র্যাহাকে আদর্শ করিতেছি ; তিনি একজন মনুষ্য—তিনি পূর্ণ জীব নহেন, অপূর্ণ জীব ; তাহার যেমন নানা গুণ আছে, তেমনি দোষও থাকিতে পারে। র্তাহার গতি যেমন কোন বিষয়ে পূর্ণতার দিকে ছুটিয়াছে, তেমনি আবার কোন বিষয়ে হয়তো অপূর্ণতার দ্বারা বদ্ধ রহিয়াছে। আমাদিগের এস্থলে কর্তব্য এই যে, আমরা তাহার দোষ সকল পরিত্যাগ করিয়া, তাহার অপূর্ণতা সকল বর্জন করিয়া হংসের ন্যায় গুণ গুলিই গ্রহণ করি ; তিনি যে যে বিষয়ে পুর্ণতারদিকে অগ্রসর হইয়াছেন, সেই সেই বিষয়েই র্তাহাকে অনুসরণ করি। বুদ্ধদেব আপনার নিৰ্ম্মল জীবনে, আত্মার অন্তরে যে