পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ত্রয়োদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जाब, ०४ se ঈশ্বরের অস্তিত্ব 6S •eses semes----- --- - .عصعصي _ SSAS SSAS SSAS AMSAAAAAAASAAAA করিয়া লজ্জিত হইয়া বলিলেন, হে কৃষ্ণে ! আমি তোমাকে সখিসমুচিত উপহাসচ্ছলে যাহা বলিয়ছি, তজ্জন্য তুমি আমাকে ক্ষমা কর । " দ্রৌপদী বলিলেন, স্বামীর চিত্ত আকর্যণের প্রকৃষ্ট উপায় তোমাকে বলিতেছি শ্রবণ কর । পতির তুল্য দেবতা ইহলোকে আর কিছুই নাই। স্বামীর প্রসাদেই সন্তান সন্ততি বস্ত্ৰালঙ্কার ভোগসুখ মহতী কীৰ্ত্তি সকলপ্রকার কাম্যবস্তুই লাভ হয়। অতএব তুমি এরূপ সৌহৃদ্য ও প্রেম দ্বারা কৃষ্ণের সেবা কর, যাহাতে তিনি জানিতে পারেন যে তিনি তোমার অতীব প্রীতিভাজন । তাছা হইলেই তোমার মনস্কামনা সিদ্ধ হইবে। দ্বারদেশে ভর্তার স্বর শ্রবণমাত্র দণ্ডায়মান হইয়া সম্ভাষণ পূর্বক আসন ও জল দিয়া তাহার পূজা কর ও । কোন কার্য্যের নিমিত্ত স্বামী দাসীকে আদেশ করিলে তুমি স্বয়ং তাহ সম্পন্ন করিবে । স্বামী তোমার নিকটে যে কোন কথা বলেন, গোপনীয় না হইলে ও তাহ প্রকাশ করি ও না, কেন না তোমার সপত্নী সেই কথা তাহাকে বলিয়৷ দিলে তোমার প্রতি র্তাহার বিরাগ উপস্থিত হইতে পারে। যে সকল ব্যক্তি তোমার স্বামীর আত্মীয় অনুরক্ত ও হিতকারা, তাহাদিগকে তুমি বিবিধ উপায়ে পান ভোজনাদির দ্বারা সৎকার করিবে । আর যাহারা তাহার বিপক্ষ, অহিতকারী ও দ্বেষ্য, তাহীদের সহিত কোন সম্বন্ধ রাখিবে না। অন্য পুরুষের সন্নিধানে আমোদে মত্ত না হইয়া, অনবধানতা পরিত্যাগ করিয়া নিজের অভিপ্রায় সংযম পূর্বক মৌন হইয়া থাকিবে । কুমার প্রত্যুম্ন ও শাম্বের সহিতও তুমি নির্জনে সম্ভাষণ করিও না। পতিপরায়ণ পুণ্য বর্তী সংকুলকামিনীগণের সঙ্গেই যেন তোমার সখ্য হয়। উগ্রস্বভাব, প্রম ভা, অতিভোজনশীলা,চৌর্য্যনিরতা চপলস্বভাব। নারীদিগকে সপৰ্বথা পরিত্যাগ করিবে । এইরূপে তুমি স্বামীর আরাধনা করিয়া যশ সৌভাগ্য ও স্বৰ্গ লাভ কর। দ্রৌপদীর বা ক্যাবসানে সত্যভামা র্তাহাকে স্নেহালিঙ্গন করিয়া বিদায় হইলেন । ঈশ্বরের অস্তিত্ব। প্রথমতঃ দেখা যাউক অামাদিগের সম্মুখে যে জড় জগং বর্তমান রহিয়াছে উহার আদি অাছে কি না ? যদি এরূপ অনুমান করা যায়, ইহার আদি অাছে, তাহা হইলে অবশ্যই এরূপ এক সময় ছিল যে সময় একটা মাত্র পরমাণুরও অস্তিত্ব ছিল না, সৰ্ব্বত্র কেবল এক মহাশূন্য বিরাজ করিত। কিছুকাল মহাশূন্য থাকিয়া এবং তাহার পরিবর্তন হইয়া যদ্যপি জড়ের আবির্ভাব হয়, তাহা হইলে স্বতঃই এই পরিবর্তনের কারণ কি জানিবার জন্য ইচ্ছা হয় এবং এই পরিবর্তনের কোন একটী বিশেষ কারণ থাকা আবশ্যক । বিনা কারণে অর্থাৎ আপনা আপনি কোন একটী পরিবর্তন সাধিত হয় আমরা এ কথায় বিশ্বাস করিক্তে পারি না, সুতরাং জড়ের আদি আছে বিশ্বাস করিলে জড়ের স্রষ্ঠার অস্তিত্বেও বিশ্বাস করা স্বতঃসিদ্ধ । কেন না জড়ের স্রষ্টা না থাকিলে জড়েব আবির্ভাব হইবার পূর্বে সর্বত্র যে এক মহাশূন্য বিরাজমান ছিল, তাহাই অপরিবর্তিত ভাবে বিরাজ করিত, তাহার পরিবর্তন অসম্ভব । দ্বিতীয়তঃ যদ্যপি এরূপ অনুমান করা যায় জড়ের আদি নাই, উহা অনাদি